ডেস্ক রিপোর্টার,২২ মে।।
         ফের রাজ্যের মানুষের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা।পুলিশ – গোয়েন্দা ও সাধারণ প্রশাসনকে বোকা বানিয়ে পগার পাড় লোন প্রদানকারী সংস্থা।কয়েক কোটি টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে সংস্থার প্রতারক এমডি দেবাশিষ দে।সংস্থার নাম  ডি এল এন্ড ভারত
ফাইনান্স এন্ড ইউটিলিটি সার্ভিসেস।
     সম্প্রতি ডি এল এন্ড ভারত ফাইনান্স এন্ড ইউটিলিটি সার্ভিসেস নামক একটি সংস্থা রাজধানীর আমতলী থানার  নিম্বাগস্থিত  সায়েন্স সিটির লাগোয়া এলাকায় ঝাঁপ খুলে বসেছিলো। সাধারন মানুষকে লোন প্রদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সংস্থাটি। তার জন্য নিয়োগ করেছিলো বেশ কয়েক জন কর্মী। তারাই মূলত ফিল্ডে কাজ করতো।মানুষকে লোন দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ টাকাও নিয়ে আসতো।মানুষ লোন পাওয়ার লোভে দুই হাত খোলে টাকাও দিয়ে দিতো। আর তাতেই কেল্লা ফতে সংস্থার এমডি প্রতারক দেবাশিষ দে’ র।সংস্থার এই কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন কর্মী মনোজ দত্ত।


সংস্থার কর্মচারী মনোজ দত্তের অভিযোগ, গত নভেম্বর মাসে হঠাৎ করে  এমডি দেবাশীষ দে
এল এন্ড ভারত ফাইনান্স এন্ড ইউটিলিটি সার্ভিসেসের ঝাঁপ বন্ধ করে দেয়। তিনি কাউকে লোন দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন এবং নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে আমতলী থানার দ্বারস্থ হন।


মনোজ দত্তের কথায় এই ঘটনার পর তারাও স্তম্ভিত হয়ে যায়। মানুষের কাছ থেকে লোন দেওয়ার কথা বলে ধাপে ধাপে মোট চার কোটি টাকার অধিক সংগ্রহ করেছিলো কর্মীরা। এই টাকা কোথায়? তার কোন উত্তর নেই সংস্থার প্রতারক এমডি দেবাশীষ দের কাছে।
          

কোথায় থানা বাবুরা?

কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে দারস্ত হয়েছিলেন স্থানীয় আমতলী থানায়। তারা পুলিশের কাছে সমস্ত তথ্য তুলে দিয়েছিল। একইভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছিল পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার ও মহকুমা শাসককেও। তারপরও লোকজনের টাকা ফেরত আনার জন্য পুলিশ বা সাধারণ প্রশাসনের তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।

।।অভিযোগকারী মনোজ দত্ত।।

বুধবার মনোজ সহ সংস্থার সাত জন কর্মী পূনরায় আমতলী থানায় দ্বারস্ত হন । কিন্তু পুলিশ তাদের কোন সদুত্তর দিতে পারিনি।ডি এল এন্ড ভারত
ফাইনান্স এন্ড ইউটিলিটি সার্ভিসেস নামক প্রতারক সংস্থা কর্মীদের বক্তব্য গোটা বিষয়টি নিয়ে রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ আমতলী থানার পুলিশ। এই সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোন হেলদোল নেই।


সংস্থার প্রতারক এমডি দেবাশীষ দেকে গ্রেফতারের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয় নি থানা পুলিশ।পুলিশের দূর্বলতার কারণে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেও বহাল তবিয়তে আছে দেবাশিষ দে। চিটফান্ড কোম্পানিগুলি বছরের পর বছর রাজ্যের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে তারা ভোগ-বিলাস করেছে। সর্বস্বান্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ। তারপরও এই ধরনের সংস্থা থেকে মানুষ বিরত থাকতে পারছে না।


লোভে পড়ে অতিরিক্ত সুদের আশায় আমানত জমা করছে।আবার মোটা অঙ্কের লোন পাওয়ার আশায় অগ্রিম দিচ্ছে টাকাও। আমজনতার এই অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ভূঁইফোড় ধান্দাবাজ কোম্পানির ঝাঁপ খুলে বসে । এবং মানুষের পকেট লুঠ করে। তাতে কি? আর প্রতারক  চক্রের এই তামসা দেখার জন্য তো দেকদারি প্রশাসন বসেই আছে। এই ধরনের সংস্থাগুলি যখন ট্রেড লাইসেন্স হাতিয়ে নিয়ে ব্যবসা ঝাঁপ খুলে বসে, তখন কোথায় থাকে সাধারণ প্রশাসন? কোথায় থাকেন পুলিশ – গোয়েন্দা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *