ডেস্ক রিপোর্টার, ৯এপ্রিল।।
সুপ্রিম কোর্টের আইন লঙ্ঘন করে নিজের গাড়িতে লালবাতি লাগিয়ে চক্কর কাটছেন তেলিয়ামুড়ার এসডিপিও সুধানম্বিকা আর। নিয়ম অনুযায়ী সুদানম্বিকা আর নিজের গাড়িতে লালবাতি লাগাতে পারেন না। কিন্তু এই আইপিএস সুধাম্বিকা (শিক্ষানবীশ) নিয়মিতভাবেই গাড়িতে লালবাতি লাগিয়ে কাজ করে চলছে। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের ডিজিপি অমিতাভ রঞ্জন আমবাসাতে গিয়েছিলেন।তখন তিনি এসেছিলেন তেলিয়ামুড়াতে। ডিজিপি আসার খবর পেয়ে এসডিপিও সুধম্বিকা তার গাড়ি থেকে লালবাতি খুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু ডিজিপি চলে যাওয়ার পর তিনি পুনরায় গাড়িতে লালবাতি লাগিয়ে নেয়। এসডিপিও সুধম্বিকা আরের এই কার্যকলাপে হতভম্ভ তেলিয়ামুড়ার পুলিশ।

গত বছর মহিলা আইপিএস সুধম্বিকা আর তেলিয়ামুড়াতে এসডিপিও দায়িত্ব নিয়েছিলেন।তখন তার গাড়িতে ছিলো না লালবাতি। অভিযোগ, কিছুদিন আগে এসডিপিও হঠাৎ করেই নিজের গাড়িতে লালবাতি লাগিয়ে নিয়েছেন। লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গাতে। এসডিপিও গাড়িতে লালবাতি লাগানো দেখে মহকুমার পুলিশ মহলে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আইপিএস সুধম্বিকা কোনো নিয়ম জানেন না।নাকি জ্ঞাত সারেই তিনি নিজের গাড়িতে লালবাতি লাগিয়ে ঘুরছেন? তবে তিনি আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল,এটা নিজেই প্রমাণ করেছে।কারণ ডিজিপি আসার খবর পেয়ে তিনি নিজের সরকারী গাড়ি থেকে খুলে নিয়েছেন লালবাতি। তাহলে এটাই প্রমাণ হয় এসডিপিও জেনে বুঝেই গাড়িতে লালবাতি লাগিয়েছেন।
তথ্য বলছে, এলাকার পরিস্থিতি খুব বেশি অবনতি হলে এসডিপিও’রা কমলা রংয়ের বাতি গাড়িতে লাগাতে পারেন। তার জন্য অবশ্যই তার ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তেলিয়ামুড়াতে আইন – শৃঙ্খল তেমন কোনো অবনতি হয় নি। যার জন্য সুধম্বিকাকে তার গাড়িতে কমলা রঙের বাতি লাগানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।তবে তিনি কমলা রংয়ের বাতিও লাগান নি।সরাসরি লালবাতি। মহকুমার সাধারণ মানুষের নজরেও পড়েছে বিষয়টি।তাদের মধ্যেও এটি এখন আলোচনার বিষয়।

সম্প্রতি তেলিয়ামুড়াতে বেড়েছে মাদক কারবারের রমরমা। জাতীয় সড়ক দিয়ে বড় চালানের মাদক দ্রব্য চলে যায় বহিঃ রাজ্যে। দৌরাত্ম বাড়ছে বনদস্যদের। নিয়মিত তারা পাচার করছে বনজ সম্পদ। বেড়েছে তির জুয়ার প্রসার।কিন্তু এই সমস্ত অপরাধ কমানোর ক্ষেত্রে এসডিপিও সুধাম্বিকা আর নিশ্চুপ। প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা এসডিপিও থাকা কালীন একের পর এক সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি।কিন্তু সুধাম্বিকা আর অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে প্রায় ব্যর্থ। সাফল্যের ঝুলি শূন্যের কোটায়।বলছেন খোদ তেলিয়ামুড়ার পুলিশ লাইনের কর্মীরাই।