#Tripura #Ushabazar #CPWD #Janatar Mashal।

গোটা ঘটনার পেছনে পর্দার আড়াল থেকে ঠিকাদার দিলীপ – বলরাম পাশা ঘুটির চাল দিয়ে সফল হয়েছিল।তাদের সঙ্গে অবশ্যই ছিলো স্থানীয় দুধ ওয়ালা নেতা রতন।



“সিপিডব্লিউডি- র  দুই ঠিকাদার দিলীপ ও বলরাম বামেদের রান্না ঘরের ছেলে।এটা গোটা বড়জলা কেন্দ্রে ওপেন সিক্রেট।২৩- র বিধানসভা নির্বাচনেও বড়জলা কেন্দ্রে বামেদের মূল স্পন্সরারদের মধ্যে তারা দুইজন ছিলেন অন্যতম।”

ডেস্ক রিপোর্টার,৯ নভেম্বর।।
          বাম  জামানার ক্যাডারই এখন বিজেপির এসেট। বিজেপির সংগঠনের বিভিন্ন স্তরেই দেখা যাচ্ছে এই দৃশ্য। তা আরো স্পষ্ট হয়েছে ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডি- র নিগোসিয়েশন কারবারের।
সিপিডব্লিউডি- র  দুই ঠিকাদার দিলীপ ও বলরাম বামেদের রান্না ঘরের ছেলে।এটা গোটা বড়জলা কেন্দ্রে ওপেন সিক্রেট।অভিযোগ, ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনেও বড়জলা কেন্দ্রে বামেদের মূল স্পন্সরারদের মধ্যে তারা দুইজন ছিলেন অন্যতম। দিলীপ – বলরাম বাম জামানার সিপিডব্লিউডি- র মাস্টার মাইন্ড দেবাশীষ ভট্টাচার্যের সঙ্গে ছিলো হরহর আত্মার মতো। গোটা বড়জলা কেন্দ্রে ঠিকাদার দিলীপের বাড়ি থেকে বাম আন্দোলনের নকশা তৈরি হতো। ১৮- র পালা বদলের পর ধীরে ধীরে দিলীপ – বলরাম গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ঘেঁষতে থাকে। বিভিন্ন ইউংসের মাধ্যমে বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে। তাও আবার মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে।

।।বিজ্ঞাপন।।

দিলীপ – বলরাম বাম জামানার সিপিডব্লিউডি- র মাস্টার মাইন্ড দেবাশীষ ভট্টাচার্যের সঙ্গে ছিলো হরহর আত্মার মতো।

২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে বাম – রাম উভয় শিবিরে স্পন্সর করে। রাম দল ক্ষমতায় আসার পর পুরোপুরি ভাবে গেরুয়া শিবিরে আবিষ্ট হয়ে যায়।এরপরই তারা প্রথমে রাজু বর্মনের বিরুদ্ধে দুর্গা প্রসন্ন দেব সহ অন্যান্য যুবকদের লেলিয়ে দেয়। তারাও ক্ষমতার লোভে রাজু গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈরিতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত দুই শিবির সন্মুখ সমরে চলে আসে।পেছন থেকে তামসা দেখছিল দিলীপ – বলরাম। এক সময় রাজু গোষ্ঠী দুর্গ প্রসন্নকে খালাস করে দেয়। রাজু তার সাম্রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।এবং পরবর্তীতে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
           ঊষা বাজারের লোকজনের বক্তব্য, গোটা ঘটনার পেছনে পর্দার আড়াল থেকে ঠিকাদার দিলীপ – বলরাম পাশা ঘুটির চাল দিয়ে সফল হয়েছিল।তাদের সঙ্গে অবশ্যই ছিলো স্থানীয় দুধ ওয়ালা নেতা রতন। রতন তার রাজনৈতিক গড ফাদারদের জানিয়ে দেন, বাম ক্যাডার দিলীপ – বলরামদের সঙ্গে রাখলে পাওয়া যাবে মোটা অংকের প্রনামি।রতনের কথা মেনেই কৃষ্ণ নগরের দাদারা বুকে টেনে নেয় বাম ক্যাডার তথা ঠিকাদার দিলীপ – বলরামদের। আর তাতেই কৃষ্ণ নগরের দাদারা সহ বাম ক্যাডার দিলীপ – বলরামের কেল্লা ফতে হয়ে যায়।

।।দূর্গা প্রসন্ন- র খুনেই ধ্বংস ঊষা বাজার।।




দিলীপ – বলরাম – রতন  কৃষ্ণ নগরের কয়েকজন  দাদার সঙ্গে মিলে সিপিডব্লিউডি- র নিগোসিয়েশনের কমিশন সহ নির্মাণ কাজ কুক্ষিগত করার ব্লু প্রিন্ট রচনা করে। তখনই কৃষ্ণনগরের দাদারা তাদের প্রতিনিধি হিসাবে নাগাধীরাজকে নিয়োগ করে।এবং তাকে দেয় পূর্ণ শক্তি। এই কারণেই নাগা ধীরাজ হাত খুলে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের স্যুই দিয়ে সিলানো থেকে চন্ডি পাঠ সবই শুরু করেছেন। গোটা নিগোসিয়েশন কারবার কিভাবে পরিচালনা করতে হবে?


দিলীপ – বলরামের ব্লু প্রিন্ট’ র কারণে বড়জলা কেন্দ্রে বিজেপির জন্য রক্ত – ঘাম ঝরানো যুবকরা চলে যায় ব্রাতের তালিকায়।

তার সমস্ত রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছে বাম ক্যাডার দিলীপ – বলরাম। এর ফলে বড়জলা কেন্দ্রে বিজেপির জন্য রক্ত – ঘাম ঝরানো যুবকরা চলে যায় ব্রাতের তালিকায়। খুন হওয়া দুর্গা প্রসন্ন এবং জেলে বন্দী রাজু বর্মন কিন্তু বিজেপির দুর্দিনের হাতিয়ার ছিলো। দিলীপ – বলরামের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে উভয়েই এখন নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে।এখন পোয়া বারো দিলীপ – বলরামের।তারাই নাগাধিরাজকে সামনে রেখে সিপিডব্লিউডি- র মধুর ভাণ্ডের রস আস্বাদন করছে।
        


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *