
ডেস্ক রিপোর্টার,২৪এপ্রিল।।
রাজ্যে এসেছেন বঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের রাজ্য সভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। টানা চারদিন ধরে তারা অবস্থান করছে রাজ্যে। রাজধানীতে এসেই চার কেন্দ্রের উপ নির্বাচন সহ সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে দফায় দফায় আলোচনায় বসেন তারা। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতার দুই দূত। বৈঠকগুলিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির আহবায়ক সুবল ভৌমিক ও তার অনুগামীরা। তবে বৈঠকগুলিতে দেখা যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসের সুবল বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের। ছিলেন না বিজেপি ত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাস ও স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সারির নেতা আশীষ লাল সিং। এই গোষ্ঠীর দাবি, প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাসকে দলের প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব দিতে হবে। তারা সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বকে মানতে চাইছে না।। অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আসন্ন উপ ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবে।চার কেন্দ্রেই তারা করবে লড়াই। কারা কারা দলের প্রার্থী হবেন উপভোটে? তারও একটা প্রাথমিক রুপরেখা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ২-৩জনের নাম উঠে এসেছে। এই সমস্ত নাম নিয়েও বৈঠকগুলিতে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়নি।
খবর অনুযায়ী, প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলিতে উপস্থিত থাকার জন্য প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাসকে নাকি ডাকা হয়নি।তেমন ভাবে বৈঠকে থাকার বার্তা দেওয়া হয়নি আশীষ লাল সিংকে। এনিয়ে দুই আশীষ ঘনিষ্ট মহলে উষ্মা প্রকাশ করেন। বিষয়টি আচ করতে পেরেছেন সুস্মিতা-রাজীব। তখন তারা নামেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে। ছুটে যান প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাসের সরকারি আবাসে। চেষ্টা করেন আশীষের মান ভাঙতে। আশীষের সঙ্গে তাঁর সরকারী আবাসের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন সুস্মিতা-রাজীব।এবং এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর(সুবল বিরোধী) কাছে ধনাত্মক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মমতার দুই দূত। সুবল বিরোধী গোষ্ঠীর বরফ কতটা ঠান্ডা হয়েছে তা নিয়ে অবশ্যই রয়েছে সন্দেহ।

সুবল বিরোধী গোষ্ঠীর খবর, তারা সুবল ভৌমিককে প্রদেশ সভাপতি হিসাবে নেমে নেবেন না। তাদের পক্ষ থেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে পাল্টা শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারা “চিরকুট” লিখে জানিয়ে দিয়েছেন পছন্দের কথা। এই গোষ্ঠীর দাবি, প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাসকে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সভাপতি’র দায়িত্ব দিতে হবে। কারণ একমাত্র আশীষ দাস দলের জন্য আত্মত্যাগ করতে গিয়ে বিজেপি’র বিধায়ক পদ ছেড়েছেন। ঝুঁকি রয়েছে তাঁর জীবনের।দল এখনো তাকে দিতে পারেনি যোগ্য সন্মান।স্বাভাবিক ভাবেই এই গোষ্ঠীর লোকজন আশীষের হয়ে ব্যাটন ধরেছে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহবায়ক সুবল ভৌমিক “জনতার মশাল”কে জানিয়েছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেব আগামী সপ্তাহ দুয়েক খানেক অবস্থান করবেন রাজ্যে। খতিয়ে দেখবেন দলের সাংগঠনিক অবস্থা।উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলে তারা চার কেন্দ্রের প্রার্থী নামও চূড়ান্ত করবেন। তার মধ্যে বঙ্গ থেকে আরো কয়েকজন নেতৃত্ব আসবেন রাজ্যে। তবে সব মিলিয়ে তৃণমূল ফের উপ ভোটে শক্তি প্রদর্শন করার যে প্রস্তুতি নিয়েছে তা স্পস্ট করে দিয়েছেন সুবল ভৌমিক।