“বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাজের মান এতটাই নিম্নমানের যে অল্প বৃষ্টিতেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে, কোথাও কোথাও ভাঙন দেখা দিচ্ছে, আবার কিছু স্থানে রাস্তার পুরুত্ব মানদণ্ড অনুযায়ী নয়। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর দাবি—এই নিন্মমানের কাজের নেপথ্যে রয়েছে মোট অঙ্কের টাকার খেলা। রাস্তাটি নির্মাণ হচ্ছে রাইমাভ্যালী বিধানসভার তিপ্রামথার বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মার( রিয়াং) বাড়ির সামনেই।”
গণ্ডাছড়া ডেস্ক, ২৯ নভেম্বর।। গণ্ডাছড়া থেকে অমরপুর প্রধান সড়কটি বহু বছর ধরেই ছিলো জরাজীর্ণ অবস্থায়। স্বাভাবিক ভাবেই স্থানীয় মানুষ এবং যাতায়াতকারী সাধারণ নাগরিকেরা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন। দৈনন্দিন চলাচল, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষার্থী ও রোগী পরিবহনে এই সড়কের গুরুত্ব অপরিসীম। বহুদিনের দাবির পর অবশেষে সড়কটি মেরামতের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে প্রথমদিকে স্বস্তির সঞ্চার হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক হয়ে পড়েছে। অভিযোগ, রাস্তাটির কার্পেটিংয়ে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এবং কাজ হচ্ছে অত্যন্ত অবহেলা ও অবৈজ্ঞানিকভাবে।
নিন্মমানের কাজের নেপথ্যে রয়েছে মোট অঙ্কের টাকার খেলা।
বাসিন্দাদের বক্তব্য ,কাজের মান এতটাই নিম্নমানের যে অল্প বৃষ্টিতেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। তাও আবার কাজের একদিন পরেই।কোথাও কোথাও ভাঙন দেখা দিচ্ছে, আবার কিছু স্থানে রাস্তার পুরুত্ব মানদণ্ড অনুযায়ী নয়। তাদের অভিযোগ, নিন্মমানের কাজের নেপথ্যে রয়েছে মোট অঙ্কের টাকার খেলা। রাস্তাটি নির্মাণ হচ্ছে রাইমাভ্যালী বিধানসভার তিপ্রামথার বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মার( রিয়াং) বাড়ির সামনেই। প্রশ্ন উঠছে, বিধায়িকার চোখের সামনে গণ্ডাছড়া – অমরপুর সড়কটি কীভাবে “হরি ঘোষের গোয়াল” হয়ে উঠেছে? নির্মাণ কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার – পূর্তদপ্তর ও বিধায়িকার ত্রিবেণী সঙ্গমেই নাকি গণ্ডাছড়াতে খোলা হয়েছে “দূর্নীতির আড়ত”।
গণ্ডাছড়াতে পাহাড় সমান দূর্নীতি চললেও রহস্য জনক মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন জনজাতিদের উন্নয়নের ফেরী ওয়ালা খোদ প্রদ্যুৎ কিশোর। বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মার ( রিয়াং) দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলার দুঃসাহস দেখাতে পারছেন না বিজেপির স্থানীয় এমডিসি ভূমিকা রঞ্জন রিয়াং। অবাক করার মতো ঘটনা, বিধায়িকা – এমডিসি ও পূর্ত দপ্তরের চোখের সামনেই খুল্লাম খোলা দুর্নীতির ঝাঁপ খুলে বসেছেন ঠিকাদার তপন চক্রবর্তী। এর ফলে গণ্ডাছড়া পূর্ত দপ্তর নির্মাণ কাজের কোনো রকম তদারকিও করছেন না। কারণ সব কিছুর পেছনেই নাকি আছে “নগদ নারায়ণ”।
পাহাড়ে উন্নয়নের বিপ্লব!
স্থানীয় লোকজনের দাবী, অবিলম্বে সড়ক উন্নয়নকাজের মান যাচাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে মানসম্মত উপায়ে পুনরায় কার্পেটিংয়ের নির্দেশ দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলন ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি তুলবে তারা। তখন বেকায়দায় পড়বে শাসক জোটের প্রধান দুই শক্তি বিজেপি – তিপ্রামথা।
অভিযোগ, বিধায়িকা নন্দিতা বিপদের আঁচ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেন।
এলাকার খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে স্থানীয় যুবকরা নিম্ন মানের রাস্তা নির্মাণ নিয়ে প্রতিবাদ করতে জড়ো হয়েছিলো।অভিযোগ, বিধায়িকা নন্দিতা বিপদের আঁচ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত গণ্ডাছড়ার পুলিশ বিধায়িকার পদ লেহন করতে করতে লাঠিসোটা নিয়ে অকুস্থলে গিয়ে প্রতিবাদী যুবকদের সরিয়ে দেয়। এবং প্রয়োজনে লাঠি চার্জের হুঙ্কার দেয়। ছিঃ ছিঃ। এটাই কি রাজ্যের ট্রিপল ইঞ্জিন সরকারের উন্নয়নের বাহার?