ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে তিপ্রামথার সম্পর্ক ছেদের চিত্রনাট্য সম্পূর্ণ ফ্লপ।রাজনীতির ব্লগ অফিসে প্রদ্যুৎ – রঞ্জিতের অভিনয় সুপার ফ্লপ করেছে। শুধু তাই নয়, রাজনীতির মঞ্চে জনজাতিদের স্ব-ঘোষিত বুবাগ্রা আবারো হলেন হাসির খোড়াক। রাজ্যের জনজাতির অংশের প্রদ্যুৎ কিশোরের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোটায় ঠেকেছে। ক্ষুব্ধ জনজাতিদের বক্তব্য , দিল্লির অর্থ রাশি পাওয়ার জন্যই নাকি প্রদ্যুৎ – রঞ্জিত নাটকের স্ক্রিপ্ট তৈরী করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বের ধমক খেয়ে প্রদ্যুৎ উল্টোপুরান শুরু করেন। আর তাতেই মাঠে মার খায় প্রদ্যুৎ কিশোরের মস্তিষ্কের সুষুম্নাকাণ্ডে সৃষ্টি হওয়া সি-গ্রেডের চিত্র নাট্যের স্ক্রিপ্ট।
প্রদ্যুৎ কিশোরের দলের বিধায়ক তথা প্রাক্তন জঙ্গি নেতা রঞ্জিত দেববর্মা শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন। চলতি মাসেই বিজেপির জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছেন দেন রঞ্জিত। শুধু তাই নয়, বিজেপির পূর্ব আসনের সাংসদ কৃতি সিং দেববর্মাও তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। ভয়হীন কন্ঠে অতীতের বাঙালির রক্ত পিপাসু হায়না রঞ্জিত তার মুখ থেকে উগলে দেন এই সংক্রান্ত তথ্য। রঞ্জিতের সটান জবাব ছিলো, প্রদ্যুৎ কিশোরের সিদ্ধান্ত মোতাবেকই তিনি একথা বলেছেন।
দিল্লি থেকে প্রদ্যুতের কাছেও কড়া বার্তা পাঠিয়ে দেন বিজেপি নেতৃত্ব। আর তাতেই প্রদ্যুৎ ভ্যাপাচাপা খেয়ে বসেন।
রঞ্জিত দেববর্মার সাংবাদিক বৈঠকের পর নিশ্চিত ভাবে ঝটকা লাগে ভাজপা শিবিরে। বিজেপি নেতৃত্ব প্রাথমিক রেশ কাটিয়ে মাঠে নামেন। এবং দিল্লি থেকে প্রদ্যুতের কাছেও কড়া বার্তা পাঠিয়ে দেন বিজেপি নেতৃত্ব। আর তাতেই প্রদ্যুৎ ভ্যাপাচাপা খেয়ে বসেন। এরপরেই শুরু হয় প্রদ্যুৎ কিশোরের উল্টোপুরান। রঞ্জিতের সাংবাদিক বৈঠকের পর প্রদ্যুৎ কিশোর সাংবাদিকদের বলেন, ” তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কের ছেদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাঁর রঞ্জিতের সঙ্গে কোনো কথাই হয় নি। তাছাড়া সাংসদ পদ থেকে কৃতি সিংয়ের ইস্তফার কোনো প্রশ্নই নেই।”
রাজনীতির ব্লগ অফিসে এই চিত্র নাট্যের স্ক্রিপ্ট করেছে সুপার ফ্লপ ।
প্রদ্যুৎ কিশোরের এই বক্তব্যের পর তাঁর ও রঞ্জিতের পাতি চিত্রনাট্যের স্ক্রিপ্টের বিষয়টি সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়। তৎসঙ্গে দলের রাশ আদৌ কি প্রদ্যুৎ কিশোরের কাছে আছে? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিজেপির সঙ্গে মথার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় যদি প্রদ্যুৎ জানেন, তাহলে বুঝতে হবে এই মুহূর্তে দলের কন্ট্রোল তাঁর হাতে নেই। যদি এখনও প্রদ্যুৎ নিজেই মথার শেষ কথা হয়ে থাকেন,তাহলে বুঝতে হবে পুরো ঘটনা সাজানো।একেবারেই পাতি স্ক্রিপ্ট। এবং রাজনীতির ব্লগ অফিসে এই চিত্র নাট্যের স্ক্রিপ্ট সুপার ফ্লপ করেছে।