ডেস্ক রিপোর্টার, ৯এপ্রিল।।
বিপ্লব কুমার দেব।তিনি লোকসভার পশ্চিম আসনে বিজেপির প্রার্থী। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতিকরা বলেন, ১৮- র পালা বদলের মূল কান্ডারী ছিলেন তিনি।
সুদীপ রায় বর্মন। তিনি কংগ্রেস বিধায়ক। রাজ্য রাজনীতির হেভিওয়েট নেতা।তিনি ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তণ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।১৮- র পরিবর্তনে সুদীপেরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।বলেন রাজনীতিকরা।
রাজ্য রাজনীতিতে বিপ্লব কুমার দেব ও সুদীপ রায় বর্মনের সম্পর্ক কেমন? সেটা সবাই ওয়াকিবহাল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষায়, রাজনীতির অঙ্গনে সুদীপ – বিপ্লবের সম্পর্ক সাপে – নেওলের মতো। এটা ওপেন সিক্রেট। সুদীপ রায় বর্মন বিজেপিতে থাকাকালীনই এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিলো। বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সুদীপকে সরিয়ে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রীর চেয়ার থেকে। এরপর বিজেপিতে থেকেই বিপ্লবের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন সুদীপ। শেষ পর্যন্ত বিজেপি ছাড়তে বাধ্য হন। যোগ দেন কংগ্রেসে। ২২- র উপনির্বাচন ও ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে আগরতলা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন।
এখন গোটা দেশ সহ রাজ্যেও ভোটের আবহ। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে শাসক বিরোধী – একে অপরে লিপ্ত হচ্ছে বাক যুদ্ধে। তার মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে বাক যুদ্ধ চলছে বিজেপির পশ্চিম আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ও কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের মধ্যে উভয়ই শত্রুপক্ষের নাম উহ্য রেখে আক্রমণ সানাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে।
সম্প্রতি বিজেপির পশ্চিম আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব নাম না করেই সুদীপ বর্মন ও তার পিতার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। বিপ্লব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বর্মন পরিবারের জন্যই বামেরা এই রাজ্যে টানা ২৫ বছর রাজত্ব করতে পেরেছিল। তিনি সুযোগ পেলেই বর্মন পরিবারকে আক্রমণ করতে পিছু হটেন না। এটা নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রমাণ করছেন বিপ্লব।
কম যান না সুদীপ রায় বর্মনও। তিনিও সুযোগ পেলেই নাম না করে বিপ্লবের বিরুদ্ধে কামান দাগান। সম্প্রতি সুদীপ রায় বর্মন ইণ্ডিয়া জোটের সাংবাদিক সন্মেলনে বিপ্লব কুমার দেবকে ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ করেন। তবে নাম না করে। সুদীপ রায় বর্মন বিজেপির পশ্চিম আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে “সমাজের বোঝা” বলেও। কটাক্ষ করেন। সুদীপ নাম উহ্য রেখে বিপ্লবকে জড় বস্তু বলেও আখ্যা দেন। রাজনীতির অঙ্গনের লোকজন সুদীপ রায় বর্মন ও বিপ্লব কুমার দেবের এই বাক যুদ্ধ অবশ্যই উপভোগ করছেন তারিয়ে তারিয়ে। এই দুই নেতার বিস্ফোরক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বেড়ে চলছে রাজনীতির পারদের উষ্ণতা।