বন্যা থামতেই ঘটিবাটি হারিয়ে সর্বশান্ত হওয়া মানুষগুলির জীবনে নেমে আসে আরো এক ভয়ংকর অভিশাপ। বন্যা কবলিত অঞ্চলে ঘরে ঘরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন নানান রোগ- ব্যাধিতে।
।।স্বাস্থ্য শিবিরে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা।।
“সদ্য বন্যায় রাজ্যের বহু মানুষ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বহু মানুষের বাড়ি ঘর বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে। পরিধান যোগ্য বস্ত্র, বহু কষ্টের উপার্জিত অর্থ , সাধের স্বর্ণালংকার, পড়ুয়াদের বইপত্র, সর্বশেষে মাথা গুঁজার ঠাঁই- টুকুও কেড়ে নিয়েছে অভিশপ্ত বন্যা। সর্বস্ব হারিয়ে তারা এখন অসহায়।”
“ক্লান্তি ভুলে কর্তব্যে থাকেন সদা অবিচল মারন অসুখেও আরোগ্যের আশ্বাস দেন যিনি তাঁর স্পর্শে রোগ ব্যাধি যায় দূরে…।”
চিকিৎসক। তিনিও একজন মানুষ। তাই মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন, মানবিক দৃষ্টি কোন থেকে। পালন করবেন নিজ দায়িত্ব। গোটা চিকিৎসক কূলের প্রতি এটাই প্রত্যাশা এই সমাজের। চিকিৎসকরাও ক্লান্তিহীন ভাবে পালন করে যান নিজ নিজ দায়িত্ব।
।।স্বাস্থ্য শিবিরে রোগীর লাইন।।
ছুটির দিনেও নিজেদের আরাম – আয়েস ভুলে কর্তব্যের নাড়ির টানে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা।
শেষ রবিবার ছিলো চিকিৎসকদের সরকারি ছুটির দিন। এই ছুটির দিনেও নিজেদের আরাম – আয়েস ভুলে কর্তব্যের নাড়ির টানে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন হাঁপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা।
।।ব্যাপক সাড়া স্বাস্থ্য শিবিরে।।
সদ্য বন্যায় রাজ্যের বহু মানুষ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বহু মানুষের বাড়ি ঘর বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে। পরিধান যোগ্য বস্ত্র, বহু কষ্টের উপার্জিত অর্থ , সাধের স্বর্ণালংকার, পড়ুয়াদের বইপত্র, সর্বশেষে মাথা গুঁজার ঠাঁই- টুকুও কেড়ে নিয়েছে অভিশপ্ত বন্যা। সর্বস্ব হারিয়ে তারা এখন অসহায়।
কিন্তু বন্যা থামতেই ঘটিবাটি হারিয়ে সর্বশান্ত হওয়া মানুষগুলির জীবনে নেমে আসে আরো এক ভয়ংকর অভিশাপ। বন্যা কবলিত অঞ্চলে ঘরে ঘরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন নানান রোগ- ব্যাধিতে। প্রতিদিন তাদের শরীরে দেখা দিচ্ছে নানান উপসর্গ। এই সমস্ত মানুষের শারীরিক উপসর্গ নির্মূল করার একমাত্র আস্থার স্থল “চিকিৎসক”। পরিস্থিতি অনুধাবন করে বানভাসি মানুষকে নানান শারীরিক উপসর্গ থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য কোমর কেচে মাঠে নেমেছেন হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা। গত রবিবারই তারা ছুটে গিয়েছিলেন অমরপুর বীরগঞ্জ এলাকায়। সেখানে তারা স্থানীয় বাংকারায় পাড়া উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে আয়োজন করেন এক মেগা স্বাস্থ্য শিবির।
।।বিজ্ঞাপন।।
মেডিসিন, ডার্মাটোলজি (চর্ম), পেডিয়াট্রিকস (শিশু) এবং কমিউনিটিভ মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন শিবিরে। তারা বানভাসি লোকজনের মধ্যে বিনামূল্যে ঔষধ, ফিনাইল, ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদি প্রদান করেন। খাবার, জামা, কাপড়ও তুলে দেন বন্যার গ্রাস থেকে কোনো ক্রমে বেঁচে আসা মানুষ জনের মধ্যে।এদিনের মেগা স্বাস্থ্য শিবিরে দুই শতাধিক অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়েছেন উপস্থিত চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “এর আগে গর্জনমুড়াতেও তারা একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছিলো।তাতে ১৯৯জন মানুষ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছেন। আগামী ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বরও দুটি মেগা স্বাস্থ্য শিবির অনুষ্ঠিত করবেন।” এদিনের স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ডা: চিরঞ্জিত গোপ, ডা: কৌশিক নাগ, ডা: ননীগোপাল দাস, ডা: সুজিৎ দেববরমা, ডা: অনির্বাণ সাহা, ডা: অভিষেক আচার্য্য, ডা: স্নেহা সিংহ, ডা: অরিজিৎ দেব প্রমুখ। এছাড়াও নার্স,ফার্মাসিস্টরা উপস্থিত থেকে বানভাসীদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করেন।