#agartala #politics #Bjp #Janatar#Mashal

বর্তমানে আগরতলা পুরো নিগমের নিগোসিয়েশনের মূল মাস্টারমাইন্ড দেবাশীষ সাহা ওরফে কানাই। কানাই ও তার লোকজন নিগোসিয়েশনের পসরা সাজিয়ে বসেছে।

।।কানাই সহ ধৃত তার সাগরেদরা।।(ফাইল – ছবি)

দেবাশীষ সাহা ওরফে কানাইয়ের এই বাড়বাড়ন্ত- র পেছনে দায়ী শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে তার “ফটো সেশন”। কানাই ও তার কোর টিমের লোকজন বিজেপির নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে সোস্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেয় নিয়মিত। নানান অনুষ্ঠানে নেতারা গেলে তাদের পাশে  দাঁড়িয়ে  ফটো তোলা তাদের অভ্যাস। এবং সেই ছবি তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৫ অক্টোবর।।
                রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বিভিন্ন মঞ্চে মাফিয়া দমনের কথা বলে থাকেন। এবং তিনি তা প্রমাণ করেও দেখিয়েছেন। সাম্প্রতিক কালে মাফিয়া কার্যকলাপ ও নিগোসিয়েশন বাণিজ্যেকে পিষে দিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বোল্ডোজার চালিয়ে ছিলেন ঊষাবাজারের ৭০ বছরের পুরনো ক্লাব ভারত রত্ন সংঘে । মানুষের মন থেকে মুছে দিয়েছেন ভারত রত্ন ক্লাবের অস্তিত্ব। কিন্তু এতো দিন আগরতলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে থাকা নিগোসিয়েশন কারবারি ও মাফিয়াদের উপর আইনি বোল্ডোজার চালাতে পারছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তা নিয়ে শুরু হয়েছিল কানাঘুষু। আর এই আবহের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর চেনালেন তাঁর প্রশাসনিক চতুরতা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের এই মুহুর্তের তথাকথিত ছিঁচকে মাফিয়া সর্দার কানাই ও তার বাহিনীকে জালে তুলে পুলিশ।তাদেরকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছিলো।তবে তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। তার জন্য তো কিছুটা হলেও দায় নিতে হবে পশ্চিম থানার পুলিশকে।

বিজেপির প্রদেশ সভাপতিকে কালিমালিপ্ত করছে কানাই বাহিনী (ছবি – এফবি)

সম্প্রতি আগরতলা শহরে কার্নিভালে চিত্তরঞ্জন ক্লাবের বাউন্সাররা উপস্থিত শিশুদের মারধর করেছিলো। এই ঘটনার পর প্রতিবাদী মানুষ দারস্থ হয়েছিল থানায়। গ্রেফতার হয়েছিল বাউন্সার। এরপরই ঝোলা থেকে বেরিয়ে আসে বিড়াল। অভিযোগ, রাতের আঁধারে প্রতিবাদী মানুষের বাড়িতে হুজ্জুতি চালায় এই মুহূর্তে শহরের এলিট ক্লাসের নিগোসিয়েশনকারী তথা গৈরিক ছিচকে মাফিয়া দেবাশীষ সাহা ওরফে কানাই ও তার লোকজন।

Table of Contents

।।বিজ্ঞাপন।।

কানাই বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী লোকজন আগরতলার পশ্চিম থানায় কানাই ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ছিলো। এই মামলার প্রেক্ষিতেই পুলিশ  গ্রেফতার করেছিল কানাই ও তার কোর টিমের ছয় সদস্যকে। কানাই ব্যতীত বাদবাকিরা হলো হলো অর্জুন দেবনাথ, ওরফে বাপ্পি , প্রণব পোদ্দার ওরফে বিজয়, কৃষ্ণ পাল, সঞ্জিত সাহা, তনুজ দাশগুপ্ত, দীপ দাশগুপ্ত।


আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-is-bjp-walking-in-the-path-of-cpim-conspiracy-to-crush-the-bengali-organization-rega-kaj-to-attend-the-meeting-of-sanatani-suraksha-manch-24/

কানাইয়ের মত ছিঁচকে মাফিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের এতো দেরি কেন?

শহরে কান পাতলেই শোনা যায়,  বর্তমানে আগরতলা পুরো নিগমের নিগোসিয়েশনের মূল মাস্টারমাইন্ড দেবাশীষ সাহা ওরফে কানাই। কানাই ও তার লোকজন নিগোসিয়েশনের পসরা সাজিয়ে বসেছে। কানাইয়ের এই বাণিজ্য এখন শহরে ওপেন সিক্রেট। তাসত্ত্বেও কানাইয়ের মত ছিঁচকে মাফিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের এতো দেরি কেন?
মাফিয়া দমনে মুখ্যমন্ত্রী ঊষাবাজারে “কঠোর” মনোভাব দেখিয়েছিলেন।তাহলে শহরের মাফিয়াদের
এতো সামাদর কেন ?

।।বিজ্ঞাপন।।

জনমনে এই প্রশ্ন উঠা মাত্রই শহরের কানাই বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে ঠিকই, কিন্তু তারপরও আইনের ফাঁক গোলে কানাই ও তার লোকজন আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। তার জন্য অবশ্যই  দায়ী থাকবে পশ্চিম থানার পুলিশ।

।।বিজেপির সদর (শহর) জেলার সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য- র গায়ে কালি ছিটিয়ে দিলো কানাই- র সাগরেদ।(ছবি – এফবি থেকে সংগৃহীত)

মহারাজগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে কামান চৌমুহনি, শন্তিপাড়া এলাকায় দোকান ভিট,বাড়ি ঘর বেচা কেনা হলে কানাইকে দিতে হয় “জিজিয়া কর”।

আরো খবর পড়ুন

https://x.com/janatarmashal24/status/1848977233719033939?t=XlPvCmXfQairB2jPN5wMcw&s=19

শহরের ছিঁচকে মাফিয়া কানাই কি কি অপরাধ করছে? মুখ্যমন্ত্রীর গোয়েন্দার কাছেও এই সংক্রান্ত সব তথ্য রয়েছে।  গোয়েন্দার তথ্য অনুযায়ী,
“কানাই জমি ব্যবসা থেকে শুরু করে নেশা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। মহারাজগঞ্জ বাজারে অবৈধ বাণিজ্যের ঠেক গড়ে তুলছে কানাই। অল্প সময় তার নেটওয়ার্ক বড় পরিসরে বিস্তার লাভ করেছে। গোয়েন্দার দাবী, মহারাজগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে কামান চৌমুহনি, শন্তিপাড়া এলাকায় দোকান ভিট,বাড়ি ঘর বেচা কেনা হলে কানাইকে দিতে হয় “জিজিয়া কর”।

।।মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক কমল মল্লিকের সঙ্গে কানাই বাহিনী।।( ছবি – সংগৃহীত)

এই  সংক্রান্ত ছবি দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকেও এতদিন বোকা বানিয়েছিল কানাই।

মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও নাকি এই সংক্রান্ত বহু অভিযোগ জমা পড়েছে কানাইয়ে বিরুদ্ধে। আগরতলা পুর নিগমে এক চেটিয়া কানাই শুরু করেছে নিগোসিয়েশন বাণিজ্য। শহরে কানাইয়ের এই সংক্রান্ত অপরাধ জানে না, এমন লোকের সংখ্যা কম। তারপরও এক রহস্যজনক কারণে এতো দিন রাজধানীর পুলিশ প্রশাসন কানাইকে অপরাধ সংঘটিত করার ছাড় পত্র দিয়ে রেখেছিলো।
         বিজেপির লোকজনের বক্তব্য, দেবাশীষ সাহা ওরফে কানাইয়ের এই বাড়বাড়ন্ত- র পেছনে দায়ী শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে তার “ফটো সেশন”। কানাই ও তার কোর টিমের লোকজন বিজেপির নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে সোস্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেয় নিয়মিত। নানান অনুষ্ঠানে নেতারা গেলে তাদের পাশে  দাঁড়িয়ে  ফটো তোলা তাদের অভ্যাস। এবং সেই ছবি তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কানাই তার এই সমীকরণের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে কি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করে? কানাই বুঝানোর চেষ্টা করে,তার সঙ্গে বিজেপির উপর তলা থেকে নীচু তলার, সমস্ত নেতাদের মধুর সম্পর্ক।  একই ভাবে এই  সংক্রান্ত ছবি দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকেও এতদিন বোকা বানিয়েছিল কানাই।

।।দেবাশীষ সাহা ওরফে কানাই।।

কানাই তার অবৈধ বাণিজ্যের বহর বাড়ানোর জন্য শাসক দলের মন্ত্রী-নেতাদের ভালো ভাবেই ব্যবহার করছে।

।।বিজ্ঞাপন।।

কানাই ও তার লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী সহ  বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, বিজেপির সদর শহরাঞ্চল জেলার কমিটির সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য- র সঙ্গে ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক কমল মল্লিকের সঙ্গেও সেলফি তোলে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছয়লাপ করে দিয়েছে।


        

বিজেপির মন্ত্রী – নেতারাও “অমায়িক”  রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেই কি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ?

কানাই তার অবৈধ বাণিজ্যের বহর বাড়ানোর জন্য শাসক দলের মন্ত্রী-নেতাদের ভালো ভাবেই ব্যবহার করছে। ছিঁচকে সমাজদ্রোহী কানাইয়ের এই ধান্দাবাজি বিজেপির নেতারা কি বুঝতে পারছেন না? নাকি তারা “অমায়িক” রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ?এই লক্ষ টাকার প্রশ্ন খোদ শাসক দলের অন্দরে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *