ডেস্ক রিপোর্টার,১৩ফেব্রুয়ারি।।
কংগ্রেসে যোগ দিয়েই ঐক্যের ডাক দিলেন সুদীপ রায় বর্মন। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বর্ষীয়ান নেতাদের উদ্দেশ্যে দিলেন বার্তা।সরাসরি রামনগরের বিজেপি’র বিধায়ক সুরজিৎ দত্তের নাম নিয়েই তাকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আহ্বান করেন সুদীপ।তবে এখন পর্যন্ত সুরজিৎ দত্তের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০১৮-বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের এক ঝাঁক নেতা কংগ্রেসের “কোল” খালি করে চলে গিয়েছিলেন বিজেপি’তে।তাদের মধ্যে অনেকেই এই মুহূর্তে শাসক দল বিজেপি’র বিধায়ক।তাছাড়া একটা অংশ আছেন বিজেপি’র প্রথম সারির নেতৃত্ব হিসেবে। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের ঘরে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মন।শনিবার কংগ্রেস ভবন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সভায় সুদীপ রায় বর্মন বলেন,”ঘরে ফেরার আনন্দই আলাদা।”
রাজনীতিকদের বক্তব্য, বিজেপি’র বর্ষীয়ান নেতাদের (কংগ্রেস থেকে যাওয়া) অনেকেই বয়সের ভাবে নুজ্জ।তাদেরকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না দিলে বেঁকে বসবে তারা।তখন সংশ্লিষ্ট নেতাদের ফের ঝোঁক বাড়বে কংগ্রেসের দিকে।নিজ নিজ এলাকায় সংশ্লিষ্ট নেতাদের অনুগামীরা রয়েছে। অনুগামীদের নিয়ে তারা ফিরে আসবেন নিজ নীড়ে।তখন বিজেপি’র জন্য বিষয়টি অবশ্যই সুখকর হবে না।তবে এই বিষয়টি কিভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করবে বিজেপি? তা নিয়ে অবশ্যই ভাববেন বিজেপি’র থিঙ্কট্যাঙ্ক।
সুদীপ বর্মনের কংগ্রেসে যাওয়ার প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রতন লাল নাথ বলেছেন, “কে কোন দলে যাবে সেটা তার সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সুদীপ কংগ্রেসে থাকা কালীন বলেছেন কংগ্রেসে দম বন্ধকর অবস্থা। তৃণমূলে থাকাকালীন বলেছেন তৃণমূলে দম বন্ধকর অবস্থা।পরে বিজেপিতেও দম বন্ধকর অবস্থা।” রতন লাল নাথের প্রশ্ন এটা কি করে সম্ভব? রতনের বক্তব্য, বিজেপিই হলো রাজ্যের জন্য উপযুক্ত রাজনৈতিক দল।
রাজনীতিকরা বলছেন, রাজ্য মন্ত্রিসভায় রতন লাল নাথ এখন গুরুতহীন।মুখ্যমন্ত্রী তাকে আগের মতো ডাকাডাকি করেন না।নেই সরকারের মুখপাত্রের ভূমিকায়।তাঁর জায়গাতে মুখ্যমন্ত্রী তুলে নিয়ে এসেছে সুশান্ত চৌধুরীকে।এরপর থেকে রতন লাল নাথ অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। রতন লাল নাথের মতো নেতা নিজের মতো কাজ করতে না পারলে তিনিও বেঁকে বসতে পেতেন যে কোনো সময়।তাই কি সুদীপকে কটাক্ষ করলেও তার মধ্যে ছিলো রাজনৈতিক শিষ্টাচার?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *