রাজ্যের পাহাড়ে বামেদের আটকাতে গেলে বিজেপি তার রাজনৈতিক ঘোড়া প্রদ্যুৎকে ধরে রাখতেই হবে। তাই প্রদ্যুৎকে খুশী করে ঘুর পথে জনজাতি ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের দখলে রাখতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জনজাতিদের ঝুলিতে ২৪- ২৫টি আসন দিতেই পারে। পরিস্থিতি অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত করছে।

ডেস্ক রিপোর্টার,১১ জুন।।
               ২০২৬ সালে দেশের লোকসভা ও রাজ্যসভা আসনের ডিলিমিটেশন ( পুনর্বিন্যাস) হবে। এই প্রক্রিয়া প্রায় শুরুর পথে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, লোকসভা ও রাজ্যসভা আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়াতে রাজ্যের একটি লোকসভা আসন বাড়বে। তার ফলে ২০২৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার ঝুলিতে থাকবে তিনটি আসন। তবে রাজ্য সভায় ত্রিপুরার আসন বাড়বে না। একটি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।লোকসভার আসন বৃদ্ধির ফলে নিঃসন্দেহে বাড়বে বিধানসভার আসনও। খবর অনুযায়ী, বিধানসভার আসনের পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ার পর রাজ্যের বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা  হতে পারে ৭২টি। অর্থাৎ বিধানসভাতে আরো ১২টি আসন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  সেই ক্ষেত্রে আগামী দিনে রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা আসনে বিধানসভার সংখ্যা হবে ২৪টি করে।বর্তমানে রাজ্যের দুইটি লোকসভা আসনে ৩০টি করে বিধানসভা রয়েছে।


২৬- র ডিভিলিটেশনের পর গোটা দেশে লোকসভার আসন সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ৮০০ এবং ৩৩২টি।

২৬- র ডিভিলিটেশনের পর গোটা দেশে লোকসভার আসন সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ৮০০ এবং ৩৩২টি। তবে এই পরিসংখ্যানের পরিবর্তনও হতে পারে।ইতিমধ্যেই লোকসভা ও রাজ্য সভার ডিভিলিটেশনের নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র চাইছে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে। তাই খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশের নতুন লোকসভা ও রাজ্য সভার আসনের নাম ঘোষণা । এরপর প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভাতেও ডিভিলিটেশন হবে।


নতুন ডিভিলিটেশন প্রক্রিয়াতে রাজ্যের বিধানসভার আসন ৭২ টি হলে সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী উপজাতি সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা হবে ন্যূনতম ২১টি।

দিল্লির রাজনীতির অলিন্দের খবর, রাজ্য বিধানসভার ডিভিলিটেশনে অতিরিক্ত জনজাতি আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য চাপ সৃষ্টি করবেন তিপ্রামথার ফাউন্ডার প্রদ্যুৎ কিশোর। তিনি আগেই কেন্দ্রের কাছে ২৫টি এসটি আসন দাবি করেছিলেন। রাজনীতিকরা বলছেন রাজ্য বিধানসভার আসন সংখ্যা নিরিখে রাজ্যে জনজাতিদের আসন সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ১৮টি। কিন্তু বিজয় রাঙ্খলের টিএনভি- র অস্ত্র বিরতির চুক্তির ফলে তৎকালীন কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার জনজাতিদের আরও দুইটি আসন বৃদ্ধি করেছিল। এই দুটি হলো চড়িলাম ও শান্তিরবাজার। যদিও এই দুটি আসনে অনুপজাতিদের সংখ্যা বেশি। নতুন ডিভিলিটেশন প্রক্রিয়াতে রাজ্যের বিধানসভার আসন ৭২ টি হলে সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী উপজাতি সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা হবে ন্যূনতম ২১টি।


প্রদ্যুৎকে খুশী করে ঘুর পথে জনজাতি ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের দখলে রাখতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জনজাতিদের ঝুলিতে ২৪- ২৫টি আসন দিতেই পারে।

বিধানসভার আসনের বর্তমান আনুপাতিক হিসেব অনুযায়ী জনজাতি সংরক্ষিত আসন হবে ২৩টি। তারমধ্যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তিপ্রাসা অনুযায়ী যদি আরো দুয়েকটি আসন বাড়িয়ে দেয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ঘুরিয়ে বললে, রাজ্যের পাহাড়ে বামেদের আটকাতে গেলে বিজেপি তার রাজনৈতিক ঘোড়া প্রদ্যুৎকে ধরে রাখতেই হবে। তাই প্রদ্যুৎকে খুশী করে ঘুর পথে জনজাতি ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের দখলে রাখতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জনজাতিদের ঝুলিতে ২৪- ২৫টি আসন দিতেই পারে। পরিস্থিতি অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত করছে। তাতে অবশ্যই কোমর ভেঙ্গে যাবে রাজ্যের বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষের। ইতিহাস বলছে, রাজ্যের জনজাতি ভোট ব্যাংক নিজেদের দখলে রাখতে রাজীব গান্ধীর কংগ্রেস  বিজয় রাঙ্খলের সঙ্গে যে পথে হেঁটেছিল, সেই রাস্তা ধরেই প্রদ্যুতের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপিও।

#Tripura# Lok Sabha#Bidhan# Sabha# seat# demitation#JM



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *