পাতালকে দিয়ে প্রদ্যুৎ বধের অঙ্ক কষে ছিলো ভাজপা।কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয় নি।তখনই প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে গোপন সন্ধি করে ভারতীয় জনতা পার্টি।
বিজেপিতে পাতাল কন্যার যোগদান(ফাইল – ছবি)
অভিযোগ,তার সাংসদ দিদি বিজেপির নেতৃত্বের কথা কর্ণপাত করছেন না। ভাইয়ের রিমোট কন্ট্রোল অনুযায়ী চলছে সাংসদ কৃতি সিং। এটা বিজেপির জন্য অপমানের।দলের সাংসদকে তারা পরিচালনা করতে পারছেন না।কিন্তু তারা প্রকাশ্যে কিছু বলতেও পারছেন না। রাজ্যের মানুষ দূরবীণ দিয়েও খোঁজে পান না সাংসদ কৃতি সিংকে।
প্রদ্যুৎ বিজেপি নেতৃত্বের হাত ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
ডেস্ক রিপোর্টার,১১ অক্টোবর।। শারদ উৎসবের প্রাক লগ্নে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করে ছিলেন জনজাতি নেত্রী পাতাল কন্যা। এবং করেছেন বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ। হঠাৎ করে পাতাল কন্যা কেন নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করলেন? রাজনীতিকরা বলছেন, আসন্ন ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচনকে সামনে রেখেই ভারতীয় জনতা পার্টির দিল্লির নেতৃত্বের নতুন চাল।তারা পাহাড়ে প্রদ্যুৎকে চাপে রাখতেই পাতালকে স্বতন্ত্র ভাবে নামিয়ে দিয়েছেন পাহাড় রাজনীতিতে। একই কায়দায় প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথা উত্থানের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে আইপিএফটিকে নিঃস্ব করেছিলো বিজেপি।
।।বিজ্ঞাপন।।
পাতাল কন্যা বরাবর প্রদ্যুৎকে সহ্য করতে পারেন না। গত কয়েক বছর আগে পাহাড়ে প্রদ্যুৎকে প্রথম আক্রমণ করেছিলো পাতাল কন্যার পিপলস পার্টি। এরপরই তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব পাতাল কন্যাকে নিয়ে এসেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। পাতালকে দিয়ে প্রদ্যুৎ বধের অঙ্ক কষে ছিলো ভাজপা।কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয় নি।পাহাড় রাজনীতিতে জন প্রিয়তার নিরিখে প্রদ্যুৎ শত যোজন এগিয়ে যান। তখনই প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে গোপন সন্ধি করে ভারতীয় জনতা পার্টি। ২৩- র বিধানসভা ভোটের প্রাক লগ্নে একথা স্বয়ং স্বীকার করেছিলেন বিপ্লব কুমার দেব।
পাহাড়ে উচ্ছন্নে যাচ্ছে জনজাতি মোর্চা। প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে তাদের লড়াই করার মত কোনো শক্তি নেই।
।।বিজ্ঞাপন।।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের চোখে, জঙ্গিদের অস্ত্র বিরতি ঘোষণার শান্তি চুক্তির পর প্রদ্যুৎ পাহাড়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন। তার জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে আরো কয়েকগুণ। এই মুহূর্তে প্রদ্যুৎ বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বের কাছে দা থেকে আছাড় বড় হওয়ার মতো অবস্থা। অভিযোগ,তার সাংসদ দিদি বিজেপির নেতৃত্বের কথা কর্ণপাত করছেন না। ভাইয়ের রিমোট কন্ট্রোল অনুযায়ী চলছে সাংসদ কৃতি সিং। এটা বিজেপির জন্য অপমানের।দলের সাংসদকে তারা পরিচালনা করতে পারছেন না।কিন্তু তারা প্রকাশ্যে কিছু বলতেও পারছেন না। রাজ্যের মানুষ দূরবীণ দিয়েও খোঁজে পান না সাংসদ কৃতি সিংকে। পাহাড়ে উচ্ছন্নে যাচ্ছে জনজাতি মোর্চা। প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে তাদের লড়াই করার মত কোনো শক্তি নেই। তার জন্য অবশ্যই দায়ী ভাজপার দিল্লি নেতৃত্ব।বলছেন বিজেপির জনজাতি নেতারা।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রদ্যুৎ কিশোরের বক্তব্য বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব ভালো ভাবে নেন নি।
ভারতীয় জনতা পার্টি সূত্রের খবর, প্রদ্যুৎ বিজেপি নেতৃত্বের হাত ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি রাজ্যের দক্ষিণ জেলাতে গিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে নানান কথা বলেছেন।কিন্তু ভারত সরকার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে কিছুই বলে নি। প্রদ্যুতের কারণে ভারত – বাংলাদেশে বিদেশ নীতিতে আরেকটু ঝাকুনি লাগতে পারে! তাই বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রদ্যুৎ কিশোরের বক্তব্য বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব ভালো ভাবে নেন নি। সব মিলিয়ে প্রদ্যুৎ এখন বসে আছেন মোদী – শাহের মাথায়।তাকে মাথা থেকে নামাতে পারছে না। এই ভয় তাড়া করছে প্রদেশ বিজেপিকে।
প্রদ্যুতকে চাপে রাখতেই বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব পাতাল কন্যাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।
আসন্ন ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচনে প্রদ্যুৎ যে ভাজপার হাত পা গুঁড়িয়ে দেবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।তাই প্রদ্যুতকে চাপে রাখতেই বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব পাতাল কন্যাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। পাতাল কন্যার ঘাড়ে বন্দুক রেখেই বিজেপি ফায়ার করবে প্রদ্যুৎকে। কেন না প্রদ্যুৎ এখন শাসক শিবিরের লোক। তাকে বিজেপি কিছু বলতে পারছে না।পাহাড়ে নেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী।খালি ময়দানে দৌড়াচ্ছেন প্রদ্যুৎ। এই কারণেই প্রদ্যুৎ কিশোরের দৌড় থামাতে পাতাল কন্যাকে দিয়ে নতুন দল তৈরি করে ছেড়ে দেবে পাহাড়ে।
সাংসদ কৃতি সিং
রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন পাতালকে সমস্ত কিছু স্পন্সর করবে ভাজপাই। যা করা হয়েছিল প্রদ্যুতেরের সঙ্গে।তখন প্রদ্যুৎ খালি মাঠ পাবেন না।অন্তত প্রদ্যুৎ কিশোরকে গালি দেওয়ার জন্য পাতাল কন্যা হয়ে উঠবেন বিজেপির তুরুপের তাস। তাই পাতাল কন্যাকে দিয়ে নতুন দল তৈরি করে পাহাড় রাজনীতিতে জনজাতি ভিত্তিক দলগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু করিয়ে দিয়েছে বিজেপি। আর এই ফাঁক গলে নিজেদের ঝুলিতে কিছু পাওয়ার চেষ্টা করবে রাজ্যের প্রধান শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি।
