তড়িৎ চাকমা ( আই এ এস) একজন জেলা শাসক।প্রদ্যুৎ কিশোর একজন সাধারণ এমডিসি।এক্ষেত্রে প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে তড়িৎ চাকমা দেখা না করাতে মহাভারত অশুদ্ধ হয় নি। বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।
ডেস্ক রিপোর্টার , ২রা জুন।। জন্মলগ্ন থেকে তিপ্রামথার নরম মনোভাব রাজ্যের প্রধান শাসক দল ভারতীর জনতা পার্টির। তিপ্রামথার প্রধান প্রদ্যুৎ কিশোর বিভিন্ন সময়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আঘাত করছে বিজেপি’কে। কিন্তু বিজেপি চুপ। ” দুধ দেওয়া গরু, লাথি দিলেও নাকি ভালো”- মথার প্রতি ভাজপার নেতৃত্বের মানসিকতা অনেকটাই এমন। সরকারের যোগ দেওয়ার পরও তিপ্রামথার বহু নেতা বিজেপিকে বক্তব্যের মাধ্যমে কষাঘাত করেছেন। কিন্তু মুখে কুলুপ কৃষ্ণনগরের নেতাদের। তাদের বক্তব্য, রাজনীতির কৌশলগত কারণে তারা মুখ খুলছেন না। প্রদ্যুৎ ও মথার ইস্যুতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘাড়ে সমস্ত দায় দিয়ে তারা খালাস। প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্বের এই মানসিকতায় বিরক্ত রাজ্যের সর্ব বৃহৎ ভোট ব্যাঙ্ক “বাঙালি”। এডিসির বিভিন্ন জায়গাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পুড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু ছবিতে জুতোপেটা করা, সবই করেছে তিপ্রামথার নেতা – কর্মীরা। নেপথ্যে ছিলো প্রদ্যুৎ কিশোরের মস্তিষ্ক। জঙ্গি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে এডিসির সব জোনালে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলো মথা। তারপরও বিজেপির। পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া ছিলো না। প্রদ্যুৎ কিশোরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই যেন ভয় পায় ভাজপা নেতৃত্ব। তাতেই তপ্ত হচ্ছে বিজেপির বাঙালি ভোট ব্যাঙ্ক।
গত ২৫ মে গোমতী জেলার জেলা শাসক প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করার ইস্যু নিয়ে মথার নেতা – কর্মীরা সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে প্রশাসনকেই। ২রা জুন অর্থাৎ সোমবার তারা গোমতী জেলার সবকয়টি ব্লক, এসডিএম সহ ডিএম অফিস তালা ঝুলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।।সাংবাদিক বৈঠক করে এই হুলিয়া জারি করেছিলো ওয়াইটিএফ। তারপরও আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্য ও প্রধান শাসক দল বিজেপি কিছুই বলে নি। বরং তারা শরিক দল তিপ্রামথার সঙ্গে তোয়াজের রাজনীতি শুরু করেছে। তবে সক্রিয় গোমতী জেলার প্রশাসন। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত ওয়াইটিএফের বনধ কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
।গোমতীতে কড়া নিরাপত্তা।
গোমতীর জেলা শাসক তড়িৎ চাকমাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিলেও প্রশাসনের ব্যর্থতায়ই প্রকট হবে।
সোমবার মথার কর্মীরা গোমতী জেলার প্রশাসনিক দাপ্তরগুলি ঝাপে তালা ঝুলিয়ে দেয়,তাহলে এটা হবে প্রশাসনের বড় ব্যর্থতা। আবার গোমতীর জেলা শাসক তড়িৎ চাকমাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিলেও প্রশাসনের ব্যর্থতায়ই প্রকট হবে। একই সঙ্গে রাজ্যের চাকমা সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাংকেও জোর আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তড়িৎ চাকমা ( আই এ এস) একজন জেলা শাসক।প্রদ্যুৎ কিশোর একজন সাধারণ এমডিসি।এক্ষেত্রে প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে তড়িৎ চাকমা দেখা না করাতে মহাভারত অশুদ্ধ হয় নি। বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।
।প্রদ্যুৎ’কে এতো ভয় কেন?।
জেলা শাসকের ঘটনার পর দিন উদয়পুরের কর্তব্যরত সাংবাদিকদের বাংলাদেশী বলে অভিহিত করেছে।
তড়িৎ চাকমা ও প্রদ্যুৎ ইস্যুতে তিপ্রামথা রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের নামে ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে।এর আগেই রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করতে নেমে মথার কর্মীরা অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত করেছে।তারপরও “সাত খুন মাপ” তাদের। বিজেপি নেতৃত্বের এই নরম মনোভাবে নিজেদের শক্তিশালী ভাবতে শুরু করেছে মথার নেতা – কর্মীরা।এরফলে তারা নানান সময়ে বিজেপির দিকে আক্রমণের ফলা রেখে মূলত জব্দ করতে চায় বাঙালিদের। মথার নেতা – কর্মীদের এই উদ্দেশ্য স্পস্ট। তাই জেলা শাসকের ঘটনার পর দিন উদয়পুরের কর্তব্যরত সাংবাদিকদের বাংলাদেশী বলে অভিহিত করেছে। তারপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতিবিদ্বেষী বক্তব্য করার পরও মথার কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। প্রশ্ন উঠছে, একই কাজ যদি কোনো অনুপজাতি করতো, তাহলে নিশ্চিত ভাবে এতো দিন তাকে জেলের ভিতরে কাটাতে হতো কয়েক রাত। প্রদ্যুৎ কিশোরের দল তিপ্রামথার প্রতি ভাজ্পা নেতৃত্বের এই নমনীয়তা গেরুয়া শিবিরকেই টেনে নিয়ে যেতে পারে খাদের কিনারায়।বলছেন রাজনীতির প্রাজ্ঞরা।