বিজিবি হঠাৎ করে তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসে। কিন্তু অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে বেড়া দিতে মরিয়া বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
।ভয়ে ময়দান ছেড়ে পালাচ্ছে বিজিবি।(ছবি- সংগৃহীত)
ভারতকে সংঘর্ষে জড়াতে প্ররোচনা দিচ্ছে বাংলাদেশ। কোনও ভাবে ভারত সেই ফাঁদে পা দিলে মুসলিম ব্রাদারহুডের নামে এক যোগে ভারতকে নিশানা করা শুরু করবে ইসলামিক দেশগুলি।তবে মালদার সুখদেবপুর সীমান্তের। ঘটনায়বিএসএফ আধিকারিকরা খুবই ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেন।
ডেস্ক রিপোর্টার, ৮জানুয়ারি।। ভারত – বাংলাদেশ সম্পর্কের টাকাপোড়েনের মধ্যেই এবার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বিএসএফকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজিবি’র বিরুদ্ধে।ঘটনাস্থল পশ্চিমবাংলা মালদা জেলার বৈষ্ণনগর থানা এলাকার সুখদেবপুর সীমান্তে। ঘটনা মঙ্গলবারে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সময় বিজিবি, বিএসএফকে বাধা দিয়েছে শুনে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। তারা ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে বন্দেমাতরম স্লোগান দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওপারের বিজিবি লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায় সীমান্ত থেকে। বাংলার মালদা জেলার সুখদেবপুর গ্রামে ১০০ মিটারের কিছু বেশি অঞ্চল উম্মুক্ত সীমান্ত। অর্থাৎ সীমান্তে নেই কাঁটাতারের বেড়া। সুখদেবপুর গ্রামের ইন্দো – বাংলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য বছরখানেক আগে বিএসএফের সঙ্গে সহমতে পৌঁছে ছিল বিজিবি। এর পর শুরু হয় খুঁটি পোতার কাজ। প্রকৃত সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫০ গজ দূরে পোঁতা হয় খুঁটি। সম্প্রতি সেই খুঁটিতে কাঁটাতার বাঁধার কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, তখনই বাধা দেয় বিজিবি। এর পর ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বসে দুপক্ষ। তাতেও কোনো সমাধান সূত্র বের হয় নি।
বিএসএফের দাবী, বিজিবি হঠাৎ করে তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসে। কিন্তু অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে বেড়া দিতে মরিয়া বিএসএফ কর্তৃপক্ষ । মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত ঘোষনা অনুযায়ী, বিএসএফ বেড়া দিতে গেলে বাধা দেয় ওপারের বিজিবি। এই খবর মুহুর্তেই পৌঁছে যায় গ্রামবাসীদের কানে। সঙ্গে সঙ্গে তারা ছুটে আসেন সীমান্তে। এবং দাড়ান কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের পাশে। বিএসএফ কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে বন্দেমাতরম স্লোগান দিতে থাকেন গ্রামবাসীরা।
।।ভারতীয় গ্রামবাসীদের গর্জন।।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে সংঘর্ষে জড়াতে প্ররোচনা দিচ্ছে বাংলাদেশ। কোনও ভাবে ভারত সেই ফাঁদে পা দিলে মুসলিম ব্রাদারহুডের নামে এক যোগে ভারতকে নিশানা করা শুরু করবে ইসলামিক দেশগুলি।তবে এদিন মালদার সুখদেবপুর সীমান্তে বিএসএফ আধিকারিকরা খুবই ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেন। বিএসএফের পক্ষ থেকে এই ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে অবগত করেছে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
বাংলার মালদার ইন্দো – বাংলা সীমান্তের মতো তপ্ত ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার মগুরুলি সীমান্ত গ্রাম।ভারতীয় । বাংলাদেশী পাচারকারীরা বিএসএফের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে যায়। তারা ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিএসএফ জওয়ানদের ধারালো অস্ত্র নিয়েও আক্রমণ করে। তারপরও উপরওয়ালাদের নির্দেশ অনুযায়ী বিএসএফ ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে বিএসএফের এই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে নিশ্চিত ভাবে রক্ষা পাবে না ইউনূসের দেশ। তাই পরিকল্পনা মাফিক বাংলাদেশি নাগরিক ও বিজিবি ভারতীয় সীমান্তে ঝামেলা করার চেষ্টা করছে বারবার। তাদের পাতা ফাঁদে বিএসএফ পা দিলেই সর্ব শক্তি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা করবে বাংলাদেশ। ওপারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস সহ তার দোসর পাকিস্থান সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর এই ব্লু প্রিন্ট বুঝতে অসুবিধা হয়নি। ভারতের তাই ভারতের বিএসএফ সহ ভারতীয় সেনাবাহিনী ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা নিশ্চিতভাবে সময় মতো ইউনূস ও তার লোকজনকে দেবে উচিত শিক্ষা।