আগরতলা,২৫ জুন।।
          ত্রিপুরার ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে ড্রাগস পাচারকারিরা রাজ্যকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করছে। অর্থের জন্য যারা ড্রাগস পাচারের সঙ্গে যুক্ত রাজ্য সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। রাজ্যকে নেশামুক্ত রাখার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলেছে। বুধবার আগরতলার উমাকান্ত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নেশামুক্ত ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ড্রাগসের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী পতাকা নেড়ে একটি বাইক র‍্যালি ও পদযাত্রা এবং উমাকান্ত বিদ্যালয়ে একটি রক্তদান শিবিরের সূচনা করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাদক ব্যবহারের সাথে এইডস বিস্তারের একটা সম্পর্ক রয়েছে। সেক্ষেত্রে নো টু ড্রাগস কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নেশামুক্ত ত্রিপুরা এবং এইডস মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে এগিয়ে আসার জন্য অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেরা সচেতন হয়ে অন্যদেরকেও এবিষয়ে সচেতন করতে হবে। তবেই আমাদের এই ছোট রাজ্য ত্রিপুরা নেশার কবল থেকে দূরে থাকবে। বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ড্রাগসের ব্যবহার ও এইডস সম্পর্কে সচেতন করে তোলার উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন।


অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, ড্রাগস বিরোধী অভিযানের অঙ্গ হিসেবে রাজ্যে ১৯৩৩ নম্বরের একটি হেল্পলাইন এবং কিউআর কোড খোলা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডি জি অনুরাগ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে মাদক বিরোধী অভিযানে বিশেষ সফলতা এসেছে। এছাড়া এবছর ৮.৫ লক্ষ গাঁজা গাছ ধংস  করা হয়েছে।
     অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এন টি এফ-এর ত্রিপুরার প্রধান রমেশ রেড্ডি, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, নার্কোটিক্স কনট্রোল বুরে‍্যার অতিরিক্ত অধিকর্তা প্রকাশ রঞ্জন মিশ্র, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, পুলিশ সুপার ডা. কিরণ কুমার কে প্রমুখ। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন এবং নার্কোটিক্স কনট্রোল বুরে‍্যার আগরতলা জোনাল ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *