দীর্ঘদিন মন্ডল সভাপতি চেয়ারে থাকার সুবাদে মান্তুর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের পাহাড় সৃষ্টি হয়।
।।বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল।।
আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ডল গুলির নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করার কথা ছিলো।কিন্তু তার আগেই সূর্যমনি নগরের বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল তাঁর ভাব শিষ্য হিসাবে পরিচিত মান্তু দেবনাথকে কেন দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন? এই নিয়েও কর্মীদের মধ্যে উঠছে প্রশ্ন।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১ডিসেম্বর।। অবশেষে চাকরি খোয়ালেন সূর্যমনি নগর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি মান্তু দেবনাথকে।। তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্ডল সভাপতির চেয়ার থেকে।খোদ এলাকার বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল নিজেই মান্তুকে দিয়েছেন বিদায়ী সংবর্ধনা। শুক্রবার আমতলী কমিউনিটি হলে বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল দলের অন্যান্য নেতা – কর্মীদের উপস্থিতিতে মান্তুকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তার পরিবর্তে সূর্যমনি নগর মন্ডলের ইনচার্জ সভাপতির দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ভল্লবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা রূপান্তরিত বিজেপি তপন রায়ের হাতে।
মান্তুর জন্যই নাকি দল ও বিধায়ক রাম প্রসাদ পালের ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগে।
ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ডল গুলির নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করার কথা ছিলো।কিন্তু তার আগেই সূর্যমনি নগরের বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল তাঁর ভাব শিষ্য হিসাবে পরিচিত মান্তু দেবনাথকে কেন দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন? এই নিয়েও কর্মীদের মধ্যে উঠছে প্রশ্ন।
সূর্যমনি নগর মন্ডলের বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের আগে মান্তু দেবনাথ ছিলো সূর্যমনি নগর মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি।বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর পরই বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল পদোন্নতি দেন মান্তুকে। তাকে বসিয়ে দেন মন্ডল সভাপতির চেয়ারে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন মন্ডল সভাপতি চেয়ারে থাকার সুবাদে মান্তুর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের পাহাড় সৃষ্টি হয়। তাতে নাকি দল ও বিধায়ক রাম প্রসাদ পালের ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগে।এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় মান্তু দেবনাথের জন্য। অল্প বয়সী যুবক মান্তু’ র উপর অনেকটাই নির্ভর করেছিলেন রাম প্রসাদ পাল।কিন্তু মান্তু বিধায়কের ভরসার মান রাখতে পারেন নি।বলছে সূর্য মনিনগর কেন্দ্রের বিজেপির কর্মীরা।
মান্তু দেবনাথকে সরিয়ে বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল ইনচার্জ সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করেছেন নেতা তপন রায়ের উপর।কিন্তু বিধায়কের এই চয়েস নিয়েও সন্তুষ্ট নয় বিজেপির দুর্দিনের নেতা – কর্মীরা।কারণ, তপন রূপান্তরিত বিজেপি।অর্থাৎ কংগ্রেস থেকেই তার আগমন। বিজেপির কর্মীদের ভাষায়, তপন রায়ের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগের বড় ফর্দ। এটা কি জানেন না বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল? প্রশ্ন খোদ বিধায়ক রাম প্রসাদের অনুগামীদেরই। এখন দেখার বিষয় বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল আগামী দিনে তপন রায়ের উপরই আস্তা রাখেন,নাকি মন্ডল সভাপতির চেয়ারে নিয়ে আসেন নতুন মুখ।
