ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ জুন।।

                        সুরমার বারো দুনের নিখোঁজ যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। নাম আশীষ দাস (৩৭)।বুধবার দুপুরে হালাহালি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে আশীষ দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তকারী পুলিশের প্রাথমিক ধারণা বাণিজ্যিক সংক্রান্ত কোনো ঘটনার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছে। 

               খুন হওয়া আশীষ দাসের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, সোমবার রাত আটটা নাগাদ আশীষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আরকেবিআই ইট ভাটার উদ্দেশ্যে। সেখানে ছিলো ককটেল পার্টি। রাতে বাড়িতে না আসাতে পরিবারের লোকজন তার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। তখন তারা ছুটে যান তার বাড়ি লাগোয়া ইট ভাটাতে। তখন সেখানে কেউ ছিলো না। কিন্তু ইট ভাটার ম্যানাজারের রুমের পাশেই খুঁজে পাওয়া যায় আশীষ দাসের মোবাইল সেট, জুতো ও রক্ত মাখা ভাঙ্গা বোতল।

         রাতেই পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ রুটিন মাফিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর তাদের তদন্তের গতি খুব বেশি অগ্রসর হয় নি।বুধবার দুপুরে হালাহালি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আশীষ দাসের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা সেখানে গিয়ে আশীষ দাসের মৃতদেহ সনাক্ত করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়। পরে ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ তুলে দেয় তার পরিবারের হাতে।

                  আশীষ দাসের পরিবারের সন্দেহের তীর আরকেবিআই ইট ভাটার ম্যানেজারের দিকে। ঘটনার পর থেকেই ম্যানাজার পলাতক। তার মোবাইল বন্ধ। খুন হওয়া আশীষ ইট ভাটা ম্যানাজারের সহযোগী হিসাবে কাজ করতো। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ম্যানেজারের কোনো আর্থিক দুর্নীতির সম্পর্কে তথ্য রয়েছে আশীষ দাসের কাছে। এই ভয় থেকেই আশীষকে খুন করতে বাধ্য হয়েছে ম্যানাজার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *