#North #Dist #kadamtala #school #education #Janatar# Mashal

অভিযোগ, বিদ্যালয়ে পঠন – পাঠন চলাকালে  দুই  শিক্ষক আকিল আলী ও আক্রাম হোসেন ইসলাম ধর্মের প্রচার করে থাকেন।

।।ইচাই টুলগাঁও উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়।।

স্থানীয়দের এই সিদ্ধান্তের আগাম খবর পৌঁছে যায় স্কুলের  প্রধান শিক্ষক সুভাষ নাথ, দুই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষক আকিল আলী, আক্রাম হোসেন সহ শিক্ষিকা রুপালি বেগমের কাছে। তারা বিপদের আঁচ বুঝে এদিন স্কুলে না আসার সিদ্ধান্ত নেন।

ধর্মনগর ডেস্ক,৩০ নভেম্বর।।
                বিদ্যালয়ে এসে ইসলাম ধর্মের প্রচার, ধর্মান্তকরণের চেষ্টা,  ক্লাস ফাঁকি দিয়ে নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়া, হিন্দু ছাত্রদের তুলসী মালা পরে বিদ্যালয়ে আসতে বাঁধা দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ উঠলো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এঘটনার দীর্ঘ দিনের চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে বৃহস্পতিবার।এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ কদমতলা ব্লকাধীন ইচাই টুলগাঁও উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের যথারীতি ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় ক্ষোভ।
      বাসিন্দারা জানিয়েছেন,   সোনালী মালাকার নামে স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী নিজের গলায় তুলসীর মালা পরে বিদ্যালয়ে আসতো, কিন্তু তাতে বাধা দেন  শিক্ষিকা রুপালি বেগম। অভিভাবকদের কথায়, শিক্ষিকা নাকি প্রতিদিনই ছাত্রী সোনালীকে মালা খুলে আসতে বলেন। এবং একসময় চুলে ধরে মারধোরও করেন।

।।ডিডিও- র নেতৃত্বে স্কুলে বৈঠক।।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-in-five-adc-seats-vajpar-members-are-limited-to-four-members/

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ নাথ কোনরকম ছুটি না নিয়েই স্কুলে ছিলেন গরহাজির।

এখানেই শেষ নয়, অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের দুই  শিক্ষক আকিল আলী ও আক্রাম হোসেন প্রায়ই ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পাশের মসজিদে যান নামাজ পড়তে। তাছাড়া ক্লাসে এই দুই শিক্ষক ইসলাম ধর্ম নিয়েও চর্চা করেন। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে স্থানীয় লোকজন বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলে আসার সিদ্ধান্ত নেন । স্থানীয়দের এই সিদ্ধান্তের আগাম খবর পৌঁছে যায় স্কুলের  প্রধান শিক্ষক সুভাষ নাথ, দুই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষক আকিল আলী, আক্রাম হোসেন সহ শিক্ষিকা রুপালি বেগমের কাছে। তারা বিপদের আঁচ বুঝে এদিন স্কুলে না আসার সিদ্ধান্ত নেন।

।।বিজ্ঞাপন।।

স্থানীয় লোকজন ও ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা তাদের পূর্ব সিদ্ধান্ত মতে সেদিন স্কুলে গিয়ে দেখেন প্রধান শিক্ষক সহ অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলেই আসেননি। তখন পরিস্থিতি আরো তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনা মারাত্মক আকার করার আগেই আমজনতার পুঞ্জিভূত ক্ষোভের কথা পৌঁছে যায় ডিডিও তথা বিবিআই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জু শর্মার কাছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান ইচাই টুলগাঁও উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে।

।।বিজ্ঞাপন।।

ঘটনার সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকরা ডিডিওকে জানিয়েছেন, ” প্রধান শিক্ষক সুভাষ নাথ ছুটি নিয়েছেন। সুভাষ নাথই শিক্ষকদের এই বলেছেন।” শিক্ষকদের মুখ থেকে এই তথ্য শুনতে পেয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন ডিডিও রঞ্জু শর্মা। তখনই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ নাথ কোনরকম ছুটি না নিয়েই স্কুলে ছিলেন গরহাজির। স্কুলে বসেই ডিডিও রঞ্জু শর্মা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ নাথকে ফোন করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ডিডিওর কাছে সুভাষ নাথ তার অপরাধ কবুল করেন।

।।বিজ্ঞাপন।।

আরো খবর পড়ুন

https://x.com/janatarmashal24/status/1862161612779520175?t=Dh-wDxuk1wj6-iTC2Ru25A&s=19

ডিডিও রঞ্জু শর্মা স্থানীয় উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্ত করে বলেন,” দপ্তর গোটা ঘটনা তদন্ত করবে।এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন”। এরপরেই স্বাভাবিক হয় ইচাই টুলগাঁও উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *