“মফিজুল ইসলাম ওরফে রিমন কাজী সোনামুড়া অঞ্চলের মাদক সম্রাট। আর তার সঙ্গী মান্তু তেলিয়ামুড়ার এলিট ক্লাসের মাদক কারবারী।বর্তমানে এরা যৌথ ভাবে মাদক ব্যবসা করছে। তাদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের অনেক পদস্থ কর্তাদের উঠাবসা। মাদক কারবার কেন্দ্র করেই নাকি ফরিদ মিয়ার ছেলে মিছিল মিয়ার সঙ্গে তাদের সংঘাত। এই সূত্র ধরেই রবিবার রাতে লোকজন নিয়ে রিমন ও মন্তু হামলা করে ফরিদ মিয়ার বাঁশ পুকুর এলাকার বাড়িতে।পুলিশি নিরাপত্তার চক্রবুহ্য ভেদ করে দুষ্কৃতীরা রাতের আধারে হিন্দি সিনেমার কায়দায় হামলা সংঘটিত করে।”


ফরিদ মিয়া সোনামুড়া থানায় রিমন কাজী ও মন্তু’ র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রথমে মামলা রুজু করতে চায় নি।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৩ জুলাই ।।
      দুই মাদক ব্যবসায়ীর  মফিজুল ইসলাম ওরফে রিমন কাজী ও মন্তু’ র যুগল বন্দীতে অস্ত্রের আস্ফালনে তপ্ত সোনামুড়া। অভিযোগ, এই দুই মাদক কারবারীর নেতৃত্বে রবিবার রাতে সোনামুড়ার বাশ পুকুর এলাকার বাসিন্দা ফরিদ মিয়ার বাড়িতে হামলা সংঘটিত হয়। ফরিদ মিয়ার ছেলে মিছিল মিয়াকে তারা আক্রমণ করে। কোনো রকমে মিছিল প্রাণে বেঁচে যায়। দুষ্কৃতীরা ফরিদ মিয়ার বাড়িতে দুই রাউন্ড গুলিও করে। রাতের এই ঘটনা কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাঁশ পুকুর অঞ্চলে।সোমবার সকালে ফরিদ মিয়া সোনামুড়া থানায় রিমন কাজী ও মন্তু’ র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এখন পর্যন্ত  গ্রেফতারের কোনো খবর নেই। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো রাজ্যে রাজ্যের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে থিক থিক করছে আগ্নেয়াস্ত্র।

।।বিজ্ঞাপণ।।

খবর অনুযায়ী , এই মুহুর্তে মফিজুল ইসলাম ওরফে রিমন কাজী সোনামুড়া অঞ্চলের মাদক সম্রাট। আর তার সঙ্গী মান্তু তেলিয়ামুড়ার এলিট ক্লাসের মাদক কারবারী।বর্তমানে এরা যৌথ ভাবে মাদক ব্যবসা করছে। তাদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের অনেক পদস্থ কর্তাদের উঠাবসা। মাদক কারবার কেন্দ্র করেই নাকি ফরিদ মিয়ার ছেলে মিছিল মিয়ার সঙ্গে তাদের সংঘাত। এই সূত্র ধরেই রবিবার রাতে লোকজন নিয়ে রিমন ও মন্তু হামলা করে ফরিদ মিয়ার বাঁশ পুকুর এলাকার বাড়িতে।পুলিশি নিরাপত্তার চক্রবুহ্য ভেদ করে দুষ্কৃতীরা রাতের আধারে হিন্দি সিনেমার কায়দায় হামলা সংঘটিত করে।অভিযোগ ফরিদ মিয়ার।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-is-achai-the-mastermind-in-the-gandachhara-case-or-is-the-drama-of-arresting-achai-to-hide-the-key-players-dhalai-gandachhara-riot-janatar-mashal/

তারা ফরিদের বাড়িতে প্রবেশ করেই তার ছেলে মিছিল মিয়াকে খোঁজ করে।এবং তাকে ঘর থেকে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করে। শেষ পর্যন্ত মিছিল কোনো রকমে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচে। মিছিল যখন দুষ্কৃতীদের জটলা থেকে বেরিয়ে দৌড় শুরু করেছিলো,তখন তাকে লক্ষ্য করে পিস্তল থেকে পর পর দুইটি গুলি ছোঁড়ে রিমন কাজী।কিন্তু পিস্তল থেকে রিমনের ছোড়া বুলেট লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়।

মাদক সম্রাট রিমন কাজী (প্রতীকী ছবি)

তাই বরাদ জোরে বেঁচে যায় মিছিল।এরপর দুষ্কৃতীরা মিছিলের বাড়িতে ভাঙচুর করে। প্রায় ঘন্টা দুয়েক ধরে রিমন কাজী ও মান্তুর লোকজন ফরিদ মিয়ার বাড়িতে রীতিমত লুটপাট চালায়। কিন্তু এই সময়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতে পারে নি। এই ঘটনার মাধ্যমে রাতের  সোনামুড়াতে   পুলিশি নিরাপত্তার কঙ্কাল সার বেরিয়ে আসে। দুষ্কৃতীরা হামলা-হুজ্জুতি করে গা ঢাকা দেয় নিরাপদে।
       


ফরিদ মিয়ার পরিবারের বক্তব্য, রাতেই তারা বিষয়টি জানিয়েছে সোনামুড়া থানা পুলিশকে। এর পর দায়িত্ব খালাস করতে ফরিদ মিয়ার বাড়িতে যায় পুলিশ। এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসে।শেষে রাতেই মামলা দায়ের করতে থানায় ছুটে গিয়েছিলেন ফরিদ মিয়া।কিন্তু পুলিশ রহস্য জনক কারণে মামলা নিতে রাজী হয় নি। শেষ পর্যন্ত অনেক টালবাহানার পর সোমবার সকালে মামলা রুজু করে।

।।বিজ্ঞাপণ।।

আরো খবর পড়ুন

https://x.com/janatarmashal24/status/1809698024370893244?t=mNRnYET8giG5cR4qjHYEfw&s=19

কিন্তু গ্রেফতার নেই। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য অনুযায়ী, রতি রঞ্জন দেবনাথ সিপাহীজলার এসপি থাকা কালীন তুলনামূলক ভাবে গোটা জেলায় নেশা কারবারের লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছিল পুলিশ।কিন্তু রতি রঞ্জন জেলার এসপির দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর পুরানো ফর্মে ফিরে আছে মাদক কারবারীরা। তার প্রমাণ হাতে নাতে পাওয়া যায় বাঁশ পুকুরের ঘটনায়।
                     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কি মিস করেছেন