#Tripura #khowai #Teliamura #Elephant #Dead #Janatar #Mashal।

বন আধিকারিকরা মনে করছেন, এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলের সময় রেলটি তার নির্দিষ্ট মেপে দেওয়া গতির চাইতে বেশী ছিলো। এর ফলেই এই দুর্ঘটনা।


“আমরা চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখেনি। তারপরও হাতিটিকে বাঁচিয়ে তোলা যায় নি। টিউমারকে সুস্থ করতে সোমবারেই গুজরাটের  জামনগর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল রওনা দিয়ে দিয়েছিল। হেলিকপ্টার দিয়ে হাতিটিকে ঘটনাস্থল থেকে চিকিৎসা করার জন্য চিকিৎসকদেরও প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা শেষ রক্ষা করতে পারিনি।


ডেস্ক রিপোর্টার, ৩১ডিসেম্বর।।
         চিকিৎসক এবং বনকর্মীদের সব রকমের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে গেলো দাতাল হাতি টিউমার।  গত ২৮ ডিসেম্বর মুঙ্গিয়াকামি থানা এলাকার লক্ষ্মীপুর এডিসি ভিলেজ  এলাকাতে রেলের  ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছিলো টিউমার। বনদপ্তরের চিকিৎসক এবং বনকর্মীরা  হাতিটিকে বাঁচিয়ে তুলতে সব রকমের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যা থেকেই টিউমারের শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে। বন্ধ হয়ে যায় তার খাওয়া – দাওয়া। রাত বাড়তেই টিউমারের শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় তার শরীরের রক্ত সঞ্চালন। শেষ পর্যন্ত রাত ১০টা নাগাদ জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে টিউমার চলে যায় না ফেরার দেশে।

।।বিজ্ঞাপন।।


জেলা বন আধিকারিক এ কে বরোদে জানিয়েছেন, “আমরা চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখেনি। তারপরও হাতিটিকে বাঁচিয়ে তোলা যায় নি। টিউমারকে সুস্থ করতে সোমবারেই গুজরাটের  জামনগর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল রওনা দিয়ে দিয়েছিল। হেলিকপ্টার দিয়ে হাতিটিকে ঘটনাস্থল থেকে চিকিৎসা করার জন্য চিকিৎসকদেরও প্রস্তুত করা হয়েছিল।কিন্তু আমরা শেষ রক্ষা করতে পারিনি।

।।বিজ্ঞাপন।।

টিউমারের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই বনদপ্তরের কর্মী এবং পশুপ্রেমীদের মধ্যে শোকের ছায়া পরিলক্ষিত হয়।মঙ্গলবার সকাল থেকেই আশপাশ এলাকার বহু মানুষ টিউমারকে  শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ছুটে আসে। টিউমারের মৃতদেহের সামনে পূজা অর্চনা করে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় খোয়াই  বন দপ্তরের  আধিকারিক ও কর্মীরা। পরে ময়নাতদন্তের শেষে টিউমারকে কবর দেয় বনকর্মীরা।

।।টিউমার।।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-hotel-businessman-abducted-in-ushabazar-capitals-crime-junction/

বিজ্ঞাপন(ADVT/ICA- C-3089/24)

খবর অনুযায়ী, ঘটনার দিন যে জায়গাতে টিউমার রেলের ধাক্কায় আহত হয়েছিল মূলত এটি ছিল হাতি পবন অঞ্চল। নিয়ম মোতাবেক এই অঞ্চল দিয়ে রেল চলাচলের সময় গতি অনেকটাই কম থাকার কথা। কিন্তু বন আধিকারিকরা মনে করছেন, এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলের সময় রেলটি তার নির্দিষ্ট মেপে দেওয়া গতির চাইতে বেশী ছিলো। এর ফলেই এই দুর্ঘটনা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *