গণ্ডাছড়ার বাসিন্দাদের বক্তব্য, “দুর্গাবাড়ি থেকে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হয়। পূজা, দান, দোকান ভাড়া সব মিলিয়ে বিশাল অঙ্কের খেলা দূর্গা বাড়িতে। তা সত্ত্বেও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার কোনো উদ্যোগ নেই মাতব্বরদের। স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দিয়েছে নিগম কর্তৃপক্ষ।
ডেস্ক রিপোর্টার,২০ অক্টোবর।। আলোর উৎসব দীপাবলিতেও টানা চার দিন ধরে অন্ধকারে নিমজ্জিত গন্ডাছড়া বাজারের হৃদয়স্থলে দাঁড়িয়ে থাকা সনাতনী বাঙালিদের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাবাড়ি।যার ইতিহাস জড়িয়ে আছে হাজারো মানুষের আবেগ। ছিঃ ছিঃ। লজ্জা। বিদ্যুতের বকেয়া বিল না দেওয়াতে নিগম কর্তৃপক্ষ দুর্গাবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দিয়েছে। অথচ দূর্গাবাড়ির কোষাগারে অর্থের অভাব নেই।অভিযোগ, এই অর্থ লুটেপুটে খাচ্ছেন শাসক দল বিজেপির তিন বাঙালি নেতা। তারা নিজেদের বড় “হনু ” ভাবতে শুরু করেছেন। কিন্তু গত বছরের ১২ জুলাইয়ের হিংসাত্মক ঘটনার সময় নিজ নিজ বাড়ির গেটের ভিতরের তালা ঝুলিয়ে স্ব-জাতিদের আর্তনাদ উপভোগ করছিলেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার দুঃসাহস দেখাতে পারেন নি রাইমাভ্যালি মন্ডলের বিজেপির সিকি-আধুলি নেতারা।
লাল বৃত্তের মধ্যে আদিত্য সরকার( সাধারন সম্পাদক, রাইমাভ্যালী মণ্ডল) ও গোপাল সরকার, (কিষান মোর্চা, রাজ্য কমিটির সদস্য)।
বর্তমানে চরম অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি আর উদাসীনতার কারণে দূর্গা বাড়ি এখন ঘোর কালো ছায়ার গ্রাসে।
বছরের পর বছর ধরে পূজার্চনা, সামাজিক অনুষ্ঠান আর এলাকার মিলন মেলার কেন্দ্র হিসেবে এই দুর্গাবাড়ি ছিল গন্ডাছড়ার গর্ব। বর্তমানে চরম অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি আর উদাসীনতার কারণে দূর্গা বাড়ি এখন ঘোর কালো ছায়ার গ্রাসে। গণ্ডাছড়ার বাসিন্দাদের বক্তব্য, “দুর্গাবাড়ি থেকে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হয়। পূজা, দান, দোকান ভাড়া সব মিলিয়ে বিশাল অঙ্কের খেলা দূর্গা বাড়িতে। তা সত্ত্বেও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার কোনো উদ্যোগ নেই মাতব্বরদের। স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দিয়েছে নিগম কর্তৃপক্ষ।
রাইমাভ্যালি মণ্ডলের ত্রিমূর্তি হলেন সাধারণ সম্পাদক আদিত্য সরকার, মণ্ডলের যুবমোর্চার সহ সভাপতি লিটন দেবনাথ ও কিষান মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার।
গণ্ডাছড়ার লোকজনের কথায়, দূর্গা বাড়ির সম্পদ এখন শাসক দলের তিন সিকি – আধুলি নেতারা সিন্দুকে বন্দী। তাদের অন্যতম রাইমাভ্যালি মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক আদিত্য সরকার, মণ্ডলের যুবমোর্চার সহ সভাপতি লিটন দেবনাথ ও কিষান মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার।অভিযোগ এই গণ্ডাছড়ার এই ত্রিমূর্তির কালো হাত ঢুকেছে দূর্গাবাড়ির কোষাগারে। দূর্গা বাড়ি চত্বরে থাকা তিনটি দোকন ভিটি বগল দাবা করেছেন আদিত্য – লিটন – গোপাল। এই ভিটি গুলি দূর্গাবাড়ির সম্পত্তি। তারা কেউই দোকান ভিটির মাসিক ভাড়া। অথচ একই জায়গাতে থাকা অন্যান্য দোকানিরা নিয়মিত ভাড়া দেন দূর্গা বাড়ির কোষাগারে। মন্দির কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ভয়ে বিজেপির এই তিন সিকি নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস করেন না।
লিটন দেবনাথ। ( সহ – সভাপতি, যুবমোর্চা,রাইমাভ্যালী মণ্ডল)
গণ্ডাছড়ার দুর্গাবাড়ি শুধু একটি স্থাপনা নয়—এটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বাঙালি সমাজের “প্রতীক”।
গণ্ডাছড়ার দুর্গাবাড়ি শুধু একটি স্থাপনা নয়—এটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বাঙালি সমাজের “প্রতীক”। দেশ ভাগের পর পূর্ব পাকিস্তান থেকে এপাড়ের গন্ডাছড়ায় স্থানান্তরিত হওয়া লোকজনের রক্ত – ঘামে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল দেবী দূর্গার এই “বাড়ি”। দূর্গা বাড়িটি এই সকল লোকজনের আশা – আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের স্মারক। আজ এই ঐতিহ্যবাহী দূর্গাবাড়ি ধান্দাবাজ রাজনৈতিক নেতাদের দৌলতে হারিয়ে ফেলেছে গরিমা। আলোর উৎসবের দিনেই গণ্ডাছড়ার দূর্গাবাড়ি ডুবে গিয়েছে ঘুটঘুটে অন্ধকারে।
দূর্গা বাড়ি, গন্ডাছড়া।( আলো থাকা অবস্থায় তোলা,ফাইল ছবি)
রাইমাভ্যালী বিজেপির ত্রিমূর্তি আদিত্য – লিটন – গোপালের উপর যে কোন সময় আছড়ে পড়বে জনতার রুদ্ররোষ!
স্থানীয় লোকজন ক্ষোভে ফুঁসছে।কিন্তু ভয়ও আছে। তাই কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তবে যেকোন সময় ভেঙে যাবে মানুষের ধৈর্যের বাঁধ। আর তখন রেহায় পাবেন না রাইমাভ্যালী বিজেপির ত্রিমূর্তি আদিত্য – লিটন – গোপাল। তাদের উপর যে কোন সময় আছড়ে পড়বে জনতার রুদ্ররোষ।