#Tripura।Bangladesh। Gandachhera। Violence।Hindu।Janatar mashal।

গণ্ডাছড়াতে প্রায় দুইশ সনাতনী বাঙালি পরিবার জনজাতি দুষ্কৃতীদের হামলায় সর্বশান্ত। বহু মানুষ দিন কাটাচ্ছেন শরণার্থী ক্যাম্পে। তারাদিন গুজরান করছে অর্ধাহারে অনাহারে।

শরণার্থী ক্যাম্পে

।।শরণার্থী ক্যাম্পে আসহায় সনাতনী মানুষ।।

“নিজের ঘরের মানুষ জ্বলে পুড়ে ছাই হলেও তাতে নেই ভ্রুক্ষেপ। কেন না, এই আগুনের লেলিহান শিখার উষ্ণতা তো লাগে নি শহরের বাবুদের  ঘরের ছাউনিতে।কিন্তু রাজনীতির বিষ্ঠা তো হাত ছাড়া করা যাবে না? এই বিষ্ঠা পাওয়ার জন্য সবার মধ্যেই এখন চাগার দিয়েছে হিন্দু দরদ।”

গন্ডাছড়ার শরণার্থীদের  জন্য রাজপথে নেই একটিও মিছিল।

ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ সেপ্টেম্বর।।
আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখন ভয়হীন নিরীহ প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ জ্বলছে।রাজ্যের হিন্দুবাদী দল বিজেপিকে খুশি
করতে সবার চোখ এখন পদ্মা পাড়ে।  ওপারের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে সরব এপারের ধন্দা বাজ মানুষ।
নিশ্চয় প্রতিবাদের ঝড় উঠা বাঞ্ছনীয়।  কিন্তু রাজ্যের গণ্ডাছড়ায় সনাতনী বাঙালি শরণার্থীদের জন্য কাউর প্রাণ কাঁদছে না কেন?গন্ডাছড়ার শরণার্থীদের  জন্য রাজপথে নেই একটিও মিছিল।তাদের জন্য চিৎকার করলেই যে দেখতে হবে রাজনীতির  রক্তচক্ষু।  আবার নিবিড় সম্পর্ক ছিন্ন হবে জনজাতি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে। তাই নিজের ঘরের মানুষ জ্বলে পুড়ে ছাই হলেও তাতে নেই ভ্রুক্ষেপ। কেন না, এই আগুনের লেলিহান শিখার উষ্ণতা তো লাগে নি শহরের বাবুদের  ঘরের ছাউনিতে।কিন্তু রাজনীতির বিষ্ঠা তো হাত ছাড়া করা যাবে না? এই বিষ্ঠা পাওয়ার জন্য সবার মধ্যেই এখন চাগার দিয়েছে হিন্দু দরদ। আগরতলা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই চিত্র পরিষ্কার।

।।গণ্ডাছড়াতে সর্বস্বান্ত হওয়া এক সনাতনী মা।।

ইদানিং কালে রাজ্যে বিভিন্ন সংগঠন বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন ইস্যুতে রাজপথে আন্দোলন করেছে। ঢাউশ ঢাউশ ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন হাতে তুলে নিয়েছে। আগামী দিনেও আরও কিছু সংগঠন আন্দোলন করবে।কিন্তু রাজ্যের সীমান্ত মহাকুমা গণ্ডাছড়াতে বাঙালি নির্যাতন নিয়ে মিছিলের অগ্র ভাগে থাকে না কোনো ফেস্টুন। অথচ গণ্ডাছড়াতে প্রায় দুইশ সনাতনী বাঙালি পরিবার জনজাতি দুষ্কৃতীদের হামলায় সর্বশান্ত। বহু মানুষ দিন কাটাচ্ছেন শরণার্থী ক্যাম্পে। তারা এখন ক্যাম্পের মধ্যে অর্ধাহারে অনাহারে দিন গুজরান করছে।প্রতিদিন শিবির ছাড়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাপ আসছে তাদের উপর। ইতিমধ্যে গণ্ডাছড়া প্রশাসন শরণার্থীদের খাওয়া দাওয়া সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। শরণার্থী শিবিরে নেই কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা। শিবিরে থাকা স্কুল ছাত্রদের পঠন পাঠন বন্ধ। শিশুদের নেই খাদ্য। এখনও গন্ডাছড়ার বাঙালি মহল্লায় নেই নিরাপত্তা বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প।বলছেন,শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত লোকজন।তারপরও এই রাজ্যের সনাতনী মানুষ মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন?তাদের কাছে গণ্ডাছড়া থেকে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে ওপারের বাংলাদেশ। হায় রে! এরা যে  ভেকদারী সনাতনী তাতে কোনো সন্দেহ নেই।


১২- জুলাই গণ্ডাছড়ার ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব বর্তেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তের শুরুতে খেয়েছে জোর ধাক্কা। অভিযোগ, গণ্ডাছড়ার ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়ে যাচ্ছে রাজ্যের জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের নাম।তাতেই আপত্তি। ক্রাইম ব্রাঞ্চ অভিযুক্ত নেতাদের গ্রেফতার তো দূরের কথা জিজ্ঞাসাবাদ করার সাহস করতে পারে নি। তদন্তকারী আধিকারিকরা দুইদিন গন্ডাছড়াতে অবস্থান করার পর  চাপের মুখে গাড়ি ঘুরিয়ে আগরতলায় চলে আসতে বাধ্য হন।


।।বিজ্ঞাপন।।

মুখ থেকে বাক্য নিঃসৃত হলেই যে তাদের বিপদ! ক্ষুণ্ন হবে নিজেদের স্বার্থ। তার থেকে বরং বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য একটু মায়া কান্না করলে নিজেদের পার্টি ও সংগঠনের লাইনটা অন্তত ঠিক থাকবে। এবং সুরক্ষিত থাকবে নিজেদের নেতাগিরি চেয়ারগুলিও। সাবলীল থাকবে নিজেদের ব্যবসা বাণিজ্য। নিশ্চিন্তে করা যাবে তোলা আদায় থেকে জমি ব্যবসা।এবং মাদক কারবার, চিনি ও গরু পাচার।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-why-is-the-state-administrations-unbelievably-easy-behavior-with-the-traditional-bengalis-of-the-state/

তারা নিজের ঘরে থাকা সনাতনী ভাইদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। অথচ প্রতিবেশী বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য তাদের প্রাণ উষ্ঠাগত।

তাই রাজ্যের বিভিন্ন হিন্দুবাদী সংগঠন সহ ধান্দাবাজ সনাতনী লোকজনের কাছে এখন বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন হয়ে উঠছে নিজেদের রাজনীতির পসরা। ছিঃ, ছিঃ। তারাই আবার নিজেদের হিন্দু জাগরণের পুরোধা হিসেবে দাবি করে থাকে। সংশ্লিষ্ট হিন্দুবাদী সংগঠনগুলির এবং তাদের লোকজনের লজ্জা থাকা দরকার। কারণ তারা নিজের ঘরে থাকা সনাতনী ভাইদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়।

।।বিজ্ঞাপন।।

অথচ প্রতিবেশী বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য তাদের প্রাণ উষ্ঠাগত। রাজ্যের মানুষ তাদের এই রাজনীতির শিরা – ধমনী বুঝে গিয়েছে। হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদের নামে গৈরিক সংগঠনগুলি শুধুমাত্র নিজেদের আখের গোচানো ছাড়া আর কিছুই করছে না। আক্ষরিক অর্থে তাদের হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদের স্লোগান শুধু ফাঁকা আওয়াজ। নিজেদের কাজকর্মে তারাই প্রমাণ করছে এই বিষয়টি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *