ইতিমধ্যেই সংসদে ভোটাভুটির মাধ্যমে ওয়াকফ বিল সংশোধনের আইন পাশ করা হয়। আর এই বিল পাশের পর থেকে কোথাও বা অভিনন্দন আবার কোথাও বা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মুসলিম সমাজ। আর এরই অঙ্গ হিসাবে শুক্রবার সন্ধ্যায় কদমতলায় এক বিক্ষোভ মিছিল করলো জাতীয় কংগ্রেস। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল বাসিছ এবং ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মানিক লাল দাস।শুরু থেকেই বিলের বিরোধিতা করছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। এক প্রকার উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে গোটা দেশে।
এই বিল সংবিধান বিরোধী,তাই অতিসত্বর বিলটি প্রত্যাহার করতে হবে।
মূলতঃ এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা বাজারে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত করে কদমতলা ব্লক কংগ্রেস সহ তাদের অন্যান্য শাখা সংগঠনের কর্মীরা। তাদের বক্তব্য, এই বিল সংবিধান বিরোধী,তাই অতিসত্বর বিলটি প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় গোটা দেশব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাবে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দল। এদিন হাতে হাতে প্লে কার্ড নিয়ে সমস্ত কদমতলা বাজার এলাকা পরিক্রমা করে মিছিল।
মিছিলে উপস্থিত কংগ্রেস নেতা আব্দুল বাছিত চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার অপব্যবহার করে এই বিলটি মানুষের উপর জোর করে চাপিয়ে দিয়েছে। তাই এই বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সারা দেশে জাতীয় কংগ্রেস আন্দোলনে নেমেছে।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে, কে হিন্দু? কে মুসলিম? কে বৌদ্ধ?কে খ্রিস্টান? সেটা পরিচয় ছিল না।
তিনি বলেন, বিগত দিনেও কৃষি আইন পাস হয়ে যাওয়ার পরও কৃষকদের আন্দোলনের চাপে পড়ে বিল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি তার বক্তব্য, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে, কে হিন্দু? কে মুসলিম? কে বৌদ্ধ?কে খ্রিস্টান? সেটা পরিচয় ছিল না। পরিচয় ছিল একটাই আমরা সবাই ভারতবাসী। তাই সরকার অতি শীঘ্রই এই বিল প্রত্যাহার না করলে পার্লামেন্টের ভেতরে এবং বাইরে দেশব্যাপী কংগ্রেসের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।