ডেস্ক রিপোর্টার, ৬ মার্চ।।
                        ভয়ানক পরিস্থিতি! খোদ দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে টুয়েপের কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি। ছিঃ ছিঃ। এটাই কি ভারতীয় জনতা পার্টির আসল রূপ? না, ভারতীয় জনতা পার্টি শীর্ষ নেতৃত্ব কখনো এমনটা চায় না । তাদের কাছে দলের কর্মী, সমর্থকরা ঈশ্বর স্বরূপ। কিন্তু দলের  চিনেপুটি নেতারা এখন ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করছে। তারা জারি করেছে নতুন ফরমান। অবশ্যই তাদের পেছনে আছেন মন্ডল নেতৃত্ব সহ ‘ জাঁদরেল(!) নারী নেত্রী ‘ র বিশ্বস্ত হাত। অভিযোগ বাসিন্দাদের।

।।প্রতীকী ছবি।।

প্রশ্ন :  ফরমানের উপপাদ্য কি?

উত্তর:-  আগামী ৯ মার্চ স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে বিজেপির জনসভায় উপস্থিত না হলে ছিনিয়ে নেওয়া হবে দলের পুরনো গরীব, অসহায় কর্মীদের অন্যতম সম্বল  টুয়েপের কার্ড। এই অভিযোগ, সাধারণ গরীব মানুষের।ঘটনাস্থল শহরের অন্যতম হেভিওয়েট বিধানসভা কেন্দ্র ৬-আগরতলার ইন্দ্রনগর মসজিদ পাড়া।


     আগামী ৯ মার্চ ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন সরকারের দুই বছর পূর্তিতে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে বিজেপির জনসভা। এই জনসভায় প্রধান বক্তা থাকবেন দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিজেপির প্রদেশ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ” জনসভায় গোটা রাজ্য থেকে নূন্যতম পঞ্চাশ হাজার মানুষ জমায়েত করা হবে।”
               রাজ্য কমিটির এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মণ্ডলে মণ্ডলে প্রচার শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।৬- আগরতলা কেন্দ্রেও চলছে জনসভার প্রচার। কিন্তু বিশাল এই আয়োজনের মধ্যে কয়েকটি লেবুর  ফোঁটা ছিটিয়ে দিয়ে পরিবেশকে “টক”  করে দিয়েছে নাটের গুরুরা। তাতে নাক কাটা গিয়েছে গোটা প্রদেশ বিজেপির। অবশ্যই তাতে কিছু আসে যায় না ৬-আগরতলার ছা-পোষা বিজেপির নেতৃত্বের। তারা আছেন অলীক স্বপ্নে বিভোর।

।আগরতলা কেন্দ্রের প্রতিবাদী জনগণ।

ইন্দ্রনগর মসজিদ পাড়ার  বাসিন্দাদের কথায় ,  “বিজেপি নামধারী কিছু লোকজন তাদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়েছে, ৯ মার্চ জনসভায় না গেলে কেড়ে নেওয়া হবে তাদের টুয়েপের কার্ড।” ছিঃ ছিঃ।তাহলে কি স্ব-ইচ্ছায় আগরতলা মন্ডল থেকে সাধারণ মানুষ বিজেপির মিছিল,মিটিংয়ে যাইতে চাইছে না? এমনটা কেন হবে? এটা নিঃসন্দেহে লজ্জা,আগরতলা মন্ডলের নেতৃত্বের জন্য। তারা অবশ্যই এখন বালিতে মুখ লোকানোর জায়গা পাবেন না।
                  স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, তারা এখনো বন্যার ক্ষতি পূরণ পান নি।এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা নরক গুলজারের মতো।তাদের অভিযোগ, স্থানীয় কর্পোরেটর সোমা মজুমদারের কাছে গেলে তিনি সুপ্রিম কোর্ট দেখিয়ে দেন। এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা দেখে গেছেন বিধানসভার নেত্রী পাপিয়া দত্ত।সঙ্গে ছিলেন কর্পোরেটর।কিন্তু আজ পর্যন্ত এলাকার রাস্তা ঘাটের কোনো নূন্যতম সংস্কার হয় নি। তার মধ্যে গোদের উপর বিষ ফোড়া।অসহায় জনগণের টুয়েপের কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার হুলিয়া জারি করা হয়েছে।


কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঢালাও হারে বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ দেওয়া সত্ত্বেও ৬- আগরতলা কেন্দ্রের মানুষগুলি বঞ্চিত কেন?

রাজ্যের নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা ঘোষণা দিয়েছেন, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অতিরিক্ত অর্থ দিয়েছে। তিনি এই টাকা খরচ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল  থেকেও মানুষকে দেওয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকা।কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঢালাও হারে বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ দেওয়া সত্ত্বেও ৬- আগরতলা কেন্দ্রের মানুষগুলি বঞ্চিত কেন? এলাকার সাধারণ।মানুষের কথায়, এই টাকা গলাধঃকরণ করেছেন স্থানীয় নেতৃত্ব! হায় রে! চোরের মায়ের বড় গলা।

।প্রতীকী ছবি।

ঘুর পথে  ” জনতার মশালকে” হুমকি দেওয়ার দুঃসাহসও করেন। কিন্তু বুক যে করে ধুর ধুর ।

বাস্তব খবর সামনে নিয়ে এলেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন ৬-আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের তাবড় নেতৃত্ব। ঘুর পথে  ” জনতার মশালকে” হুমকি দেওয়ার দুঃসাহসও করেন। কিন্তু বুক যে করে ধুর ধুর ।কে বা কারা কখন রাজ্যের প্রথম সারির জনপ্রিয় ওয়েব পোর্টাল “জনতার মশাল”কে ধমকানো – চমকানোর চেষ্টা করেছেন?তার সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। উপযুক্ত সময়ে ফাঁস করা হবে আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির জাঁদরেল নেতা – নেত্রীদের কালো কুচকুচে “ছেদন দন্তগুলি”। শুধু সময়ের অপেক্ষা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *