ডেস্ক রিপোর্টার, ৭ফেব্রুয়ারী।।
         প্রান্তিক অঞ্চলের  সড়কে “WANSEA GET OUT, RED ZONE”- এই স্লোগান লিখে আতঙ্ক ছড়ানো অধরা কুশীলবরা। তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ একটি মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও এখনো কোনো কূল কিনারা খোঁজে পাচ্ছে না। পুলিশ পুরোপুরি ভাবে হাতড়াচ্ছে গভীর আধারে। তাই ঘটনার ১১দিন পরও তেলিয়ামুড়ার পুলিশ মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে।


গত ২৬ জানুয়ারি গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা তেলিয়ামুড়ার কলই পাড়ার মূল সড়কে সাম্প্রদায়িক স্লোগান লিখে পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছিলো। করেছিলে বাড়ি ঘরে ভাঙচুর। এই ঘটনার পর তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা অঞ্চল। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে করেছিলো পথ অবরোধ। ঘটনাস্থলে গিয়েছিল মহকুমা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার হস্তক্ষেপে আতঙ্কগ্রস্থ গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো। মন্ত্রী তাদেরকে এসপিও ক্যাম্প বসিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর পরদিনই স্থানীয় গ্রামবাসী জনজাতিরাও করেছিলো পথ অবরোধ।তাদের পাল্টা পথ অবরোধে বসেছিল স্থানীয় অনুপজাতি গ্রামবাসীরাও।


সড়কে সাম্প্রদায়িক স্লোগান লিখার পর থেকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জাতি জনজাতিদের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। খোয়াই জেলার এসপি রমেশ যাদব, তেলিয়া মুড়ার এসডিপিও সুধাম্বিকা আর সহ পুলিশ প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা কুশীলবদের খুঁজে বের করবেই। কিন্তু ঘটনার ১১দিন পরও পুলিশ এই মামলায় অভিযুক্তদের সনাক্ত করতে পারেনি।গ্রেফতার তো দূরস্ত। বরং পুলিশ স্থানীয় এক গোষ্ঠীর গ্রামবাসীদের দাবি অনুযায়ী, ২৬- জানুয়ারির রাতের ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় কারা ভাইরাল করেছে? এই তথ্য সংগ্রহের জন্য দৌঁড় ঝাঁপ শুরু করেছে। এমনকি স্থানীয় সাংবাদিকদেরও জেরা করেছে পুলিশ। অভিযোগের তীর খোদ তেলিয়ামুড়ার এসডিপিও সুধাম্বিকা আরের বিরুদ্ধে।


প্রশ্ন হচ্ছে, এই গুরুত্ব পূর্ণ মামলা নিয়ে পুলিশ এক কদমও এগুতে পারেনি। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? তাদের মূল উদ্দেশ্য কি? তাদের পেছনে কারা রয়েছে? মূলত গোটা ঘটনার কাদের মস্তিষ্ক প্রসূর্ত? এই সমস্ত গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি  রাজ্য পুলিশ।কারণ গোটা ঘটনা থেকে স্পস্ট, দুষ্কৃতীরা অনেক বড় পরিকল্পনাকে সামনে রেখে  আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। কারণ রাতেই আধারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি রকম হয়, কলইপাড়ার ঘটনা তাও প্রমাণ করে দিয়েছে। রাত ভর দুষ্কৃতীরা কলই পাড়াতে ঝামেলা করলেও পুলিশ ছিলো নিশি ঘুমে আচ্ছন্ন। তাই এই ভয়ঙ্কর ঘটনার পরও পুলিশের  নিরস তদন্তের ক্যানভাসে ভেসে উঠছে তাদের দেওলিয়াপনার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *