প্রতিমার জন্য এখন এক মাত্র প্রদেশ সভাপতির পদ খালি রয়েছে।বর্তমান প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য’র রাজ্য সভার সাংসদ হওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাজীব ভট্টাচার্য – র পর কে হবেন প্রদেশ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি?
“দিদির পাখির চোখ থাকবে প্রদেশ সভাপতির চেয়ারের দিকে। ” তা ঠিক, তবে প্রদেশ সভাপতির চেয়ারে বসার দৌঁড়ে রয়েছেন দলের আরো কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব।তারাও প্রতিমাকে সহজেই চেয়ার ছেড়ে দেবেন না। তাই সভাপতি চেয়ারের ইঁদুর দৌঁড়ে যে প্রতিমাকেও পড়তে হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে, এটা হলফ করে বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
।।বিজ্ঞাপন।।
ডেস্ক রিপোর্টার,২৫আগস্ট।। রাজ্য বিজেপির হেভি ওয়েট নেত্রী প্রতিমা ভৌমিক।তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু প্রতিমা ভৌমিকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি হবে?এই নিয়ে বিজেপির ঘরোয়া রাজনীতিতে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রতিমা ভৌমিককে লোকসভার টিকিট থেকে বঞ্চিত রেখেছিলেন। রাজনৈতিক মহলের প্রত্যাশা ছিল, বিজেপির এই জাদরেল নেত্রীকে রাজ্যসভায় স্থান দেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।তিনি রাজ্য সভার প্রার্থীর দৌঁড়ে ছিলেন।শেষ পর্যন্ত বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব রাজ্য সভার জন্য আস্থা রেখেছেন প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্যের উপর। স্বাভাবিক ভাবেই এখন প্রতিমা ভৌমিকের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে চিন্তায় পড়েছে তাঁর অনুগামীরা।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিলো, প্রতিমাকে রাজ্য সভায় পাঠিয়ে দিল্লি নেতৃত্ব ব্যালেন্সড করবে।কিন্তু তা হলো না।
।।বন্যা কবলিত অঞ্চলে শিশুকে কোলে নিয়ে উদ্ধার করেছেন নেত্রী।।
প্রদেশ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে প্রতিমা ভৌমিক অন্যতম। ১৮- র নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে প্রতিমা ভৌমিকেরও অবদান রয়েছে। বিপ্লব কুমার দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এরপর বিপ্লবকে ফের স্থান দেয় লোকসভায়। দলের অপর শীর্ষ নেতা জিষ্ণু দেববর্মনকে করা হয়েছে তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিলো, প্রতিমাকে রাজ্য সভায় পাঠিয়ে দিল্লি নেতৃত্ব ব্যালেন্সড করবে।কিন্তু তা হলো না। প্রতিমা ভৌমিক ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর কেন্দ্র করে লড়াই করে বিজয়ী হয়েছিলেন।তখন তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, এক ব্যক্তি দুইটি সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে ধরে রাখতে পারেন না। তাই এই সাংবাদিক ফর্মুলাতে প্রতিমা তাঁর গড় হিসাবে পরিচিত ধনপুর কেন্দ্রের বিধায়িকার পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
।।বিজ্ঞাপন।।
উপ নির্বাচনে ধনপুরে তাঁর অনুগামী বিন্দু দেবনাথ বিধায়ক হয়েছেন। এই মুহূর্তে প্রতিমা ভৌমিক নেই দলের কোনো হেভি ওয়েট ও জৌলুস পূর্ণ পদেও। লোকসভা ও রাজ্য সভার টিকিট হাত ছাড়া হওয়ার পর প্রতিমা ভৌমিকের পরবর্তী রাজনৈতিক মাইলস্টোন কোথায় ঠেকবে?এটাই এখন রাজ্য রাজনীতির অন্দর মহলের কোটি টাকার প্রশ্ন।
।।ত্রাণ শিবিরে প্রতিমা।।
রাজীব ভট্টাচার্য – র পর কে হবেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, প্রতিমার জন্য এখন এক মাত্র প্রদেশ সভাপতির পদ খালি রয়েছে।বর্তমান প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য’র রাজ্য সভার সাংসদ হওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের রাখি বাঁধছেন প্রতীমা।।
প্রতিমা ভৌমিকের অনুগামীদের কথায়,”দিদির পাখির চোখ থাকবে প্রদেশ সভাপতির চেয়ারের দিকে। ” তা ঠিক, তবে প্রদেশ সভাপতির চেয়ারে বসার দৌঁড়ে রয়েছেন দলের আরো কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব।তারাও প্রতিমাকে সহজেই চেয়ার ছেড়ে দেবেন না। তাই সভাপতি চেয়ারের ইঁদুর দৌঁড়ে যে প্রতিমাকেও পড়তে হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে, এটা হলফ করে বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
।।বিজ্ঞাপন।।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বার বার প্রতিমাকে হতাশ করার পর কি ফের দলের স্টিয়ারিং তুলে দেবেন তাঁর হাতে? নাকি, আগামী দিনে প্রদেশ সভাপতির চেহারেও প্রতিমা ব্যতীত অন্য কোন নেতা বা নেত্রী শোভা বর্ধন করবেন? এটা অবশ্যই বলবে সময়ই। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুটা দিন। এবং শেষ সিদ্ধান্ত জানাবেন মোদি – শাহ – নাড্ডা প্যানেল।