ডেস্ক রিপোর্টার, ১৩ জুলাই।।
                        রাজ্য রাজনীতির এক রহস্য চরিত্র আশীষ লাল সিং। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসারে সফর করে তিনি এখন বিজেপিতে। অবশ্যই এই মুহূর্তে বিজেপিতে আশীষের সংসার টালমাটাল। সর্বভারতীয় বিজেপির যুব মোর্চার সহ -সভাপতি অর্পিতা অপরাজিতার রুদ্ররোষে জ্বলছেন আশীষ লাল। যেকোনো সময় বিজেপির সঙ্গে ছেদ হতে পারে তার সম্পর্ক। এটা আঁচ করতে পেরেই রাজ্যের মসনদে জনজাতি মুখ্যমন্ত্রীর দাবী তুলছেন আশীষ লাল। ইতিমধ্যে আশীষ লাল সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিপ্রামথার বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা।


হঠাৎ করে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আশীষ লাল সিংয়ের দূরত্ব কেন? ঘটনার সূত্রপাত গত ২৯ জুন।এদিন রাতে রাজ্য অতিথি শালায় এসেছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় যুবমোর্চার সহ – সভাপতি অর্পিতা অপরাজিতা। রাতে অতিথি শালায় নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন আশীষ লাল সিং।সঙ্গে বিজেপির আরো কয়েকজন।নেত্রীর অভিযোগ, সাক্ষাতের সময় আশীষ লাল সহ অন্যান্যরা স্বাভাবিক ছিলেন না। দলের সর্ব ভারতীয় যুব ব্রিগেডের নেত্রী অর্পিতা অপরাজিতা এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে অবগত করেন।


এই ঘটনার পর প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব আশীষ লাল সহ অন্যান্য নেতাদের ( যারা অতিথি শালায় গিয়েছিলেন) শোকজ করেন।কিন্তু আশীষ শোকজের কোনো উত্তর দেয় নি।অবশ্যই অন্যান্যরা দলের নির্দেশ মতো মুচলেখা দিয়ে জানিয়েছেন, ” তারা আর এরমক ভুল করবে না।” আশীষ শো -কজের উত্তর না দেওয়াতে বিজেপি তার বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছে।


প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্বের এই কড়া বার্তার পরও আশীষ লাল শোকজের কোনো উত্তর দেন নি। ঘুরিয়ে বললে আশীষ লাল  বিজেপি নেতৃত্বের এই বার্তা গুরুত্বই দেন নি। সম্প্রতি আশীষ লাল সিংকে দেখা গিয়েছে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক ( সংগঠন) বি এল সন্তোষের দরবারে। এই বিষয়ে আশীষ লাল সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, “নো কমেন্টস”।


আশীষ লালের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে তার সম্পর্কের টানা পোড়েনের কথা জানতে পেরেছেন তিপ্রামথার নেতৃত্ব। তারা যোগাযোগ করছে আশীষের সঙ্গে। মথার সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে আশীষ নিজেও ত্রিপুরাতে জনজাতি মুখ্যমন্ত্রীর সওয়াল করতে শুরু করেছেন। তবে এটাও বাস্তব আশীষ ত্রিপুরার পরিচয়ে রাজনীতি করলেও তিনি রাজ্যেই থাকেন না। তাই কখনো রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে নিজেকে ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *