“আগামী দিনে “জনতার মশাল” কবর থেকে তুলে আনবে প্রাজিত মালাকারের ৯৮ লক্ষ টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির উপাখ্যান। আমতলীর মতিনগরে কি ঘটেছিলো? কিভাবে আত্মসাৎ হলো বিপুল পরিমাণ অর্থ রাশি?পাঠক কূল একটু অপেক্ষা করুন আপনারা। “
ডেস্ক রিপোর্টার, ২১ সেপ্টেম্বর।। শহরের এনসিসি থানার ওসি প্রাজিৎ মালকারকে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) উপহার দিলো এক দাগী সমাজদ্রোহী। এসি উপহার দাতা এনসিসি থানা এলাকার বাসিন্দা। এসি কোথায় লাগানো হয়েছে?এনসিসি থানা চত্বরে থাকা ওসি প্রাজিৎ মালাকারের রেস্ট রুম অর্থাৎ “বিশ্রাম ঘরে”।প্রাজিতকে এসি উপহার দেওয়া সমাজদ্রোহীও আমাদের কাছে কবুল করেছে এই গোপন তথ্য।মূল খবরের “জিরো ডায়াল” অর্থাৎ সোর্স হলেন থানারেই পুলিশ কর্মীরা।আভিযোগ, এনসিসি থানার পুলিশ কর্মীরা নাকি অতিষ্ঠ ওসি প্রাজিতের নানান অবৈধ কার্যকলাপে।
রাজ্যের কয়টি থানার ওসিদের রেস্ট রুম অর্থাৎ বিশ্রাম ঘরে লাগানো আছে এসি?
থানা চত্বরে ওসি প্রাজিত মালাকারের বিলাস বহুল জীবন যাত্রা। কি দারুন! রাজ্যের কয়টি থানার ওসিদের রেস্ট রুম অর্থাৎ বিশ্রাম ঘরে লাগানো আছে এসি? এই তথ্য কি আছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরে? কারণ ওসির বিশ্রাম ঘরে এসি কেনার টাকা দেয় না স্বরাষ্ট্র দপ্তর? তারপরও দাগী সমাজদ্রোহীর টাকায় বিশ্রাম ঘরে বসে এসি’ র হিমেল বাতাস গা জুড়ান ওসি প্রাজিত। ইচ্ছা করলেই পশ্চিম জেলার এসপি নমিত পাঠক একবার ঘুরে আসতে পারেন এনসিসি থানা চত্বরে থাকা ওসি প্রাজিৎ মালাকারের বিশ্রাম ঘর। তবে এটাও বাস্তব “জনতার মশাল”- র খবর সম্প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই নিজের পিঠ বাঁচাতে রেস্ট রুম থেকে এসি খুলেও নিতে পারেন ৯৮ টাকা কেলেঙ্কারির খল নায়ক প্রাজিৎ। এটা হলফ করেই বলা যায়। অর্থাৎ প্রমাণ লোপাট। আর এই ধরনের কাজ যথেষ্ট নিপুণতার সঙ্গেই করে থাকেন দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসার প্রাজিত মালাকার।
স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করলেই কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসবে সাপ।
রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশ অনুরাগ ধ্যানকর ও পশ্চিম জেলার এসপি নমিত পাঠক স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করলেই কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসবে সাপ। তবে তারা করবেন কিনা, সেটাই অবশ্যই তাদের বিবেচ্য বিষয়। তার জন্য অপেক্ষায় থাকবে ” জনতার মশাল”।
প্রাজিত মালাকারকে জরুরি তলব করেছিলেন পুলিশ মহানির্দেশক অনুরাগ ধ্যানকর ও এসপি নমিত পাঠক। তাদের কাছে নিজের দোষ কবুল করেছেন প্রাজিৎ।
এনসিসি থানার অলিন্দ থেকে ওসি প্রাজিতের বিক্ষুব্ধ অফিসার গোষ্ঠীর দেওয়া প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জনতার মশাল- র “ওসির কীর্তি ফাঁস” – দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর প্রাজিত মালাকারকে জরুরি তলব করেছিলেন পুলিশ মহানির্দেশক অনুরাগ ধ্যানকর ও এসপি নমিত পাঠক। প্রাজিৎ তার দুই সিনিয়র অফিসারের কাছে নিজের দোষ কবুল করেছেন। এরপরই পুলিশ মহানির্দেশক ও এসপি স্পষ্ট ভাবেই জনিয়ে দেন, পুনরায় তাঁর বিরুদ্ধে ” জনতার মশাল”- এ তথ্য সমৃদ্ধ খবর প্রকাশিত হলেই খতম হয়ে যাবে এনসিসি থানা অঞ্চলে ওসি’র “রিলে দৌড়”। বেজে উঠবে সমাজদ্রোহীদের গড ফাদার ও আর্থিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এনসিসি থানার ওসি প্রাজিত মালাকারের বদলির “কলিং বেল”।
প্রাজিৎ মালাকার,( ওসি, এনসিসি)
আতঙ্কগ্রস্থ প্রাজিত মালাকার এখন দিন – রাত দুঃস্বপ্ন দেখছেন “জনতার মশাল”-কে নিয়ে।
আতঙ্কগ্রস্থ প্রাজিত মালাকার এখন দিন – রাত দুঃস্বপ্ন দেখছেন জনতার মশাল-কে নিয়ে। নিরুদ্রপে রাত্রি যাপন করতে পারছেন না মহামান্য ওসি সাহেব। বার বার তাঁকে তাড়া করছে জনতার মশাল নামক “আতঙ্ক”। তারপরেও “জনতার মশাল” প্রাজিত মালাকারকে রেহায় দেবে না।
ফাঁস হবে প্রাজিত মালাকারের ৯৮ লক্ষ টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির উপাখ্যান।
আগামী দিনে “জনতার মশাল” কবর থেকে তুলে আনবে প্রাজিত মালাকারের ৯৮ লক্ষ টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির উপাখ্যান। পাঠক কূল একটু অপেক্ষা করুন আপনারা। (চলবে)