“প্রতিটি টেবিলেই ঘটনার বিবরণ দিতে দিয়ে নির্যাতিত লোকজন হাঁপিয়ে উঠে। এবং শেষে  নানান ছল চাতুরী করে মামলা না রাখার ভান করে।তারপর কাঞ্চন মূল্যের অফার।”

ত্রিপুরা পুলিশের প্যারেডের একটি মুহূর্ত।( ছবি – X)

#হাতে টাকা গুঁজে দিলেই থানার
খাতায় মামলা হয় লিপি বদ্ধ।”

ডেস্ক রিপোর্টার, ৩আগস্ট।।
                     রাজ্য পুলিশের গৌরবময় ইতিহাসকে কলঙ্কিত করছে হালের পুলিশ কর্মীরা। বিশেষ করে থানা পুলিশ। অভিযোগ, রাজ্যের বহু থানাতে মামলা দায়ের করতে গেলে জনতাকে দিতে হচ্ছে নগদ টাকা। টাকার বিনিময়ে পুলিশ থানায় দায়ের করছে মামলা। ছি: ছি:। রাষ্ট্রপতি কালার্স পদক প্রাপক রাজ্য পুলিশের এমন কলঙ্কিত চিত্র এর আগে কখনও দেখা যায় নি।

।।বিজ্ঞাপন।।

অভিযোগ, সমাজদ্রোহী হাতে নির্যাতিত হওয়ার পর মামলা দায়ের করার জন্য সাধারণ মানুষকে থানার দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়। ছোট বাবু, সেজ বাবু,মেঝ বাবু হয়ে পৌঁছতে হয় বড় বাবুর (ওসি) কাছে ।প্রতিটি টেবিলেই ঘটনার বিবরণ দিতে দিয়ে নির্যাতিত লোকজন হাঁপিয়ে উঠে। এবং শেষে  নানান ছল চাতুরী করে মামলা না রাখার ভান করে।তারপর কাঞ্চন মূল্যের অফার। আর টাকা গুঁজে দিলেই খাতায় মামলা লিপি বদ্ধ হয়। অন্যথায় অসহায় মানুষ গুলিকে চক্কর কাটতে হয় থানার গণ্ডির মধ্যে।

।।প্রতীকী ছবি।।

আইন সম্পর্কে সাম্যক ধারণা থাকা লোকজন পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে ছুটে যান আদালতে। গাটের টাকা খরচ করে আইনজীবী মাধ্যমে আদালতে দায়ের করেন মামলা। আদালতের  গুতু খেয়ে থানা পুলিশ মামলা নিলেও তদন্ত করতে বাজে কাসা – ঘন্টা। শেষ পর্যন্ত মাসের পর মাস পুলিশ নম: বিষ্ণু, নম: বিষ্ণু করে তদন্ত করতে থাকে।ততদিনে মামলার গুরুত্ব অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়। আর এই সময়ের মধ্যে অপরাধীর কাছ থেকেও হাতিয়ে অর্থ – কড়ি। রাজ্যের বড় অংশের থানায় সাধারণ মানুষকে এই ভাবেই হেনস্থা হচ্ছেন নিয়মিত।

।।প্রতীকী ছবি।।

আদালতের  গুতু খেয়ে থানা পুলিশ মামলা নিলেও তদন্ত করতে বাজে কাসা – ঘন্টা। শেষ পর্যন্ত মাসের পর মাস পুলিশ নম: বিষ্ণু, নম: বিষ্ণু করে তদন্ত করতে থাকে।ততদিনে মামলার গুরুত্ব অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/bangladesh-news-comilla-across-the-border-from-tripura-is-a-hotbed-of-women-trafficking-bangladesh-news

গত কয়েকমাস আগে বিশালগড় থানায় মামলা করতে এসেছিলে মেয়ে হারা এক পিতা।তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। শোকার্ত পিতার অভিযোগ ছিলো, তার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন খুন করেছে।অভিযোগ, কন্যা সন্তান হারানোর শোকে মূহ্যমান পিতা তার মেয়ে জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য টানা তিন মাস থানার দরজায় চক্কর কেটেছিলেন।কিন্তু বিশালগড় থানা মামলা রুজু করে নি।

।।বিজ্ঞাপন।।

শেষ পর্যন্ত মেয়ের মৃত্যু শোকে আচ্ছন্ন অসহায় পিতা দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতের। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে বিশালগড় থানার পুলিশ মামলা রুজু করে।কিন্তু মামলার তদন্ত অথৈ জলে আজও গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত স্বামী সহ তার পরিবারের লোকজন।

আরো খবর পড়ুন

https://x.com/janatarmashal24/status/1818874277049020839?t=NpuX_3KEXNoi5szupZYtFA&s=19

নিরাপত্তার কথা ভেবে এখানে উহ্য রাখা হয়েছে কন্যা হারা অসহায় শোকার্ত পিতার নাম। বিশালগড় থানার এই ঘটনা শুধুমাত্র একটা দৃষ্টান্ত। রাজ্যের অন্যান্য থানা গুলিতেও একই অবস্থা ।হাতে টাকা পেলে পুলিশ কাজ করে তেল খাওয়া মেশিনের মতো।আর টাকা না পেলেই বিকল মেশিন থেকেও বেশি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় রাষ্ট্রপতি কালার্স পদক পুলিশ।তাহলে কোথায় যাবে আমজনতা?

।প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা সিংয়ের সময়ে রাষ্ট্রপতি কালার্স পদক পেয়েছিল ত্রিপুরা পুলিশ।(ছবি – সংগৃহীত)

অভিযোগ, রাজ্যের অধিকাংশ থানায় এখন চুটিয়ে চলছে তোলা বাণিজ্য। অবশ্যই তোলা বাণিজ্য পুলিশের একটি পুরানো সংস্কৃতি। আগে পুলিশ ধীরে সুস্থে তোলা আদায় করতো।
            

।।বিজ্ঞাপন।।

কন্যা সন্তান হারানোর শোকে মূহ্যমান পিতা তার মেয়ে জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য টানা তিন মাস থানার দরজায় চক্কর কেটেছিলেন।কিন্তু বিশালগড় থানা মামলা রুজু করে নি।

কন্যা সন্তান হারানোর শোকে মূহ্যমান পিতা তার মেয়ে জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য টানা তিন মাস থানার দরজায় চক্কর কেটেছিলেন।কিন্তু বিশালগড় থানা মামলা রুজু করে নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *