প্রধানমন্ত্রীকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কিছু বললেই থানায় মামলায় ছয়লাপ হয়ে যায়। বীর দর্পে মিডিয়ার সামনে এসে কথা বলেন প্রদেশ বিজেপির তাবর নেতা – নেত্রীরা। এখন তারা কোথায়? লুকিয়ে আছে ইদুরের গর্তে। নেই কোনো প্রতিবাদ মিছিল। অথচ বাংলায় বিজেপি সাংসদ – বিধায়ক আক্রান্ত হওয়ার পর ভারতীয় জনতা পার্টির বীর পুঙ্গব নেতা – বিধায়ক – কর্মীরা রাজ্য রাজনীতির টিকটিকি স্বরূপ তৃণমুল কংগ্রেসের অফিসে হামলা করে।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৪ অক্টোবর।।
                ছিঃ ছিঃ । লজ্জা। ভারতীয় জনতা পার্টি যা করতে পারলনা, তা করে দেখালো রাজ্যের রাজনৈতিক দল আমরা বাঙালি। বিরোধী দল হয়েও মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার জন্য ব্যাটন ধরলেন আমরা বাঙালির সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল। সর্বোপরি আমরা বাঙালি দল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দল ভারতীয় জনতা পার্টি ও তার নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে। এটা রাজ্য রাজনীতির জন্য লজ্জা। লজ্জা রাজ্যের বৃহত্তর জন গোষ্ঠি তথা ভূমি পুত্র বাঙালিদের।
            যে বাঙালি ব্রিটিশের হাত থেকে দেশকে পরাধীনতার গ্লানি মুছে দিয়েছে, সেই জাতির মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশী বলে অপমান করছে রাজ্যের রিয়াং জনগোষ্ঠী। তার কোনো প্রতিবাদ নেই দেশের জাতীয় দল বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার  নেতৃত্বে চলছে রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকার। এই সরকারের প্রধান তিনি। তাকেই রাজপথে অপমান করছে রিয়াং জনগোষ্ঠীর লোকজন। সমাজ মাধ্যমে করছে মুখ্যমন্ত্রীর মুন্ডুপাত।তারপরও নিশ্চুপ বিজেপি। নিশ্চুপ পুলিশ প্রশাসন। অথচ প্রধানমন্ত্রীকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কিছু বললেই থানায় মামলায় ছয়লাপ হয়ে যায়। বীর দর্পে মিডিয়ার সামনে এসে কথা বলেন প্রদেশ বিজেপির তাবর নেতা – নেত্রীরা। এখন তারা কোথায়? লুকিয়ে আছে ইদুরের গর্তে। নেই কোনো প্রতিবাদ মিছিল। অথচ বাংলায় বিজেপি সাংসদ – বিধায়ক আক্রান্ত হওয়ার পর ভারতীয় জনতা পার্টির বীর পুঙ্গব নেতা – বিধায়ক – কর্মীরা রাজ্য রাজনীতির টিকটিকি স্বরূপ তৃণমুল কংগ্রেসের অফিসে হামলা করে। তা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেনও। অথচ নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রীর অপমান নির্লজ্জের মত সহ্য করছে তারা।


বিজেপি নেতৃত্ব মুখে আঙুল চুষলেও বসে নেই বাঙালিদের স্বার্থ রক্ষায় ব্রতি হওয়া আমরা বাঙালি দল। মুখ্যমন্ত্রী যে কোনো রাজনৈতিক দলের হোক না কেন, তিনি আপদ মস্তক একজন বাঙালি। স্বাভাবিক ভাবেই এই ভাবাবেগ থেকে আমরা বাঙালি দাঁড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে।


মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনজাতি গোষ্ঠী রিয়াং সম্প্রদায়। তারাও ত্রিপুরায় এসেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে।

আমরা বাঙালির রাজ্য সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, সম্প্রীতি শান্তির বাজারে রিয়াং জনজাতিদের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনজাতি গোষ্ঠী রিয়াং সম্প্রদায়। তারাও ত্রিপুরায় এসেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে। আর তাতেই আতে গা লেগেছে রিয়াং জন গোষ্ঠীর কিছু মানুষের। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার এই বক্তব্য একশ শতাংশ ঐতিহাসিক সত্য।
     ঐতিহাসিক তথ্য তুলে ধরে গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল বলেন চাকলা রোশনাবাদ ছিলো সমতল ত্রিপুরা।এখানেই ছিলো বাঙালি জনগোষ্ঠীর বসবাস। বাঙালিরাও এই অঞ্চলের আদিবাসী।
     গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ঐতিহাসিক সত্য কথা বলেছেন। তারপরও রিয়াং জনগোষ্ঠীর লোকজন বিষয়টিকে বিকৃতি করে রাজ্যের অশান্তির সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশী বলে আখ্যায়িত করছে।তারা মিছিল করে বলছে বাংলাদেশী মুখ্যমন্ত্রী গো – ব্যক। গৌরাঙ্গ রুদ্র পালের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী ড: মানিক সাহা একজন বাঙালি বলেই কি তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র।
     মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে রিয়াং জনগোষ্ঠীর এই ধরনের কার্যকলাপের পরও নিশ্চুপ কেন প্রদেশ বিজেপি? নাকি মুখ্যমন্ত্রীর পেছনে চলছে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র?


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *