#Agartala #Ushabazar #CPDW #Janatar Mashal।
১৮-তে রাজ্যের রাজনৈতিক পালা বদলের পরও উষা বাজারে রাজনীতি ও অপরাধের মিশ্রণের ঘনত্ব আরো বেশি গভীর হয়েছিলো। আড়ালে আবডালে নয়,একেবারে প্রকাশ্যে।
“গত ৩০ এপ্রিল খুন হয়েছিলো দুর্গা প্রসন্ন ওরফে ভিকি। ভিকির সঙ্গে থাকা তার বন্ধুদের মন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে শোকের ছ্যাঁকা। দুর্গা প্রসন্ন’ র মৃত্যুর কিছুদিন তারা হম্বি-তম্বি দেখিয়েছে।এখন অবশ্যই তারাও চুপসে গিয়েছে।রাজ নেতাদের খুশি করতে ভিকির বন্ধুরা হাত মিলিয়েছে চাটুকারদের সঙ্গে। বিনিময়ে অবশ্যই তারা পাচ্ছেন সিপিডব্লিউডি -র নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ভাগ-বাটোয়ারা।”
ডেস্ক রিপোর্টার, ৩রা নভেম্বর।।
রাজনীতির সঙ্গে অপরাধের সম্পৃক্ততা একটা পরম্পরা। এটা নতুন কিছু নয়। রাজ্যেও বহু কাল ধরে এই সংস্কৃতি ডালপালা মেলে রেখেছে। বাম – রাম সব জামানায় রাজনীতি ও অপরাধের মাখো মাখো ভাব অমলিন।
শহর সংলগ্ন ঊষা বাজারেও রাজনীতি – অপরাধের রসায়ন চলে আসছে পরম্পরাকে মান্যতা দিয়েই। বাম জামানায় ঊষা বাজারের মুকুটহীন সম্রাট কে ছিলেন? এটা সবার জানা। তার সঙ্গে মেলারমাঠ ও রাজ্যের প্রাক্তন অভিভাবক সহ কমিউনিস্ট নেতাদের সম্পর্ক কেমন ছিলো? এই প্রশ্নের উত্তরের চর্বিত চর্বনের কোনো প্রয়োজন নেই।
রাজু বর্মন ও দুর্গা প্রসন্ন- র মাঝখানে অপরাধের অনুঘটক হিসেবে থাকা রাজনীতিকরাই তৈরি করেছিলেন গ্যাং-ওয়ারের পরিবেশ।
১৮-তে রাজ্যের রাজনৈতিক পালা বদলের পরও উষা বাজারে রাজনীতি ও অপরাধের মিশ্রণের ঘনত্ব আরো বেশি গভীর হয়েছিলো। আড়ালে আবডালে নয়,একেবারে প্রকাশ্যে। ঊষাবাজার সিপিডব্লিউডি -র নিগোসিয়েশন কারবারের প্রাক্তন মুখিয়া রাজু বর্মনের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের ছবি আজও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছয়লাপ। একই অবস্থা ছিলো ঊষা বাজার ভারত রত্ন সংঘের খুন হওয়া ক্লাব সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন ওরফে ভিকির ক্ষেত্রেও।
রাজু – ভিকি উভয়ের সঙ্গেই শাসক দলের রাজনীতিকদের হাজারো ছবি ফ্রেমে বন্দী।
আরো খবর পড়ুন
https://janatarmashal.com/tripura-news-raju-bimanas-is-now-past-tripura-news।
তাদের উভয়ের সঙ্গেই শাসক দলের রাজনীতিকদের হাজারো ছবি ফ্রেমে বন্দী। রাজু বর্মন ও দুর্গা প্রসন্ন- র মাঝখানে অপরাধের অনুঘটক হিসেবে থাকা রাজনীতিকরাই তৈরি করেছিলেন গ্যাং-ওয়ারের পরিবেশ। আর তাতে একজন খালাস।অপর জন শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে জেলের চার দেওয়ালে। রাজনীতিকরা কৌশলে রাজু – ভিকিকে সরিয়ে দিয়ে নিজেরাই এখন মওকা মারছে মধুর ভাণ্ড সিপিডব্লিউডি -র।
গত ৩০ এপ্রিল খুন হয়েছিলো দুর্গা প্রসন্ন ওরফে ভিকি। ভিকির সঙ্গে থাকা তার বন্ধুদের মন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে শোকের ছ্যাঁকা। দুর্গা প্রসন্ন’ র মৃত্যুর কিছুদিন তারা হম্বি-তম্বি দেখিয়েছে।এখন অবশ্যই তারাও চুপসে গিয়েছে।কারণ তাদের পক্ষে নেই রাজ নেতারা। তাই রাজ নেতাদের খুশি করতে ভিকির বন্ধুরা হাত মিলিয়েছে চাটুকারদের সঙ্গে। বিনিময়ে অবশ্যই তারা পাচ্ছেন সিপিডব্লিউডি -র নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ভাগ-বাটোয়ারা।
ঊষাবাজারে কান পাতলেই শোনা যায়, স্থানীয় চন্দন চক্রবর্তী ছিলেন দুর্গা প্রসন্ন দেবের ডান হস্ত। দূর্গা খুনের পর বারবার চন্দন বাজার গরম করে লাইম লাইটে চলে এসেছে। সেই ছিলো দুর্গা প্রসন্ন গ্রুপের ক্যাশিয়ার। আর এখন দুর্গার শোক ভুলে গিয়ে প্রতিমাসে কুড়ি হাজার টাকা প্রনামির জন্য দুর্গা হত্যার অনুঘটকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন চন্দন চক্রবর্তী।তবে শুধু চন্দন একা নয়। দুর্গা প্রসন্ন গ্রুপের কোর কমিটির আরো কয়েকজন।
আরো খবর পড়ুন
https://x.com/janatarmashal24/status/1850885401768022365?t=Ex9255U4L_aphbU7dL5f0w&s=19
ঊষাবাজারের ভারত রত্ন সংঘের প্রাক্তন সম্পাদক দুর্গা প্রসন্ন খুনের পর স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা দুধ ওয়ালা রতন , কৃষ্ণনগরের সুখের পায়রা নাগাধীরাজ, গৈরিক নেতা মুকুল, জেলার নেতা অসিতরা সিপিডব্লিউডি -র নিগোসিয়েশনের ব্যাটন ধরেছেন।
ঊষাবাজারের ভারত রত্ন সংঘের প্রাক্তন সম্পাদক দুর্গা প্রসন্ন খুনের পর স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা দুধ ওয়ালা রতন , কৃষ্ণনগরের সুখের পায়রা নাগাধীরাজ, গৈরিক নেতা মুকুল, জেলার নেতা অসিতরা সিপিডব্লিউডি -র নিগোসিয়েশনের ব্যাটন ধরেছেন।এখন তাদের সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে চন্দন সহ আরো কয়েকজন।দীপাবলির দিনে বিজেপি নেতা তথা দুধওয়ালার সঙ্গে দাঁড়িয়ে বাজী ফোটানোর নির্দেশনা দিয়েছেন চন্দন চক্রবর্তী। এই ভিডিও ভাইরাল।
চন্দন তার পছন্দের কয়েকজনকে নিয়ে নাগাধীরাজ – রতন – মুকুলদের দলে নাম লিখিয়েছে।
এই মুহূর্তে ঊষাবাজারে রাজু বর্মনের গ্রুপের কোনো অস্তিত্ব নেই। দূর্গা প্রসন্ন- গ্রুপের মুখিয়া এখন চন্দন। অভিযোগ, চন্দন তার পছন্দের কয়েকজনকে নিয়ে নাগাধীরাজ – রতন – মুকুলদের দলে নাম লিখিয়েছে।ত্রয়ী গৈরিক নেতার সঙ্গে আছেন সিপিডব্লিউডি -র প্রথম সারির দুই কমরেড ঠিকাদার দিলীপ – বলরাম। অর্থাৎ অর্থের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে বন্ধু মৃত্যুর শোক ভুলে গিয়ে চন্দন বাহিনী নেতা – ঠিকাদারদের ফরমাইস খাটতে শুরু করেছে চন্দন।
সিপিডব্লিউডি -র প্রথম সারির দুই কমরেড ঠিকাদার দিলীপ – বলরাম- র বাড়ি থেকেই তৈরি হয়েছে নিগোসিয়েশনের নতুন সূত্র।
তবে চন্দনের এই আচরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ ঊষাবাজারের বড় অংশের যুবকরা। কিন্তু এই মুহূর্তে তারা ভয়ে কিছু বলছে না। তবে চন্দন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তারাও পাকাচ্ছে সলতে।স্বাভাবিক ভাবেই চন্দন চক্রবর্তীর ডিগবাজি কেন্দ্র করে পুনরায় ঊষাবাজারে স্থানীয় যুবকদের মধ্যে পরিস্থিতি বিষিয়ে উঠলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মনে করছেন অপরাধ জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজন।