তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,২আগষ্ট।।
কয়েক দিনের হালকা বৃষ্টিতে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ ৪৮ ঘন্টা ধরে। জাতীয় সড়কে আটকে রয়েছে শত শত ছোট বড় যানবাহন। যান চলাচল স্বাভাবিক করার কোন উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি ১৮ মুড়া পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায়।
জানা যায়,, আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক প্রশস্তর কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। আর তাতে করে রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য পাহাড় কাটার ফলে রাস্তার মধ্যে ধূলো বালি জমে থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পিচ্ছিল এবং কাদাময় হয়ে পড়ায় ১৮ মুড়া পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয় জাতীয় সড়ক। স্তব্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল। এতে করে ভোগান্তির শিকার হতে হয় যানচালক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজনদের। আর যার ফলে যানবাহন নিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে বেক পেতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। রবিবার সকাল থেকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে বেহাল রাস্তার কারণে। জাতীয় সড়কে আটকে রয়েছে শত শত ছোট বড় যানবাহন।
জানা গেছে, আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের প্রশস্তের কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। জাতীয় সড়ক প্রশস্তের কাজ করার করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আঠারো মুড়া পাহাড়ের টিলা কেটে রাস্তা প্রশস্ত করতে হচ্ছে। আর তার ফলে রাস্তার মধ্যে ধূলো বালি জমে থাকার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। ফলে যানবহন নিয়ে চলাচল করতে বেক পোহাতে হয় যানবাহন চালকদের। জানা গেছে, ১৮ মুড়া পাহাড়ের ৩৯, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫ এবং ৪৬ মাইল এলাকায় জাতীয় সড়ক মরন ফাঁদে পরিণত হয়ে রয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে জাতীয় সড়ক যেমন পিচ্ছিল তেমনি বড় বড় গর্ত হওয়া কারণে যানবহন নিয়ে চলাচল করতে পারছে না যান চালকরা। দীর্ঘ প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে যানবাহন একই জায়গায় আটকে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি যানবাহন ওই এলাকাগুলি দিয়ে আসা-যাওয়া করতে গেলেই দুর্ঘটনা কবলে পড়তে হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে ছোট খাটো দুর্ঘটনা কবলে পরে একাধিক যানবাহন। আর তাতে করে জাতীয় সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা যাবত।
এদিকে যাত্রী বুঝাই গাড়িসহ দূর পাল্লার লড়ি গুলি দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা যাবত একই জায়গাতে অবস্থান করাতে পানীয় জল এবং খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। অভিযোগ মহাকুমার প্রশাসন থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক এবং খাদ্য সংকট দূরীকরণে প্রয়োজনে কোন ভূমিকা পালন করেনি।।
