ডেস্ক রিপোর্টার,১৭ এপ্রিল।।
২৪-র লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশ ব্যাপী ডিজিটাল মেম্বারশিপ প্রক্রিয়া শুরু করেছিলো কংগ্রেস। রাজ্যেও একই পরিস্থিতি। ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘর গুছানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত ত্রিপুরাতেও প্রদেশ কংগ্রেস শুরু করেছে ডিজিটাল মেম্বারশিপ। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ডিজিটাল মেম্বারশিপ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভালো সাড়া মিলেছে। গোটা রাজ্যে প্রায় দেড় লক্ষ নতুন মেম্বার হয়েছে। মেম্বারশিপ গ্রহণ প্রক্রিয়ার এই সাড়া দেখে আশায় বুক বেঁধেছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ২৩-র ভোটে কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতিতে ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে।
গত তিন মাস ধরে কংগ্রেসের ডিজিটাল মেম্বারশিপ গ্রহণের কাজ শুরু করেছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ডিজিটাল সদস্য পদ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রচুর সংখ্যক যুবক-যুবতী নতুন ভাবে কংগ্রেসের সদস্য হয়েছে। রাজ্যের যুবক-যুবতীকে কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনীতিকরা।
একাংশ কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সুদীপ রায় বর্মন ও আশীষ সাহা কংগ্রেসে যোগ দেওয়াতে একটা ভালো অংশের যুবক-যুবতীরা ঝুঁকে পড়েছে কংগ্রেসের দিকে। এই বাতাবরণ প্রদেশ কংগ্রেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, কেন্দ্রের মোদী সরকার ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের কাজকর্মে মানুষ আস্থা হারিয়ে কংগ্রেসের দিকে পা বাড়াচ্ছে। কংগ্রেস নেতাদের কথায়, এই রাজ্যে কংগ্রেসের ভোটেই বিজেপি ক্ষমতা দখল করেছে। ১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসিরা বিজেপিকে দুই হাত ভরে ভোট দিয়েছে। এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। বিজেপি’র দিকে ঝুঁকে যাওয়া কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক ফের কংগ্রেসের দিকে বাঁক নিচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তার ফল পাবে কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি, ডিজিটাল সদস্য পদ সংগ্রহে ব্যাপক সাড়া পাওয়াতে কাজের উৎসাহ পাবে নেতা-কর্মীরা।তারা ১লা বৈশাখের পর সর্ব শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে।এবং করবে ধারাবাহিক আন্দোলন। এআইসিসি-ও ত্রিপুরাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।তবে কংগ্রেসকে যে সহজেই শাসক দল বিজেপি মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবে না,তা বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।