রাজ্যের ৬০টি মণ্ডলের নতুন কমিটিতেই আছে বাম মার্গীয় দুষ্কৃতীরা। তারাই এক সময়ে মারধর করেছে বিজেপির দুর্দিনের নেতা – কর্মীদের। আজ তারাই মন্ডল কমিটি গুলিতে জায়গা করে নিয়েছে। গোটা রাজ্যে সিপিআইএমের দক্ষ সংগঠক নেতারা রয়েছেন। কিন্তু তাদেরকে কমিউনিস্ট শিবির থেকে গেরুয়া শিবিরে আনতে ব্যর্থ বিজেপি নেতৃত্ব।

ডেস্ক রিপোর্টার , ৮ জুন।।
     ধর্মনগর থেকে সাব্রুম, প্রতিটি মন্ডল কমিটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপি নেতৃত্ব মণ্ডল কমিটি গঠনে নিজেদের স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে দাগি দুর্নীতিবাজদের একাংশকে ছেঁটে দিয়েছে। তারপরও দুর্নীতিবাজদের এখনো আছে বহাল তবিয়তে। তবে নতুন মন্ডল কমিটিগুলিতে দল বদলু বাম সমাজদ্রোহীরা স্থান পেয়েছে। অতীতে এই সমাজদ্রোহীরাই বামেদের মুখ পুড়েছিল। এখন তারা ছলম পাল্টে এসেছে গেরুয়া শিবিরে।রাজনীতিকদের বক্তব্য, অতীতে বাম সমাজদ্রোহীরাই এখন বিজেপিকে টেনে ফেলার সব কৌশল করবে।সঙ্গে অবশ্যই থাকবে বিজেপির দাগিরাও। এই দুই গোষ্ঠী প্রতিটি মন্ডলে সক্রিয়। তাই তারা যৌথ ভাবে বিজেপিকে সমস্যায় ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এই মুহূর্তে বিজেপিকে গুড়ি থেকে খেয়ে দেওয়ার জন্য বাম সমাজদ্রোহীরা মণ্ডলে মণ্ডলে আসন গ্রহণ করেছে।

মানুষ পরিবর্তনশীল। একটি রাজনৈতিক দল ছেড়ে অন্য রাজনৈতিক দলে নাম লেখাতেই পারে। এটা রাজনীতির স্বাভাবিক ঘটনা।কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যদি প্রচুর পরিমানে বেনু জল ঢুকে যায় তাহলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী। রাজ্য রাজনীতিতে এই ইতিহাস জ্বল জ্বল করছে। এই মুহূর্তে বিজেপিকে গুড়ি থেকে খেয়ে দেওয়ার জন্য বাম সমাজদ্রোহীরা মণ্ডলে মণ্ডলে আসন গ্রহণ করেছে।তাতে পিছিয়ে যাচ্ছে হার্ডকোর বিজেপি কর্মীরা। যারা রক্ত ঘাম ঝরিয়ে দলটাকে ক্ষমতায় এনে ছিলো। আজ তারা ব্রাত্য।


বিজেপির নিষ্ঠাবান কর্মীদের বক্তব্য, রাজ্যের ৬০টি মণ্ডলের নতুন কমিটিতেই আছে বাম মার্গীয় দুষ্কৃতীরা। তারাই এক সময়ে মারধর করেছে বিজেপির দুর্দিনের নেতা – কর্মীদের। আজ তারাই মন্ডল কমিটি গুলিতে জায়গা করে নিয়েছে। বিজেপির কর্মীদের কথায়, গোটা রাজ্যে সিপিআইএমের দক্ষ সংগঠক নেতারা রয়েছেন। কিন্তু তাদেরকে কমিউনিস্ট শিবির থেকে গেরুয়া শিবিরে আনতে ব্যর্থ বিজেপি নেতৃত্ব।তাদেরকে আনলে সংগঠন শক্তিশালী হতে পারতো। কিন্তু তা না করে, বাম ঘরানার দূর্নীতিবাজদের বসানো হচ্ছে। এর ফলে এই দাগি মুখ গুলি দেখে বিজেপির লোকজন ভ্রু কুঁচকাতে শুরু করেছে।

“দুষ্ট গোয়াল থেকে যে শূন্য গোয়াল ভালো”- এটা বুঝতেই পারছেন না বিজেপি নেতৃত্ব।

রাজনীতিকদের কথায়, বকলমে স্বচ্ছ কমিটি করতে গিয়ে ঘুর পথে কালো মুখ গুলিকেই মন্ডল কমিটিতে জায়গা করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। “দুষ্ট গোয়াল থেকে যে শূন্য গোয়াল ভালো”- এটা বুঝতেই পারছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্ব বুঝেশুনেই খাল কেটে কুমির আনার সুবন্দোবস্ত করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

#Tripura #Politics #Bjp #Mondal #jm


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *