দুয়ারে কড়া নাড়ছে পাহাড়ের এডিসি নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই শাসক জোটের প্রধান দুই শরিক বিজেপি ও তিপ্রামথা মাঠে নেমেছে।বর্তমানে এরাই পাহাড় রাজনীতির শাসক – বিরোধী। পিছিয়ে নেই রাজ্যের বিরোধী দল সিপিআইএম। তারাও পাহাড়ের লাল মাটিতে বিচরণ শুরু করেছে।
ডেস্ক রিপোর্টার,২৯ অক্টোবর।।
আসন্ন এডিসি নির্বাচনকে সামনে রেখে রোড ম্যাপ তৈরী করতে সাংগঠনিক বৈঠক করলো প্রদেশ বিজেপি। বুধবার প্রদেশ বিজেপির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক। সর্ব ভারতীয় বিজেপির নেতা সম্বিৎ পাত্রা সহ প্রভারী রাজদীপ রায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তাছাড়া দলের অন্যান্য প্রথম সারির নেতৃত্ব সহ মন্ত্রীদের একাংশ।

দুয়ারে কড়া নাড়ছে পাহাড়ের এডিসি নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই শাসক জোটের প্রধান দুই শরিক বিজেপি ও তিপ্রামথা মাঠে নেমেছে।বর্তমানে এরাই পাহাড় রাজনীতির শাসক – বিরোধী। পিছিয়ে নেই রাজ্যের বিরোধী দল সিপিআইএম। তারাও পাহাড়ের লাল মাটিতে বিচরণ শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের খবর অনুযায়ী, যেকোনো সময় ঘোষণা হতে পারে এডিসি নির্বাচনের দিনক্ষণ।ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্যে। স্বাভাবিক ভাবেই পাহাড় দখলের জন্য মারিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি ও তিপ্রামথা।
পাহাড় ভোটের আগে বাঙালি বিদ্বেষকে টার্ম কার্ড করে মাঠে নেমেছে এডিসির শাসক গোষ্ঠী তিপ্রামথা। পাহাড়ে নিজেদের জমি ধরে রাখতে দলের প্রধান নেতা প্রদ্যুৎ কিশোর ও প্রাক্তন বৈরী নেতা রঞ্জিত দেববর্মা বাঙালি বিরোধী ক্যাম্পিনিং শুরু করেছে। এমনকি তারা সরাসরি প্রধান শরিক বিজেপি সহ খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করছে। তার মধ্যে গোদের উপর বিষ ফোড়া বিপ্লব – প্রতিমা।

দলের টালমাটাল পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সর্ব ভারতীয় বিজেপির দূত হিসাবে মঙ্গলবার রাজ্যে ছুটে এসেছেন সম্বিৎ পাত্রা। সঙ্গে প্রভারি রাজদীপ রায়। তাদের উপস্থিতিতে প্রদেশ বিজেপি করে ম্যারাথন বৈঠক। খবর অনুযায়ী,বিগত কিছুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের।বিজেপির ঘরোয়া রাজনীতিতে এই বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। সম্প্রতি আমবাসাতে প্রতিমা ভৌমিক তাঁর সরকারকে “অদ্ভুদ” সরকার বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তা থেকেই স্পষ্ট, জল কোন দিকে গড়াচ্ছিল? সমস্ত পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে বিপ্লব – প্রতিমাকে বৈঠকে ডেকে এনে গোসা ভাঙিয়ে দেন সম্বিৎ পাত্রা। সবার সঙ্গে বৈঠকের পর পুনরায় বিপ্লব – প্রতিমাকে নিয়ে পৃথক ভাবে বৈঠক করেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব। এবং তাদের সঙ্গে নানান সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

