“পুলিশের আস্কারাতেই চিনি মাফিয়াদের পাচারের কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চাপায় পিষ্ট হচ্ছে পথ চলতি মানুষ। নিঃস্ব হচ্ছে অসহায় পরিবারগুলি। তারপরও গভীর ঘুমে রাজ্য অরক্ষা দপ্তর। পাচারকারীদের নোটের গন্ধে নির্লজ্জের মতো ভূমিকা পালন করছে রাষ্ট্রপতি কালার্স পদক প্রাপক পুলিশ। বিশালগড় ও কলমচৌড়া থানায় কর্মরত সমস্ত পুলিশ কর্মীই চিনি পাচারের টাকায় এখন “অসার” হয়ে গিয়েছে। অপরাধ(Crime )দমনে মুখ্যমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি তাদের কাছে মলিন কলাপাতার মতো।কারণ গোটা চিনি সিন্ডিকেটের নেপথ্যে যে আছেন মস্ত বড় “শিল্প নেতা” নবা বণিক।“…

#চিনির বাফার স্টক জোন: নিচের বাজার,বিশালগড়।
# চক্রের চাঁই উৎপল – রাকেশ – কৃষ্ণ – ঝন্টু
#সিন্ডিকেটের মাস্টার মাইন্ড নবা বণিক।
ডেস্ক রিপোর্টার,২৯ জুন।।
” চিনি পাচার বাণিজ্য”- এখন বিশালগড় – বক্সনগর(Bishalgarh -Boxanagar)রুটের “কুটির শিল্প”। এই শিল্পের প্রসারের জন্য বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন ” শিল্প নেতা নবা বণিক”। অভিযোগ, তার নেতৃত্বেই বিশালগড় থেকে বক্সনগরে চিনি পাচার বাণিজ্যের নিটোল নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। এই রুটে চলছে নিয়মিত চিনি পাচার। কিন্তু কোথায় পুলিশ? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই দিতে পারবেন না রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক(DGP )অমিতাভ রঞ্জনও। “পুলিশের আস্কারাতেই চিনি মাফিয়াদের(sugar Mafia) পাচারের কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চাপায় পিষ্ট হচ্ছে পথ চলতি মানুষ। নিঃস্ব হচ্ছে অসহায় পরিবারগুলি। তারপরও গভীর ঘুমে রাজ্য অরক্ষা দপ্তর। পাচারকারীদের নোটের গন্ধে নির্লজ্জের মতো ভূমিকা পালন করছে রাষ্ট্রপতি কালার্স পদক প্রাপক পুলিশ(police )বিশালগড় ও কলমচৌড়া থানায় কর্মরত সমস্ত পুলিশ কর্মীই চিনি পাচারের টাকায় এখন “অসার” হয়ে গিয়েছে। অপরাধ দমনে মুখ্যমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি তাদের কাছে মলিন কলাপাতার মতো।কারণ গোটা চিনি সিন্ডিকেটের নেপথ্যে যে আছেন মস্ত বড় “শিল্প নেতা” নবা বণিক। বলছে বিশালগড়ের লোকজন।

সম্প্রতি পাচারকৃত চিনি বোঝাই মারুতি গাড়ির চাপায় মৃত্যু হয়েছিল বক্সনগর বাজারের ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ দেব ওরফে রামু। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত বৃহস্পতিবার বিশালগড় – বক্সনগর রুটের চেলিখলাতে(Cheli khala) চিনি বোঝাই বোলেরোর ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে বিষ্ণু লোধ নামে এক বাইক আরোহীর।গুরুতর জখম সহ-আরোহী বিজয় দাস। রামপ্রসাদ ও বিষ্ণু লোধের মৃত্যুর পরও মুখে আঙুল চুষছে পুলিশ।কিন্তু কেন?কারণ, চিনি পাচার বাণিজ্যের স্ক্রিপ্ট লিখছেন খোদ “শিল্প নেতা” নবা বণিক।

চিনি পাচার বাণিজ্যের গহ্বরের তথ্য বলছে, বিশালগড় থেকে বক্সনগর রুটে পাচার হওয়া চিনি মজুত হচ্ছে বিশালগড় নিচের (লামার) বাজারে।পাচারকারীদের জন্য গোটা নিচের বাজার পাচারকৃত চিনির বাফার স্টক জোন। বিশালগড়ে কান পাতলেই শোনা যায়, শিল্প নেতা নবা বণিকের হয়ে গোটা পাচার বাণিজ্য পরিচালনা করছে উৎপল বনিক, রাকেশ বনিক ,কৃষ্ণ সরকার ও ঝন্টু দাস। তারাই মূলত “শিল্প নেতা” নবা বণিকের চিনি পাচার বাণিজ্য দেখাশোনা করে থাকে। আবার এরাই গোটা বিশালগড়ে পরিচালনা করে নিগোসিয়েশন (Negotiation)বাণিজ্য।

বৃহস্পতিবার চেলিখলাতে দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা(Public ) মাঠে নেমেছিল তারা অবরোধ করেছিল রাস্তা। রাজপথে জ্বালিয়েছিল আগুন। ভেঙ্গে গিয়েছিল জনতার ধৈর্যের বাঁধ। আক্রমণ করেছিল উপস্থিত পুলিশকেও। প্রায় গত এক মাস আগে প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছিল বক্সনগরেও।

রামপ্রসাদ দেবের মৃত্যুর পর উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে কলমচৌড়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিল। অবশ্যই রামপ্রসাদ ও বিষ্ণুর মৃত্যুতে কিছু আসে যায় না শিল্প নেতা নবা বণিক ও তার সিন্ডিকেটে থাকা চাঁইদের।

স্থানীয়দের বক্তব্য, চিনি পাচারকারী(sugar smuggler) শিল্প নেতা নবা বণিকের উপরি রোজগারের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতে হচ্ছে পথ চলতি অসহায় মানুষদের । কোথায় আছে রাজ্য প্রশাসন? পুলিশ ও গোয়েন্দা।

রামপ্রসাদ ও বিষ্ণু লোধের মৃত্যুর পরও মুখে আঙুল চুষছে পুলিশ(Police)।কিন্তু কেন?কারণ, চিনি পাচার বাণিজ্যের স্ক্রিপ্ট(script) লিখছেন খোদ “শিল্প নেতা” নবা বণিক।

এই খবর পড়ুন
কোথায় আছে শুল্ক দপ্তর – ইডি – সিবিআই (custom-ed-cbi )ঘুমিয়ে আছে কি রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স?আর সর্বোপরি বিএসএফ- ও চোখে দিয়ে রেখেছে গান্ধারির পট্টি।