ডেস্ক রিপোর্টার,১০জানুয়ারি।।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন দৌঁড় গোড়ায়।চলতি মাসেই ঘোষনা হবে নির্বাচনের দিনক্ষণ।নির্বাচন নিয়ে তোর জোর চলছে সব কয়টি রাজনৈতিক দলের।২৩ র নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে জোটের পথে হাঁটছে একসময়ের চির শত্রু কংগ্রেস – সিপিআইএম। তারা আঁকড়ে ধরতে চাইছে বাংলার মডেলকে। বাম – কংগ্রেস নেতাদের দাবি সময়ের তাগিদে তাদের এই সিদ্ধান্ত।কিন্তু জোট কি সফল হবে? নাকি বাংলার রাজনীতির মতো গুরুত্বহীন হয়ে যাবে? সর্বত্র উঠছে এই প্রশ্ন।
বাম কংগ্রেসের জোট নিয়ে দুই রাজনৈতিক দল যখন আশাবাদী, তখনই সম্ভাব্য জোটের কাছে ধেয়ে আসলো অশনি সঙ্কেত।সামনের দিনে অব্যশই চিত্র আরোও পরিষ্কার হবে।তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুটা দিন।
কংগ্রেস সিপিআইএমের সম্ভাব্য জোট রবিবার প্রথম ধাক্কা খায় শহরের সূর্য্য মনি নগর কেন্দ্রে।এদিন এই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আগরতলা পুর নিগমের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫নম্বর বুথে। এই বুথের কংগ্রেস সমর্থিত মানুষ বাম – কংগ্রেসের সম্ভাব্য জোটের প্রতিবাদ জানিয়ে কংগ্রেসকে আলবিদা জানিয়ে দেন। তারা যোগ দেন বিজেপির পতাকা তলে। মোট ২৭পরিবারের ৮৯জন ভোটার যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্থানীয় বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক মহিলা ক্ষোভ করে বলেন, “তার স্বামী এক সময় কংগ্রেস করতেন।এই অপরাধে সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনী স্বামীকে খুন করেছিলো।এই ঘটনার পর স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব তাকে সাহায্য করেছিল।কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব কিছুই করে নি।এখন সেই কংগ্রেস আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে তার স্বামীর ঘাতক বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।তাই তিনি বাধ্য হয়েছেন কংগ্রেস ছাড়তে।এবং যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।” স্বামী হারা মহিলার কথায়, কংগ্রেস সিপিআই এমের জোটকে রাজ্যের মানুষ মেনে নেবে না।
রাজনীতিকরা বলছেন, এটা অবশ্যই কংগ্রেস বাম জোটের জন্য ভালো লক্ষণ নয়।কারণ মানুষের এই ভাবনা যত চাগার দেবে ততই ব্যাকফুটে যাবে জোট।এটাও বাস্তব দীর্ঘ বাম জামানায় কংগ্রেস কর্মীরা নানান ভাবে আক্রান্ত হয়েছে।বহু জায়গায় হার্মাদ বাহিনীর দাপটে ছাড়তে হয়েছে বাড়ি ঘর। কিন্তু এখন কংগ্রেস নেতারা নিজেদের স্বার্থে সিপিআই এমের সঙ্গে জোট করার প্রস্তুতি নিয়েছে।এটাকে একটা অংশের মানুষ ভালো ভাবে মেনে নেবেনা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
