ডেস্ক রিপোর্টার,১৭আগস্ট।।
        অপরাধের আতুর ঘর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার।নিরাপত্তাহীন বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার।সংশোধনাগারের মধ্যেই শ্লীলতাহানী এক বিদেশি বৃহন্নলার।অভিযুক্ত সংশোধনাগারে সাজা প্রাপ্ত কয়েদি টিটন দে। তার কয়েদি নম্বর ২৩/২০২৩


বিশালগড় কেন্দ্রীয় কারাগার বরাবর অপরাধের বধ্য ভূমি। অথচ অপরাধীদের জেলে আনা হয় সংশোধনের জন্য। কিন্তু সংশোধনাগারে এসেও অপরাধীরা সংশোধন হচ্ছে না। বরং তারা জড়িয়ে যাচ্ছে অপরাধ চক্রের সঙ্গে।এক্ষেত্রে  অবশ্যই দায়ী জেল কর্তপক্ষ।বিশেষ করে জেলার ইনচার্জ সহ পদস্থ আধিকারিকরা। কোথায় থাকেন আইজি প্রিজন? কেন্দ্রীয় কারাগারে নানান ঘটনার পর উঠছে এই সমস্ত প্রশ্ন।

।।অভিযুক্ত কয়েদি টিটন দে।।

বিশালগড় কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্দর মহলের খবর, সম্প্রতি বাংলাদেশ দেশ থেকে আকাশ মিয়া নামে এক বৃহন্নলা রাজ্যে প্রবেশ করে সীমান্ত ডিঙিয়ে। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং সোপর্দ করে আদালতে। বিচারক বিদেশি বৃহন্নলাকে বিশালগর সেন্ট্রাল জেলে পাঠিয়ে দেন।
  


সেন্ট্রাল জেলের রান্নাঘরের তথ্য বলছে, গত ৩১জুলাই বৃহন্নলা আকাশের উপর কু নজর পড়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদি টিটন দে। সে কেন্দ্রীয় কারাগারের কাম জারির ইনচার্জ। অভিযোগ,জেলার মধ্যেই বৃহন্নলা আকাশের উপর ঝাপিয়ে পড়ে টিটন । তখন বৃহন্নলা  আকাশ মেয়ের সাজে সজ্জিত ছিলো।


বৃহন্নলার চিৎকারে অন্যান্য কয়েদি ও জেলার ওয়াডেনরা ছুঁটে আসে। তারা বৃহন্নলা আকাশকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়। এবং কর্তপক্ষের অঙ্গুলি হেলনে গোটা ঘটনা থেকে বেঁচে যায় খুনের আসামি টিটন দে। তার বাড়ি সাব্রুমের কারগলিয়া।
  


ন্যাক্কার জনক এই ঘটনার পর ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন খোদ জেলার দেবাশীষ শীল।তিনি অভিযুক্ত কয়েদি কামজারির ইনচার্জ টিটন দে’কে আগলে।রাখেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী,  এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলার ইনচার্জ দেবাশীষ শীলকে থানা পুলিশে দ্বারস্থ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু জেলার দেবাশিষ সেই পথে হাঁটেন নি।


কারণ জেলার কাম জারির ইনচার্জ টিটন দে ‘ র সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। জেলে উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি, মাছ বিক্রির  দায়িত্বে থাকে কামজারি ইনচার্জ।এখানে আর্থিক লেনদেনের বিষয়। তাছাড়া প্রায় রোজ সকালেই কামজারী ইনচার্জ টিটন হাজির হন ইনচার্জ জেলার সাহেব দেবাশীষ শীলের বাধারঘাটস্থিত শ্রীপল্লীর  বাড়িতে।


সঙ্গে ব্যাগে থাকে জেলের তাজা সবজি, পুকুরের মাছ,  নারিকেল, কচি ডাব।স্বাভাবিক ভাবেই টিটন অন্যায় করলেও জেলার তাকে মাপ করে দিয়ে থাকেন। কারণ ভাব শিষ্যকে তো বাঁচাতেই হবে।
   জেলার দেবাশীষ শীলের কারণে গোটা ঘটনা  চাপা পড়ে যায় জলের অন্দরেই।


কিন্তু সংশোধনাগারে থাকা একাংশ জেল কর্মী এই ঘটনা মেনে নিতে পারে নি। তারা প্রতিবাদে সরব হয়। জেলার অভ্যন্তরে  বৃহন্নলা আকাশের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে রাজ্য ও দেশের সম্পর্কও জড়িয়ে রয়েছে।কারণ আকাশ এক জন বিদেশি।প্রতিবেশী বাংলাদেশের নাগরিক।


তার সঙ্গে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে নাক কাটা গিয়েছে দেশ ও রাজ্যের তাতে অবশ্যই দেবাশীষ শীলের মতো জেলারদের কিছু আসা যায় না।

জেলার ইনচার্জ দেবাশীষ শীল।।

কারণ সংশোধনাগারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা সমস্ত অপরাধের ঠেক থেকেই তো টু- পাইস পেয়ে থাকেন জেলার দেবাশীষ শীল। বিশালগড় সেন্ট্রাল জেলে কান পাতলেই বেরিয়ে আসে বুদ বুদ গন্ধ।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *