রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি মহল্লায় সংঘটিত গণহত্যা মামলা গুলির ফাইল কি পুনরায় খোলা হবে?
৮০ সালের মন্দাই দাঙ্গার বাঙালির গণচিতা (ফাইল – ছবি)
“প্রতিটি গণহত্যায় মূলত প্রাণ ঝরে ছিল সনাতনী বাঙালিদের। তারা গণ হারে হয়েছিল উদ্বাস্তু। মান্দাই থেকে কল্যাণপুর, পঞ্চবটি থেকে অমরেন্দ্র নগর। ডলুছড়া থেকে গঙ্গানগর।দশকের পর দশক একের পর এক গণ হত্যা সংঘটিত হয়েছিল। আজ পর্যন্ত একটি গণহত্যার বিচারও পায় নি খুন হওয়া লোকজনের পরিবারের সদস্যরা।”
ডেস্ক রিপোর্টার,২০ নভেম্বর।। “রাজ্যের বিভিন্ন সময় সংঘটিত রাজনৈতিক হত্যা (Political Murder)মামলার ফাইল রি-ওপেন করা হবে।”— ২০১৮ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যের মসনদে বসার পরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছিলো। তৎকালীন সময়ে রাজ্য মহাকরণে বসে এই ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের(Biplab Kumar Deb) মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট সদস্য তথা মন্ত্রীসভার প্রবক্তা রতন লাল নাথ।তিনি ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভারও গুরুত্ব পূর্ন সদস্য।এরপর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চে বলেছিলেন, বিভিন্ন সময়ের রাজনৈতিক হত্যা মামলাগুলি পুনঃ তদন্ত করা হবে।
।।প্রতিকী ছবি।।
বিপ্লব কুমার দেব চার বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কয়টি পুরনো রাজনৈতিক হত্যা মামলা রি-ওপেন করেছেন?রাজ্য আরক্ষা দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত এই সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায় নি।
মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (ছবি – সংগৃহীত)
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পুরনো একটি রাজনৈতিক হত্যা মামলার ফাইল রি – ওপেনও (Re – open) করেছেন।
গত মাস খানেক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড: মানিক সাহাও (Dr Manik Saha) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সুরেই পুরনো রাজনৈতিক হত্যা মামলার ফাইল রি-ওপেনের(Re-open) ঘোষণা দিয়েছেন।খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পুরনো একটি রাজনৈতিক হত্যা মামলার ফাইল রি – ওপেনও করেছেন। আরো একটি হত্যা মামলার ফাইল রি-ওপেন হওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাজ্যের বিজেপি লিড সরকারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এবং তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।
।।বিজ্ঞাপন।।
গণহত্যায় মৃত্যু হওয়া বাঙালি লোকজনের বিচারের বাণী আজও কাঁদবে নীরবে নিভৃতে?
পার্বত্য ত্রিপুরায় বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক খুন ব্যতীত বেশ কিছু গণহত্যার ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু এই সংঘটিত গণহত্যা মামলা গুলির ফাইল কি পুনরায় খোলা হবে? এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই বর্তমান বিজেপি সরকার স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তাহলে কি গণহত্যায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের বিচারের বাণী আজও কাঁদবে নীরবে নিভৃতে? উঠছে প্রশ্ন।
১৯৭৯- র তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মিনি দাঙ্গা, তার পরের বছর ১৯৮০- র জুনের দাঙ্গা থেকে রাজ্যে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের বুকে ধারাবাহিক ভাবে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিলো। প্রতিটি গণহত্যায় মূলত প্রাণ ঝরে ছিল সনাতনী বাঙালিদের। তারা গণ হারে হয়েছিল উদ্বাস্তু। মান্দাই থেকে কল্যাণপুর, পঞ্চবটি থেকে অমরেন্দ্র নগর। ডলুছড়া থেকে গঙ্গানগর।দশকের পর দশক একের পর এক গণ হত্যা সংঘটিত হয়েছিল। আজ পর্যন্ত একটি গণহত্যার বিচারও পায় নি খুন হওয়া লোকজনের পরিবারের সদস্যরা। কখনো সংঘবদ্ধ ভাবে বাঙালি নিধনের নামে জনজাতি অংশের লোকজন হামলা চালিয়েছিলো বাঙালি মহল্লাগুলিতে।আবার কখনও জনজাতি সম্প্রদায়ের জঙ্গি নাম ধারী সশস্ত্র বাহিনী বাঙালিদের রক্ত নিয়ে খেলেছিল হোলি।কিন্তু আজ পর্যন্ত বাঙালি তার খোয়া যাওয়া রক্তের কোনো বিচার পায় নি।বরং কালে কালেই গণহত্যার মাস্টার মাইন্ডদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুরস্কারের ঢালি। সব জামানাতেই সরকারের কাছে বাঙালিদের চেয়ে হত্যাকারীদের কদর ছিল ঢের।
আজও গোটা রাজ্যে প্রায় দেড় লক্ষের অধিক বাঙালি উদ্বাস্তু। তাদের কথা কেউ ভাবে নি।
আজও রাজ্যের বহু জায়গায় গণহত্যার(Genocide )স্মৃতি বহন করে আছে। জ্বলজ্বল করছে খুন হওয়া লোকজনের নাম। তাদের খুনি কারা? তাদের নাম, গোত্র কি? সমস্ত তথ্য পুলিশ প্রশাসনের(Police Administration) কাছে স্পস্ট।তা সত্ত্বেও রাজ্যের মসনদে বিভিন্ন সময়ে থাকা কংগ্রেস – সিপিআইএম এবং হালের বিজেপি সরকার খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে পারে নি।
অভিযোগ, বাঙালি হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার কোন সদিচ্ছাও ছিলো না কংগ্রেস – সিপিআইএমের। বর্তমান বিজেপি সরকারও হাঁটছে একই পথে। খুনিদের রক্তাক্ত হাতেই তুলে দিয়েছে গাদা গাদা টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজ।
।।বিজ্ঞাপন।।
গণহত্যাকারী (Mass Murderer ) ভয়ে সিটিয়ে যায় কংগ্রেস – সিপিআইএম ও হালের বিজেপির বাঙালি মুখোশধারী নেতা – মন্ত্রীরা!
বাঙালি সমাজের প্রশ্ন, বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা প্রতিটি সরকার কার স্বার্থে সংঘটিত গণহত্যার ফাইলগুলি চেপে রেখে দিয়েছিল? আজ এই সমস্ত ফাইলগুলি রাজ্য আরক্ষা প্রশাসনের মহাফেজ খানায় ধুলোতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। তাতে অবশ্যই কাউর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
রক্তের ভয়ে সিটিয়ে যাওয়া জন প্রতিনিধি।( প্রতীকী ছবি)
আগামী দিনও থাকবে না। বাঙালি সম্প্রদায়ের নেতাদের কথায়, রাজ্যের গণহত্যাকারীরা (Mass Murderer)এক বিশেষ শ্রেণীর প্রজাতি।তাদের ভয়ে সিটিয়ে যায় কংগ্রেস – সিপিআইএম ও হালের বিজেপির বাঙালি মুখোশধারী নেতা – মন্ত্রীরা! এবং তারা সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকেন লেংটি পরিধেয় লোকজনকে তুষ্ট রাখতেই।