ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
                          এবার দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে “তৃণমূল”। মা – মাটি – মানুষের তৃণমূল এপার বাংলা থেকে পাড়ি জমিয়েছে ওপার বাংলায়। এপার বাংলায় তৃনমূল ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ছিলো।পশ্চিম বাংলার মাটিতে করেছে বিধানসভা নির্বাচন জয়ের হ্যাট্রিক। এখন শাসক হিসাবে সর্বক্ষণ বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে লড়াই করে ধরে রেখেছে জমি। পশ্চিম বাংলার বাইরেও মমতার তৃণমূল পা দিয়েছিলো গোয়া, অসম,ত্রিপুরা,মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশে।
                         


তৃণমূল এবার বিদেশের মাটিতে নাম লিখিয়েছে। সরাসরি যুদ্ধ ঘোষনা করেছে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও অংশ গ্রহণ করবে তৃনমূল। তিনশটি আসনে দেবে প্রার্থী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ওপার বাংলার নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলো তৃণমূলকে। এবারই সংসদীয় নির্বাচনে তৃণমূলের প্রথম আত্ম প্রকাশ।

তৃণমূল – বিএনপি-র পতাকা

তৃণমূলের চেয়ারপার্সন সামশের মবিন চৌধুরী জানিয়েছেন,  বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল অন্তত ৩০০ আসনে লড়াই  করবে। নির্বাচন তিনিয়েও তিনি আশাবাদী, নতুন বছরের ৭জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। গনতন্ত্রের এই মহোৎসবে তৃণমূল মা – মাটি – মানুষের মনে দাগ কাটতে পারবে বলে মন্তব্য চেয়ারপার্সন সামশের মবিন চৌধুরীর।

সামশের মবিন চৌধুরী(চেয়ারপার্সন)

বাস্তবে এপার বাংলার মমতার তৃণমূলের সঙ্গে ওপার বাংলার তৃণমূলের কোনো মিল নেই। দুইটি সম্পূর্ন পৃথক দল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আত্ম প্রকাশ হওয়া দলটির পুরো নাম তৃনমূল – বিএনপি। তাদের প্রতীকও ঘাসফুল নয়। সম্পূর্ন আলাদা।
    


তবে এপার বাংলার মমতার তৃণমূলের উত্থানের সময় দলটির প্রতি মানুষের যেমন টান ছিল, ঠিক তেমনি বাংলাদেশে তৃণমূল – বিএনপি- র প্রতিও মানুষের আকর্ষণ তীব্র হচ্ছে। ওপার বাংলার নেতারা নির্বাচনে মানুষের এই ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে কত শতাংশ ভোট ক্যাশ করতে পারবে এটাই এখন দেখার বিষয়। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুটা দিন।
    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *