স্পোর্টস ডেস্ক, ৩জুন।।
আগামী বছর দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো বিবেকানন্দ ক্লাব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে বিবেকানন্দ ক্লাব ন্যূনতম গোলে পরাজিত করে স্বামী বিবেকানন্দ ক্লাব কে। ম্যাচের আগে থেকেই ফেভারিটের তালিকায় রাখা হয়েছিল স্বামী বিবেকানন্দ ক্লাবকে। এখানে কিছুটা চাপে পড়ে যায় পল্টু চৌধুরীর ছেলেরা। যার প্রভাব ম্যাচে কিছুটা হলো লক্ষ্য করা গেছে। উমাকান্ত মিনি ষ্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকে ২ দলের ফুটবলাররা আক্রমাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। বল দখলের লড়াইয়ে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু থেকেই লক্ষ্য করা যায়। ম্যাচ শুরুর ৭ মিনিটের মাথায় একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে স্বামী বিবেকানন্দ দলের রক্ষণভাগের ফুটবলারদের ভুলে ফাকায় পেয়ে বিবেকানন্দ ক্লাবকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি সোহেল মিয়া। এরপর সমতা ফেরানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেও গোলের রাস্তা খুঁজে পায়নি স্বামী বিবেকানন্দ ক্লাবের ফুটবলাররা।

বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছেন স্বামী বিবেকানন্দ ক্লাবের আক্রমণভাগের ফুটবলার কুমার দেববর্মা। প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণভাগ শক্তিশালী করে মাঠে নামেন বিবেকানন্দ ক্লাবের ফুটবলাররা। আর তাতে আসে সফলতা। শেষ পর্যন্ত সোহেলের গোলেই বাজিমাত করলো বিবেকানন্দ ক্লাব। রেফারি সত্যজিৎ দেবরায় হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন বিজয়ী দলের জুবিয়েল দেববর্মা দিবা জমাতিয়াকে।

ফাইনাল ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার, আজকের ফরিয়াদ পত্রিকার কর্ণধার সানিথ দেবরায়, রাজ্য ফুটবল সংস্থার সভাপতি তথা আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব সরকার, সচিব অমিত চৌধুরী সহ ফুটবল সংস্থার কর্তারা। ফাইনাল শেষে মাঠেই হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অঘটন ঘটিয়ে শিরোপা দখল করে বিবেকানন্দ ক্লাবের ফুটবলাররা মাঠে বিজয়োল্লাসে মেতে উঠেন। এদিকে আসর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লীগ কমিটির সচিব তপন সাহা। ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেফারি সংস্থা সচিব নারায়ন দে প্রমূখ।
#tripura #football #c-division #jm