ডেস্ক রিপোর্টার, ১লা জুলাই।।
উল্টোপুরান। গোটা দেশ যখন মোদী বন্দনায় মশগুল, তখনই মোদীর জন জনপ্রিয়তায় জোর ধাক্কা দিয়েছে তরুণ প্রজন্ম। তাও আবার ভারতীয় জনতা পার্টির ত্রিপুরা প্রদেশের মহিলার মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত মক পার্লামেন্টে। এটা অবশ্যই লজ্জার। রাজনীতিকদের বক্তব্য, তাতে নাক কাটা গিয়েছে প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্বের।
বিজেপির নেতা – কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে “বিশ্বগুরু” হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই বিশ্বগুরু’র জন প্রিয়তাতে বড় বড় ধাক্কা দিয়েছে দেশের তরুন প্রজন্ম। সোমবার তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে আগরতলার মুক্তধারাতে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসান কালে জরুরি অবস্থার ভয়াবহতা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা।
এদিন আগরতলার মুক্তধারাতে ছিলো মহিলা মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত মক পার্লামেন্ট বা ছায়া সংসদ।এই মক পার্লামেন্টের উদ্দেশ্য ছিলো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসান কালে জরুরি অবস্থার ভয়াবহতা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা।
মক পার্লামেন্টে উপস্থিত বক্তারা সবাই বয়সে তরুন। বিরোধী বেঞ্চে থাকা যুবা বক্তাদের ( ছেলে – মেয়ে) প্রায় প্রত্যেকেই তাদের বক্তব্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসন ব্যবস্থাকে তীব্র সমালোচনা করেন।

“আজকের দিনে দেশের পরিস্থিতি, ৭৫- র জরুরি অবস্থার সময়কালকেও হার মানায়।”
তারা বলেন, “আজকের দিনে দেশের পরিস্থিতি, ৭৫- র জরুরি অবস্থার সময়কালকেও হার মানায়। তাদের বক্তব্য, মনিপুরে দিনের পর দিন হিংসা হয়েছে। সেখানে ঢুকতে পারেনি সংবাদ মাধ্যম। স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে নি ভারতীয় সেনা। হিংসায় জ্বলতে থাকা মণিপুরে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু একবারের জন্যও মনিপুর নিয়ে কোনো কথা বলেন নি প্রধানমন্ত্রী। তিনি যান নি মনিপুর সফরে। কেন? মনিপুর কি ভারতের অংশ নয়? প্রশ্ন, মক পার্লামেন্টের বিরোধী আসনে বসা যুবাদের।
দেশের বেকারত্ব থেকে কৃষক আন্দোলন, কাশ্মীরের পেহেলগাম জঙ্গি হামলা সহ মোদী বিরোধী নানান ইস্যু নিয়ে মক পার্লামেন্টে সরব হয় তরুনরা। তাদের ভাষায়, আজকের মোদীর ভারত থেকে তুলনা মূলক ভাবে ইন্দিরার ভারত অনেক বেশি ভালো ছিলো। সব মিলিয়ে বিরোধী ও ট্রেজারি বেঞ্চের জবাব পাল্টা জবাবে মক পার্লামেন্ট ছিলো খুব উপভোগ্য।
মোদী ভক্তদের বক্তব্য, মক পার্লামেন্টে বিরোধী বেঞ্চের ছেলে – মেয়েরা কি বলবে, তা আগেই ঠিক করে দিতে পারতেন মহিলা মোর্চার দিদিমনি মিমি মজুমদার।
প্রদেশ বিজেপির মোদী ভক্তদের কথায়, মহিলা মোর্চার প্রধান মিমি মজুমদারের নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এই মক পার্লামেন্ট।বিষয়টি ছায়া সংসদ হলেও বিরোধী বেঞ্চের বক্তাদের মুখে মোদীর আক্রমণ লজ্জার। তারা ইন্দিরার জরুরী অবস্থাকে ঢাকতে গিয়ে মোদীর শাসন কালকে উলঙ্গ করে দিয়েছে। এটা চলে এসেছে জন সন্মুখে। বিজেপির জন্য এটা ভালো নয়।
মোদী ভক্তদের বক্তব্য, মক পার্লামেন্টে বিরোধী বেঞ্চের ছেলে – মেয়েরা কি বলবে, তা আগেই ঠিক করে দিতে পারতেন মহিলা মোর্চার দিদিমনি মিমি মজুমদার। তার রাজনৈতিক সাংবিধানিক বিষয় সম্পর্কিত অজ্ঞতার কারণেই মক পার্লামেন্ট এখন বিরোধীদের কাছে হাসির খোড়াক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা তারা মেনে নিতে পারছে না।
অনুষ্ঠিত এই মক পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য , বিজেপির সাধারন সম্পাদক ভগবান দাস ও রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।