“মাত্র সরকারের দেওয়া আর্থিক সাহায্য বাঁকা পথে লুঠ করার জন্য তারা বেনিফিশিয়ারিদের তালিকায় নিজেদের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়েও কৌশলে সরকারি সাহায্যের টাকা ঢুকছে নেতাদের পকেটে ।অভিযোগ, শাসক দলের নেতাদের এই আস্ফালনে তালিকায় ঠাঁই পাচ্ছে না মূল ক্ষতিগ্রস্থরা। “

অভিযোগ, শরণার্থীদের অনেকেই ক্ষতি পূরণের দ্বিতীয় দফার টাকা হাতে পায় নি। কিন্তু কেন পায় নি? শরণার্থীদের এই প্রশ্নের উত্তর নেই মহকুমা প্রশাসনের লোকজনের কাছে।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯ আগস্ট।।
গত ১২ জুলাই রাতে সাম্প্রদায়িক আগুনে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষগুলির পিঠে লেগেছে শরণার্থীর স্টিকার। আর এই শরণার্থীদের নাম করে পেটুকরা শুরু করেছে লুটপাট। ক্যাম্পের খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রে চলছে সীমাহীন দুর্নীতি। গোটা দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় শাসক দলীয় কিছু নেতা সহ মহকুমা শাসক অফিসের লোকজন।
খবর অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকায় স্থান পেয়েছে বেশ কিছু শাসক দলীয় নেতা। আক্ষরিক অর্থে তাদের বাড়িঘরে কোনো হামলার ঘটনা ঘটে নি। শুধু মাত্র সরকারের দেওয়া আর্থিক সাহায্য বাকা পথে লুঠ করার জন্য তারা বেনিফিশিয়ারিদের তালিকায় নিজেদের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়েও কৌশলে সরকারি সাহায্যের টাকা ঢুকছে নেতাদের পকেটে ।অভিযোগ, শাসক দলের নেতাদের এই আস্ফালনে তালিকায় ঠাঁই পাচ্ছে না মূল ক্ষতিগ্রস্থরা।

শরণার্থীদের কেউ কেউ ক্ষতিপূরণের দ্বিতীয় দফার টাকাও পেয়েছে।আবার অনেকেই এখন পর্যন্ত পায় নি। শরণার্থীরা বিষয়টি নিয়ে সরব হলেও মহকুমা প্রশাসন নিশ্চুপ।আসলে সর্ষের মধ্যেই ভূত। কারণ মহকুমা শাসক অফিসের একটি টিম গোটা এলাকা সার্ভে করে ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা তৈরি করেছে। আর তাদের মদতেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয়েও বেনিফিশিয়ারির তালিকায় স্থান পেয়েছে স্থানীয় শাসক দলের নেতা গোছের লোকজন।

ভুয়ো বেনিফিশিয়ারি হিসাবে তালিকায় স্থান পাওয়া লোকজন দিব্যি পেয়ে গিয়েছেন আর্থিক ক্ষতি পূরণের দ্বিতীয় দফার টাকা।
অভিযোগ, শরণার্থীদের অনেকেই ক্ষতি পূরণের দ্বিতীয় দফার টাকা হাতে পায় নি। কিন্তু কেন পায় নি? শরণার্থীদের এই প্রশ্নের উত্তর নেই মহকুমা প্রশাসনের লোকজনের কাছে। অথচ ভুয়ো বেনিফিশিয়ারি হিসাবে তালিকায় স্থান পাওয়া লোকজন দিব্যি পেয়ে গিয়েছেন আর্থিক ক্ষতি পূরণের দ্বিতীয় দফার টাকা।

আরো খবর পড়ুন
https://janatarmashal.com/movement-of-jamaat-militants-in-tripura-news-state-tripura-news
অভিযোগ, শরণার্থীদের খাওয়ায় বিষয় নিয়েও চলছে দুর্নীতি। ঘটনার পর ক্যাম্পে মোট শরণার্থী ছিলেন ৪৩০ জন।তাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। দিন যত গড়াচ্ছে, অনেকেই ফিরে যাচ্ছে ভঙ্গুর, পুড়ে যাওয়া বাড়িঘরে।কারণ অব্যবস্থায় জর্জরিত ক্যাম্পে শরণার্থীদের পক্ষে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠছে।

মহকুমা প্রশাসনের এই বেলেল্লাপনা প্রমাণ করে শরণার্থী ক্যাম্পের দুর্নীতির বিষয়টি।
আরো খবর পড়ুন
https://x.com/janatarmashal24/status/1824679599860748771?t=RITBrXqlFMqGDbwKSYx42Q&s=19
অথচ খাওয়ায় বরাত পাওয়া ঠিকাদার প্রতিদিন মহকুমা শাসক অফিসে বিল করছে ৪৩০ জনের। ফলে শরণার্থীদের খাওয়ার নামে আদ্য শ্রাদ্ধ হচ্ছে সরকারি টাকার। এই ঘটনার পেছনেও মহকুমা অফিসের চক্রটির সাথে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব। মহকুমা অফিসের লোকজনের কাছে ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা দেখতে চাইলেও তারা তা গোপন রাখার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। মহকুমা প্রশাসনের এই বেলেল্লাপনা প্রমাণ করে শরণার্থী ক্যাম্পের দুর্নীতির বিষয়টি।