ডেস্ক রিপোর্টার, ১৪ডিসেম্বর।
   কল্যাণপুর গণহত্যা। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেলো ২৫ বছর। এখন রাজনীতিকরা ফের কবর থেকে তুলে নিয়ে এসেছেন শহীদদের। শুরু হয়েছে শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী সিপিআইএমের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক তরজা।
        

সিপিআইএমের সাংবাদিক বৈঠক

গত ১২ ডিসেম্বর কল্যাণপুর গণহত্যা নিয়ে সাড়া জাগানো জনসভা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। দলের প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য থেকে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা উপস্থিত ছিলেন জনসভায়। বিজেপি নেতৃত্ব স্পস্ট ভাবেই বলে দিয়েছিলেন, বিরোধী দল করার সুবাদে ২৬টি তাজা প্রাণ খুন হয়েছিলো কল্যাণপুর বাজার কলোনীতে। গোটা ঘটনার জন্য দায়ী সিপিআইএম।


বিজেপি নেতৃত্বের জনসভার পর মাঠে নামে সিপিআইএম।বৃহস্পতিবার সিপিআইএম’র তেলিয়ামুড়া অফিসে সংবাদিক বৈঠক করে পাল্টা বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে।কল্যানপুর প্রমোদনগর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক মনিন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। দল ও নেতাদের কালিমা লিপ্ত করতেই বিজেপি নেতৃত্ব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জনমনে। কল্যাণপুরের গণহত্যার ঘটনায় সিপিআইএম নেতা- কর্মীরাও খুন হয়েছে।


কমিউনিস্ট নেতা মনীন্দ্র দাস বলেন, এই মুহুর্তে বিজেপি সরকার পরিচালনা করতে পারছে না। রাজ্যে খাদ্য নেই, কাজ নেই।অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রির ঘটনা ঘটছে। ব্যর্থ সরকার এই সমস্ত বিষয় থেকে মানুষের নজর ঘুরানোর জন্য বিজেপি কল্যাণপুর গণহত্যা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।
মনিন্দ্র দাসের প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, বামেরা শহীদ পরিবার গুলির জন্য কিছু করার চেস্টা করেছে। সামর্থ অনুযায়ী দিয়েছে সুযোগ সুবিধা। কিন্তু বিজেপি সরকার ছয় বছরে কি করেছে?


এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত  ছিলেন সিপিআইএম নেতা হেমন্ত কুমার জমাতিয়া,  নেত্রী গায়েত্রী দত্ত সহ অন্যান্যরা। তবে ২৪- র ভোট এগিয়ে আসতেই কৌশলে বাঙালি ভোট ব্যাংক ধরে রাখতে বিজেপি – সিপিআইএম কল্যাণপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘঠিত গণহত্যার ঘটনাকে ফের লাইম লাইটে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *