ডেস্ক রিপোর্টার, ১৪ মার্চ।।
                 আগরতলা পুর নিগমের মেয়রকে ঘুমে রেখে স্ত্রীকে ভুয়ো কর্পোরেটর বানিয়ে পুনে সফর করিয়ে আনলেন নর্থ জোনালের চেয়ারম্যান প্রদীপ চন্দ। অভিযোগ বিজেপির কর্মীদের। এতো বড় অপরাধ কিভাবে সংঘটিত করলেন প্রদীপ চন্দ? তার বিরুদ্ধে কি মেয়র দীপক মজুমদার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ? এই প্রশ্ন তুলছেন দলের কর্মীরা। কারণ প্রদীপ চন্দের এই চাটুকারিতার ফলে কালিমালিপ্ত হয়েছে খোদ ভারতীয় জনতা পার্টি।

।নিগমের অন্যান্য কর্পোরেটদের সঙ্গে জোনাল চেয়ারম্যানের স্ত্রী।

আগরতলা পুর নিগমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি নিগম কর্তৃক তাদের কর্পোরেটরদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পাঠিয়ে ছিলো পুনেতে। তারা সেখানে বেশ কয়েকদিন প্রশিক্ষণ নেন। ধাপে ধাপেই বিভিন্ন রাজ্যে কর্পোরেটরদের পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন খোদ মেয়র ও কমিশনার। এর অঙ্গ হিসাবেই পুনেতেও কর্পোরেটরদের পাঠানো হয়েছিল। এখানেই মেয়র দীপক মজুমদারের ভাবের ঘরে মস্ত বড় চুরি করেন নর্থ জোনালের চেয়ারম্যান তথা নিগমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর প্রদীপ চন্দ।

পুনে সফরে যাওয়ার কথা ছিলো প্রদীপ চন্দের প্রতিবেশী ওয়ার্ডে’র (১৪ নম্বর) কর্পোরেটর স্নিগ্ধা দাস (দেব)- র।

আগরতলা পুর নিগমের অন্দরে খবর, পুনে সফরে যাওয়ার কথা ছিলো প্রদীপ চন্দের প্রতিবেশী ওয়ার্ডে’র (১৪ নম্বর) কর্পোরেটর স্নিগ্ধা দাস (দেব)- র।কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে স্নিগ্ধা দেবী যান নি পুনেতে। আর এখানেই বাজিমাত করেন চতুর কর্পোরেটর প্রদীপ চন্দ।বলছেন খোদ নিগমের কর্মীরা। অভিযোগ, প্রদীপ চন্দ স্নিগ্ধা দেবীর পরিবর্তে তার স্ত্রীকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর বানিয়ে দেন। এবং কর্পোরেটরদের টিমের সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়ে যান পুনেতে। একজন কর্পোরেটর হিসাবে তিনি  প্রদীপ চন্দের স্ত্রী দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।


আগরতলা পুরো নিগমের নর্থ জোনাল চেয়ারম্যান প্রদীপ চন্দ্রের মস্ত বড় অপরাধ। তিনি মেয়রকেও ঘুমে বিক্রি করে দিয়েছেন।তিনি নিজেই নিগমের মেয়র হওয়ার স্বপ্নে লীন।

কর্পোরেটরদের  প্রশিক্ষণ হয় যশবন্ত্রো চেভন একাডেমি ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামক একটি সংস্থায়। প্রশিক্ষণ শেষে কর্পোরেটররা এক সঙ্গে একাডেমির সামনেই ছবি তুলেছেন। ছবিতে দেখা যায় সাদা টুপি পড়ে নিগমের অন্যান্য কর্পোরেটদের সঙ্গেই একই সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন প্রদীপ চন্দের স্ত্রী।তিনি পূর্বাশাতে চাকরি করেন। এটা আগরতলা পুরো নিগমের নর্থ জোনাল চেয়ারম্যান প্রদীপ চন্দ্রের মস্ত বড় অপরাধ। তিনি মেয়রকেও ঘুমে বিক্রি করে দিয়েছেন।
          আগরতলার রাজনীতিতে প্রদীপ চন্দ সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। একজন কর্পোরেটর হিসাবে তাঁর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ শোনা যায় লোকমুখে। এই গুলি না  হয়, আপাতত তোলা থাক কুলুঙ্গিতে। ..(চলবে)

#Tripura #Agartala# Municipal#Corporation# Corporator# #JM
                


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *