তেলিয়ামুড়া ডেস্ক, ২রা আগস্ট।।
মাইগঙ্গা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কেলোর কীর্তি নিয়ে ফের শুরু চর্চা। তার বিরুদ্ধে এক মহিলাকে অশ্লীল ম্যাসেজ পাঠানোর অভিযোগ। জৈনক মহিলা এই অভিযোগ করেন।
খবরে জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ মাইগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে আগরতলা রামনগর এলাকার জনৈক এক মহিলা মাইগঙ্গা সুকান্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে রাতের বেলায় হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল ম্যাসেজ, ভিডিও কল, এবং ভয়েস কল করে বিরক্ত করার অভিযোগ করেন। আসলে ওই মহিলার এক নিকট আত্মীয় মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশের ছাত্র হওয়ার সুবাদে স্টাইপেন্ড এবং পড়াশোনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দাস’কে নিজ মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করেছিলেন, বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য। গুণধর প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দাসের স্ত্রী বলেন, ওই মহিলার সঙ্গে বাবুল দাসের পূর্ব পরিচিত। এর সুবাদে মহিলার সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের প্রায়শই কথাবার্তা হত। কিন্তু বকলমে ওই প্রধান শিক্ষক মহিলার সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাতের বেলায় হোয়াটসঅ্যাপে মহিলার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে অশ্লীল অশ্লীল ম্যাসেজ সহ ভিডিও কল,ভয়েস কল করে মহিলাকে উতক্ত করতো। নির্যাতিতা মহিলা মাইগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্ৰাম প্রধান সুকুমল করের নিকট সুবিচার চেয়ে একটি অভিযোগ পত্র জমা দেন মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে গ্রাম প্রধান সুকুমল করের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং বলেন এই সপ্তাহের মধ্যেই নাকি সালিশি সভা বসাবেন। যদিও এই ধরনের ঘটনায় থানার দ্বারস্থ না হয়ে পঞ্চায়েতের সালিশি সভার মধ্য দিয়ে বিচার চাওয়ার যুক্তিতে কতটুকু? মহিলা কেন থানায় দ্বারস্থ হলেন না? তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
তবে প্রশ্ন হলো, মাইগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামপ্রধান সুকুমল করের নিকট বিগত তিন চার মাস পূর্বে এই অভিযোগটি জমা পড়লেও এখন পর্যন্ত কেন গ্রাম-প্রধান এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন না? বা তিনি কেন গোটা ঘটনা থানায় জানালেন না?