ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
দেশের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে রাজ্য জুড়েই ছিলো সন্ত্রাসের বাতাবরণ। রাজ্যের একাধিক কংগ্রেস ভবনে হামলা সংঘটিত হয়। আহত হন কংগ্রেস কর্মী – সমর্থকরা।কংগ্রেসের অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে। সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে।প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করেছে কংগ্রেস কর্মীরা।
সোমবার ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে মূল অনুষ্ঠান হয় রাজধানীতে প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে।ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পা্ঘ্য অর্পণ করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেস ভবনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন, কংগ্রেস নেতা গোপাল রায়,আশীষ সাহা সহ অন্যান্যরা।এদিন কংগ্রেস ভবনে ৪৯জন ভোটার যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন।
ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন কংগ্রেস ভবনে দরিদ্র নারায়ন সেবা করা হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, দরিদ্র নারায়ণ সেবার সময়ও বিজেপির দুষ্কৃতীরা বহু কংগ্রেস ভবনে হামলা হুজ্জুতি চালায়। ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে। কংগ্রেস ভবনগুলিতে উপস্থিত কংগ্রেস কর্মীদেরও মারধর করে বিজেপির বাইক বাহিনী। রাজধানীর জিবি বাজার ও ইন্দ্রনগর কংগ্রেস ভবনে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেস ভবন ভাঙচুর সহ উপস্থিত কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করে। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতীরা কংগ্রেস ভবনগুলিতে থাকা ডাল,, চাল সহ রান্নার অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যায়।
একই অবস্থা বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে। বাধারঘাটের বেশ কিছু এলাকায়ও বিজেপির দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাছাড়া ঘটনা আগের রাতে দুষ্কৃতীরা কংগ্রেস ভবনে মজুত করা চাল,ডাল সহ অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বাধারঘাট এলাকার কংগ্রেস নেতা রতন দাস আমতলী থানায় দ্বারস্থ হন। এবং পুরো ঘটনা তিনি জানিয়েছেন থানা পুলিশকে।কংগ্রেসের অভিযোগ, যদিও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উদয়পুরেও কংগ্রেস ভবনে হামলা সংঘটিত হয়। দুষ্কৃতীরা চুরি করে নিয়ে যায় খাদ্য সামগ্রী। এই ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস কর্মীরা স্থানীয় থানা ঘেরাও করে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবী জানায়।
কংগ্রেসের দাবি, এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যেই প্রতিদিন কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণেই হতভম্ব হয়ে পড়েছে শাসক দল বিজেপি। আর এই হতাশার কারণেই দেশের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসেও দরিদ্র মানুষের জন্য খাওয়ার আয়োজন ভঙ্গ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। নানান ভাবে ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে ভাটার সৃষ্টি করে বিজেপির লোকজন। এই সমস্ত কার্যকলাপ করে কংগ্রেসকে আটকে রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন পোস্ট অফিস চৌমুহনীর নেতৃত্ব। তাদের কথায়, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ বিজেপির প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে ইভিএমে তার প্রতিফলন ঘটাবে এবং কংগ্রেসকে ক্ষমতার অলিন্দে নিয়ে যাবে।