ডেস্ক রিপোর্টার, ১নভেম্বর।।
একটি হত্যাকাণ্ডের মামলাকে কিভাবে ক্লোজ চ্যাপ্টার করতে হয়? এই কায়দা – কৌশলের জন্য মাহির স্মার্ট সিটির পশ্চিম থানার স্মার্ট পুলিশ। সম্প্রতি ওসি জয়ন্ত দে’ র নেতৃত্বাধীন পশ্চিম থানার পুলিশ তা প্রমাণ করে দিয়েছে হাতে – কলমে। সম্ভবত ১৮ থেকে এখন পর্যন্ত বিজেপি সরকারের দুই ধাপে রাজধানী পুলিশের এই কদর্য প্রথম দেখা গিয়েছে। তার জন্য কারা দায়ী? পুলিশ মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন থেকে শুরু করে জেলা এসপি কিরণ কুমার।এবং এসডিপিও দেব প্রসাদ রায় থেকে পশ্চিম থানার ওসি জয়ন্ত দে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের যোগসাজসে চিরতরের জন্য ক্লোজ চ্যাপ্টারে পরিণত হয়েছে মুহুরী অমিত আচার্য হত্যা মামলা। পুলিশ তাদের হাবে ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে এরা মূক ও বধির। সাধারণ মানুষকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ।
আইনজীবী ও মুহুরিরা আগরতলা আদালত চত্বরে অমিত আচার্যকে সঙ্ঘ বদ্ধ আক্রমণ করে গুরুতর জখম করেছিল এরপর আইজিএম জিবি হয়ে অমিত আচার্য উন্নত চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন কলকাতায় সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছিল অমিতের মৃত্যুর পর তার বাবা দিলীপ রায় আগরতলা পশ্চিম থানায় একটি খুনের মামলা রুজু করেছিলেন। অভিযোগের তালিকায় ছিলো আইনজীবী গোপাল সিং, অনির্বাণ লোধ, রাজেশ সরকার, বিভাস দেববর্মা এবং মুহুরী শিবজুৎ বড়ুয়া ও সুদীপ দেব। গত ৫ সেপ্টেম্বর আদালত চত্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন অমিত আচার্য্য। এবং ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল তার।
অমিত আচার্যের মৃত্যুর প্রায় দের মাস হলেও তদন্তকারী পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এটা বললে অবশ্যই ভুল হবে। বাস্তব অর্থে ইচ্ছাকৃত ভাবে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে নি। এই সময়টা অনুসন্ধানকারী পুলিশ নিজেদের মূক
ও বধিরের মতো আচরণ করে। এবং গোটা হত্যা মামলা চেপে যায়। আদালত চত্বর থেকে পুলিশ সংগ্রহ করেছিলো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। এই ফুটেজে স্পষ্ট, অমিতকে কে বা কারা মারধর করেছে? অথচ অবাক করার মতো ঘটনা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আসার পরও পশ্চিম থানার বীরপুঙ্গব পুলিশ অফিসারদের ক্ষমতা হয়নি অভিযুক্তদের থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে।অমিতের খুনিরা যে আর কখনো সামনে আসবে না এটা নিশ্চিত। তার মূল কান্ডারী খোদ পুলিশই।
অসহায় মুহুরি অমিত আচার্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিশ্চুপ রাজ্যের সমস্ত ধান্দাবাজ রাজনীতিকরা।শাসক দল থেকে প্রধান বিরোধী দল।কংগ্রেস থেকে সিপিআইএম।প্রতিটি দলের নেতারা।কারণ অমিত আচার্য্য একজন সাধারণ মুহুরি।তার পরিবারের নেই কোনো আর্থিক শক্তি। অন্য দিকে তার খুনিরা আইনজীবী!তারা আইন ব্যবস্থার প্রহরী।তাদেরকে স্পর্শ করার কোনো ক্ষমতা নেই রাজধানীর পুলিশের। তাদেরকে স্পর্শ করলেই জ্বলে উঠবে পুলিশ সদর দপ্তর। তাই এই ঘটনার কুশিলবদের কোমরে দড়ি লাগাতে গিয়ে বার বার কেপে উঠছে পুলিশ কর্তাদের শরীর। কমে যাচ্ছে তাদের রক্ত চাপ। অসার হয়ে যাচ্ছে খাকি উর্দিধারীদের শরীর। স্বাভাবিক ভাবেই রাষ্ট্রপতি কালার্স পদক প্রাপক রাজ্য পুলিশের বীর পুঙ্গব পুলিশ আধিকারিকরা সাহস করছে না অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢেকে আনতে।তাই তারা বাধ্য হয়ে মুক ও বধিরের ন্যায় আচরণ করছে রাজধানী পুলিশের বাঘা বাঘা (!) অধিকারীকরা।
