স্পোর্টস ডেস্ক,৪ ডিসেম্বর।।
দিল্লির বিরুদ্ধে অঘটন ঘটিয়ে জয় পাওয়ার পর রাজ্যের ক্রিকেট প্রেমীরা আসায় বুক বেঁধেছিলেন পরের ম্যাচ গুলোতে ভালো ফলাফল করা নিয়ে। কার্যত এর ছিটেফোটাও দেখা যায় নি বৃহস্পতিবার। অসহায় আত্মসমর্পণ করলো তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে। সৈয়দ মুস্তাক আলী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। মোতেরার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ত্রিপুরা পরাজিত হয় ৬১ রানে। তামিলনাড়ুর গড়া ২০৪ রানের জবাবে ত্রিপুরা ১৪৩ রান করতে সক্ষম হয়। দিবা রাত্রি ম্যাচে টসে জয়লাভ করে ত্রিপুরার অধিনায়ক মনি শংকর মুড়া সিং প্রথমে তামিলনাড়ু কে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান । ত্রিপুরার বোলারদের দাপটে একসময় ২৬ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে খাদের কিনারায় ছিলো তামিলনাড়ু। এই অবস্থায় দলনায়ক এন জগদীসান এবং আর সাই কিশোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। দুজনই দ্রুত রান তোলার দিকে নজর দেন। এই জুটি ৬৭ বল খেলে ১১৯ রান যোগ করে দলকে লড়াই করার জায়গায় নিয়ে যান। জগদীসান ৪৯ বল খেলে ৬ টি বাউন্ডারি এবং ৪ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত তামিলনাড়ু নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করে। সাই কিশোর ৩৯ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারি ও ৮ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৭ রানে এবং রাজকুমার রবিচন্দ্রন ৯ বল খেলে দুটি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে যান। ত্রিপুরার পক্ষে সৌরভ দাস ২৪ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন। জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে রাজ্য দল। এক সময় ২২ রানে চার উইকেট হারিয়ে দল ছিল চাপে। ওই অবস্থায় বিজয় শংকর এবং স্বপ্নীল সিং কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এই জুটি ৪৬ বল খেলে ৬০ রান যোগ করেন। স্বপ্নীল ২১ বল খেলে একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩ রান করেন। বিজয় শংকর ৩৪ বল খেলে তিনটি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৯ রান করেন। এই অবস্থায় শেষ চার ম্যাচের মতো এদিনও একা লড়াই চালিয়ে যান ত্রিপুরার অধিনায়ক। মনি শংকর ২৩ বল খেলে তিনটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরা ১৪৩ রান করতে সক্ষম হয়। তামিলনাড়ুর পক্ষে গুরজপ্নীত ২২ রানে, নটরাজন ২২ রানে এবং সোনু যাদব ৩২ রানে ২ টি করে উইকেট দখল করেন। আসরে পাঁচ ম্যাচ খেলে চারটি ম্যাচে পরাজিত হলো ত্রিপুরা।৬ ডিসেম্বর ত্রিপুরা ষষ্ঠ ম্যাচ খেলবে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে।

