তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,৭জুলাই।।
জাতীয় সড়ক নয়, এযেন মরণফাঁদ। যে কোনো সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বারবার সংবাদমাধ্যমে এই জাতীয় সড়কের দুরবস্থার কথা সম্প্রচার হওয়া সত্ত্বেও কর্ণপাত করছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর সহ স্থানীয় প্রশাসন।
খবর অনুায়ী, দীর্ঘ এক বছর যাবত তেলিয়ামুড়া মহকুমার আঠারোমুড়া পাহাড়ের জাতীয় সড়কের বেহাল দশা। এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ সহ যান চালকদের নিয়মিত সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। আঠারোমুড়া পাহাড়ের এই জাতীয় সড়ককে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে বহি:রাজ্যের এক বেসরকারি কোম্পানিকে বরাত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জাতীয় সড়কের কাজ চলছে মন্থর গতিতে। এক প্রকার অবৈজ্ঞানিক ভাবেই নির্মাণ সংস্থা কাজ করছে।অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
যান চলাচলের বিকল্প রাস্তা না থাকায় প্রতি বেগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে যান চালকদের। বিক্ষিপ্ত ভাবে সড়কে কাজ করার ফলে তৈরি হয়েছে মারণ ফাঁদ।ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যাত্রীরা।তাতে হতে পারে প্রাণহানিও।
তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন মুঙ্গিয়াকামি বাজার পেরিয়েই বেশ কিছু স্থানে জল জমাট বেঁধে জাতীয় সড়কের অবস্থা এখন মিনি জলাশয়ের মতো। ৪১ মাইল, ৪৩ মাইল, ৪৫ মাইল, ৪৭ মাইল ও ৪৮ মাইল এলাকার বেশ কিছু স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে।এই সমস্ত গর্তে করা যাবে ধান ও মাছ চাষ। নজর নেই স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। স্বাভাবিক ভাবেই রাস্তা নির্মাণের বরাত পাওয়া এই বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা তথা নীতিন সাই কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জনমনে।মানুষ দ্রুত বিহিত চাইছে।
জাতীয় সড়কে চলাচলকারী বহি: রাজ্যের লরি সর্বানন্দ জৈন জানিয়েছেন,” এই আঠারোমুড়া এলাকার জাতীয় সড়ক পার হয়ে আগরতলায় যেতে প্রচন্ডভাবে বেগ পোহাতে হচ্ছে প্রত্যেক চালকদের। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকটি গাড়ির লোকসান তথা মেনটেনিস খরচ বাড়ছে। এই জায়গা অতিক্রম করতে গাড়ি লরঝর হয় যাচ্ছে । পাহাড়ের ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার জায়গার অবস্থানখুবই করুণ। চালকের কথায়, জাতীয় সড়কের যে অবস্থা সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা নির্মাণ সংস্থা ওই রাস্তা দ্রুত মেরামত না করলে যেকোনো সময় স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কে আমবাসা থেকে তেলিয়ামুড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা।।